- ///
- দিনাজপুর




দিনাজপুর, রংপুর
বাংলাদেশের সকল "এ" শ্রেণির অঞ্চলের মধ্যে দিনাজপুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এটি শুধুমাত্র একটি প্রাচীন স্থান নয়, বরং ইতিহাসে সমৃদ্ধ শহর। ১৭৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত, দিনাজপুরের সবচেয়ে ভালো দিক হলো এটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলার মধ্যে সর্ববৃহৎ। দিনাজপুরের আয়তন ৩,৪৪৪.৩০ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ৩৩.১৫ মিলিয়নেরও বেশি। বর্তমানে, এটি ১৩টি উপজেলা, ৯টি পৌরসভা, ১০৩টি ইউনিয়ন এবং ২,১৩১টি গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত।
বলা হয় যে, দিনাজপুর রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দিনাজ বা দিনরাজ। পরবর্তীতে, ব্রিটিশ শাসন শেষ হলেও, মানুষ ওই জেলা দিনাজপুর নামেই অভিহিত করে। বর্তমানে, দিনাজপুর রংপুর বিভাগের একটি মহানগর জেলা। এটি উত্তর দিকে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলা, দক্ষিণে জয়পুরহাট ও গাইবান্ধা, পূর্বে নীলফামারী ও রংপুর এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ দ্বারা সীমাবদ্ধ।
ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়ক হল একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা যা দিনাজপুরকে অনেক জেলা ও বিভাগের সাথে যুক্ত করে। সড়ক ছাড়া, মানুষ ট্রেন এবং নদী পথেও এই জেলায় যাতায়াত করতে পারে। দিনাজপুরের প্রধান নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে করতোয়া নদী, পুনর্ভবা নদী, আত্রাই নদী ইত্যাদি।
দিনাজপুরে অনেক আবাসন ও ক্রমবর্ধমান আবাসিক এলাকা রয়েছে। নতুন প্রতিষ্ঠিত আবাসন এবং সুযোগ-সুবিধাগুলোর কারণে জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর ফলস্বরূপ, রিয়েল এস্টেট ব্যবসা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ বিভাগের অর্থনীতি কৃষির ওপর নির্ভরশীল, যার প্রধান ফসল ধান। তবে, লিচু, আম এবং অন্যান্য মৌসুমি ফলমূল ও শাকসবজি এলাকাটির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। যেহেতু এই জেলায় উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের পরিমাণ চাহিদার চেয়ে বেশি, তাই দেশজুড়ে এবং আন্তর্জাতিকভাবে এর বিক্রি ও রপ্তানি বিশাল পরিমাণে অর্থনৈতিক অবদান রাখে।
দিনাজপুরে অনেক ঐতিহাসিক স্থান ও আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো দিনাজপুর রাজবাড়ি, কান্তজিউ মন্দির, নয়াবাদ মসজিদ, সুরা মসজিদ ইত্যাদি। এছাড়া, এখানে বিভিন্ন বিনোদনমূলক স্থানও রয়েছে, যেমন স্বপ্নপুরী কৃত্রিম অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, বিরগঞ্জ জাতীয় উদ্যান, রামসাগর জাতীয় উদ্যান ইত্যাদি।
সিটি ইনসাইট
পরিচিত ল্যান্ডমার্ক সমূহ
Kantajew Temple
Sura Masjid
Sitakot Bihar
Dinajpur Circuit House
Ghughudanga Zamindar Bari