- ///
- গাজীপুর
গাজীপুর, ঢাকা
গাজীপুর ঢাকা বিভাগের অন্যতম জেলা। এটি ঢাকার অদূরে অবস্থিত হওয়ায় এটি একদিকে প্রাণবন্ত অন্যদিকে রয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা। এটি প্রাকৃতিক আকর্ষণ, সাংস্কৃতিক স্থান এবং কোলাহলপূর্ণ বাজারের একটি চমৎকার সমন্বয়। গাজীপুরের আয়তন ১৭৪১.৫৩ কিমি এবং বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৫২৬৩৪৫০। গাজীপুরের উত্তরে ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা, পূর্বে নরসিংদী এবং পশ্চিমে ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলা রয়েছে।
১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই জেলাটি এখন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে পরিণত হয়েছে। এটি গাজীপুর সদর, কালিয়াকৈর, কাপাসিয়া, শ্রীপুর ও কালীগঞ্জ সহ কয়েকটি উপজেলা নিয়ে গঠিত। প্রশাসনিক গুরুত্বের কারণে জেলাটি বর্তমানে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হয়েছে। জেলা শহর প্রশাসনিক কাজে প্রতিনিয়ত মানুষের ভিড়। ঢাকা জেলা থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই জেলাটি দেশের একটি অত্যন্ত উন্নত ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
গাজীপুর বাংলাদেশের একটি প্রধান শিল্প কেন্দ্র, যেখানে অসংখ্য টেক্সটাইল, গার্মেন্টস এবং ওষুধের কারখানা রয়েছে। শিল্প প্রবৃদ্ধি এলাকার উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান, বেকারত্ব দূরীকরণ এবং এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে যা সত্যিই প্রশংসনীয়। একই সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিনিধিত্ব করে এখানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করছেন। গাজীপুর বিশ্ব ইজতেমার আবাসস্থল, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বার্ষিক মুসলিম সমাবেশ।
অসংখ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন সহ জেলাটির একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান এবং ভাওয়াল রাজবাড়ি এই স্থানের ঐতিহাসিক গভীরতা প্রতিফলিত করে। এটি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের নিজ জেলা। কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। এগুলো ছাড়াও গাজীপুর টাউন মার্কেট, ভাওয়াল রাজবাড়ী মার্কেটসহ জলেটিতে রয়েছে প্রাণবন্ত বাজার। যেখানে হস্তশিল্প থেকে বিভিন্ন ধরনের তাজা পণ্য আপনার নখদর্পণে পাওয়া যায়। পর্যাপ্ত পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ রয়েছে। যাতায়াতের জন্য সড়ক ও রেল ব্যবস্থা রয়েছে। বাস, ট্রেন সহ বিভিন্ন ধরণের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এখানে সহজেই পাওয়া যায় যা জেলা থেকে সহজে প্রবেশাধিকার প্রদান করে।
গাজীপুরের একটি সমতাপূর্ণ এবং নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু রয়েছে। তাদের নিজস্ব আঞ্চলিক ভাষা, খাদ্যাভ্যাস এবং দর্শন রয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে কারখানা ও ভবন নির্মাণের কারণে যানজটসহ নানা সমস্যা লেগেই থাকে। সামগ্রিকভাবে, গাজীপুরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব, শিল্প বৃদ্ধি, শিক্ষাগত উৎকর্ষতা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশ্রণ এটিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি অনন্য এবং গতিশীল অঞ্চলে পরিণত করেছে যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের উৎস।
সিটি ইনসাইট
গাজীপুর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির তাৎপর্য বহনকারী একটি জেলা যা এখন একটি উন্নত জেলার উদাহরণ।ঢাকার খুব কাছে অবস্থিত, গাজীপুর জেলার একটি আলাদা গুরুত্ব রয়েছে সারা দেশে। এখান থেকে আপনি সহজেই বাংলাদেশের যেকোনো জেলায় যেতে পারবেন।ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক এই জেলা যেখানে সব ধর্মের মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করছে। শহুরে পরিবেশের পাশাপাশি রয়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশের সমাহার।সড়ক ও ট্রেন উভয় পরিবহন ব্যবস্থাই এখানে উন্নত। এখানে আপনি সব ধরনের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন এবং প্রাইভেট ট্রান্সপোর্ট ব্যবহারের সুবিধাও রয়েছে।বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ইত্যাদি শহরের কাছাকাছি হওয়ায় দ্রুত যোগাযোগ সম্ভব।পরিচিত ল্যান্ডমার্ক সমূহ
Nuhash Polli
Bhawal National Park
Bangabandhu Hi-Tech City
Sultanpur Dargapara Shahi Mosque
Green View Golf Resort
সংযোগ
বাস রুট
কাছাকাছি রেলস্টেশন
নতুন উন্নয়ন
পূর্বাচল নিউ টাউন প্রজেক্টসড়ক সংস্করণ ও ৬ লেন সড়কের কাজ চলছে।
এখানে কি ভালো?
শহরের একটি কেন্দ্রীয় জেলা হওয়ায় এখানে রয়েছে সব ধরনের উন্নত ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। এছাড়া ঢাকার কাছাকাছি হওয়ায় রাজধানীসহ দেশের সব জেলায় যাতায়াত ব্যবস্থা বেশ ভালো। সড়ক ও রেল উভয়ই বেশ সন্তোষজনক।বাস, অটো, রিকশা, সিএনজি ইত্যাদি এখানে বহুল ব্যবহৃত ট্রান্সফার মোড। এছাড়াও রাইডশেয়ার, উবার এবং পাঠাও-এর মতো অতিরিক্ত সুবিধা প্রদানকারী পরিবহন মোড রয়েছে।এখানে আপনি দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক স্থান ইত্যাদি দেখতে পাবেন। এই জায়গাটিতে প্রচুর লোক বাস করে যার কারণে এটি একটু ঘনবসতিপূর্ণ।এই জেলার রয়েছে শত বছরের ঐতিহ্য এবং রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের অসংখ্য স্মৃতি। এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মান ভালো এবং কলকারখানার সংখ্যার কারণে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।শহরের পরিবেশের পাশাপাশি এখানে রয়েছে শান্তিপূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশের ছোঁয়া। ঢাকা জেলা কাছাকাছি হলেও এখানকার পরিবেশ ঢাকার চেয়ে বেশ ভালো।
কোথায় উন্নয়ন প্রয়োজন?
এখানে কর্মসংস্থান বেশি, বহু মানুষের বসবাস, তাই রাস্তায় দীর্ঘ জ্যাম।সব পণ্যের দাম একটু বেশি এবং এখানে থাকার খরচও বেশ ভালো। আবার শিল্প এলাকার আশপাশের পরিবেশও লক্ষ্য করা যায়।নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখানে যথেষ্ট নয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। তবে সংরক্ষিত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ ভালো।ঢাকার তুলনায় পরিবেশ দূষণ কম।তবে কারখানার বর্জ্য পদার্থের যথাযথ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে হবে, তা না হলে পানি দূষণ, মাটি দূষণ, বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণের মতো সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠবে।প্রতিবেশী রেটিং
3.8
প্রতিবেশী রেটিং
3.8
গাজীপুর-এর প্রপার্টি প্রাইস ট্রেন্ড
