- ///
- কুষ্টিয়া




কুষ্টিয়া, খুলনা
কুষ্টিয়া খুলনা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা এবং এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত। কুষ্টিয়া শহর দেশের ১৩তম বৃহৎ শহর এবং এর পৌরসভা দেশের ৩য় বৃহৎ পৌরসভা। কুষ্টিয়ার মোট ভূমি এলাকা ১,৬২১.১৫ বর্গকিলোমিটার। ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, জেলার জনসংখ্যা ২১ লক্ষাধিক।
কুষ্টিয়াকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। এখানে দেশের ২য় বৃহৎ শিল্পকলা একাডেমি অবস্থিত এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল। এই জেলার সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে এবং মীর মশাররফ হোসেন, লালন শাহ, বাঘা যতীন প্রমুখ ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব এই জেলারই সন্তান। তাছাড়া, মহান কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তাঁর শৈশবের একটি অংশ এই জেলায় কাটিয়েছেন।
পর্যটন স্পট হিসেবে মীর মশাররফ হোসেন মেমোরিয়াল ও মিউজিয়াম, রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি ও কাছারি ঘর, ঠাকুর লজ, লালন শাহ মাজার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। জগতী রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন। এছাড়া কুষ্টিয়ার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়।
ব্রিটিশ ও মুঘল আমলের ইতিহাস বহনকারী আরও কয়েকটি স্থান হলো জুবিলি ব্যাংক, ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ, হরিনারায়ণপুর শাহী মসজিদ ইত্যাদি। তিলের খাজা, যা ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে এখানে উৎপাদিত হচ্ছে, কুষ্টিয়ার একটি প্রসিদ্ধ পণ্য।
এছাড়া, খোকসা কালী মন্দির, ইউটিউব গ্রাম, কুষ্টিয়া পৌর জাদুঘর, কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী পার্ক, মনি পার্ক ইত্যাদিও জনপ্রিয় আকর্ষণ। মধুমতি নদী, লালন শাহ সেতু, হার্ডিঞ্জ ব্রিজও পর্যটকদের মন কাড়ে।
জেলার অর্থনীতি প্রধানত বিভিন্ন ধরনের শিল্পের উপর নির্ভরশীল। কৃষি, পশুপালন, অ-কৃষি শ্রম, শিক্ষা, পরিবহন এবং ব্যবসাও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। তবে, নদী ভাঙন, পানির সংকট, বন্যা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যা ইত্যাদি সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে জেলাটি।
সিটি ইনসাইট
পরিচিত ল্যান্ডমার্ক সমূহ

Shilaidaha Rabindra Kuthibari

Jhaudia Shahi Mosque

Tagore Lodge

Kushtia Municipality Museum

Jagati Railway Station

