- ///
- গাইবান্ধা




গাইবান্ধা, রংপুর
গাইবান্ধা বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য জেলা এবং রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক এলাকা। জেলার অঞ্চলগুলির ৫,২০০ বছরেরও বেশি ইতিহাস রয়েছে, তাই এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে গাইবান্ধা এলাকার নির্দেশিকা অতীতের অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখায়।
গাইবান্ধা ১৯৮৪ সালে একটি জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ভূমির মোট আয়তন ২,১১৪.৭৭ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ২৬,২১,৭৫৬ জন। জেলা উত্তরে রংপুর ও কুড়িগ্রাম, দক্ষিণে বগুড়া, পূর্বে দিনাজপুর ও জয়পুরহাট, এবং পশ্চিমে কুড়িগ্রাম, জামালপুর ও যমুনা নদী দ্বারা বেষ্টিত।
প্রাচীন এলাকা হওয়ায় গাইবান্ধা ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সমৃদ্ধ। জেলার সবচেয়ে পুরনো স্থাপত্যগুলোর মধ্যে রয়েছে গাইবান্ধা খান বাহাদুর জমিদার বাড়ি, নলডাঙ্গা জমিদার বাড়ি এবং বরদান কুঠি। জেলা ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ঘাঘট, করতোয়া নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত।
মানুষ নদীর ঘাট বা তীরবর্তী এলাকাগুলোতে গিয়ে মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে এবং ব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি দূর করতে পারে। এছাড়া, আধুনিক বিনোদন কেন্দ্রের মধ্যে গাইবান্ধা পৌর পার্ক, ড্রিম সিটি পার্ক, মিনি নিকলি গোবিন্দগঞ্জ, আলিবাবা থিম পার্ক ইত্যাদি রয়েছে।
গাইবান্ধায় ৫,৭৭৩টি মসজিদ, ৮৯২টি মন্দির এবং কয়েকটি অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও, এখানে ২টি সিনেমা হল, ২,৫০০-এর বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলায় ৬৪টি বেসরকারি ক্লিনিক, ১টি সাধারণ হাসপাতাল, ১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কয়েকটি অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে।
এ জেলার অর্থনীতি কৃষির ওপর নির্ভরশীল, যা মোট অর্থনৈতিক উৎসের প্রায় ৪৪.৪৫%। তবে, ছোট ব্যবসা, কৃষি ছাড়া অন্যান শ্রম, পরিবহন, সেবা এবং ক্ষুদ্র শিল্পগুলোও অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে।
বিভিন্ন জেলা দ্বারা পরিবেষ্টিত হওয়ায় গাইবান্ধায় বিভিন্ন উপভাষা শোনা যায়, যা এটিকে আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে। ভবিষ্যতে, গাইবান্ধা আরও আধুনিক উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে যাবে এবং নতুন আবাসন প্রকল্পগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে বৃদ্ধি পাবে।
সিটি ইনসাইট
পরিচিত ল্যান্ডমার্ক সমূহ

Jamalpur Shahi Masjid

Gaibandha Agriculture Training Institute

Gaibandha Khan Bahadur Jamidar Bari

Sree Sree Durgabari Mondir

Naldanga Jamidar Bari

