- ///
- রাজবাড়ী




রাজবাড়ী, ঢাকা
রাজবাড়ী, ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ একটি প্রাণবন্ত জেলা। ঐতিহাসিক স্থাপত্য এবং গ্রামীণ সৌন্দর্যের পাশাপাশি জেলাটি কৃষি কার্যক্রম এবং শিল্পকারখানা ভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য পরিচিত। কৃষি পণ্য এবং মৎস্য উৎপাদন, এই জেলার প্রধান অর্থনৈতিক ভিত্তি। এখানে আপনি ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার একটি অপূর্ব মেলবন্ধন দেখতে পাবেন।
প্রমত্তা পদ্মাকে স্বাক্ষী রেখে তার কোল ছুঁয়ে এক অসামান্য নগর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে রাজবাড়ী। নামই যার রাজবাড়ী, তার ইতিহাসের গল্পে রাজা, মহারাজাদের কথা তো থাকবেই। বলা হয়ে থাকে, রাজা সূর্য কুমারের নামানুসারেই এই অঞ্চলের নাম হয় রাজবাড়ী। অনেক জেলার সাথে সমন্বিত করার পর ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে রাজবাড়ী।
জেলাটির একপাশে মানিকগঞ্জ আর আরেকপাশে কুষ্টিয়া। নদীবিধৌত বাংলার এক অপার দৃষ্টান্ত এই অঞ্চল। পদ্মা, চন্দনা, গড়াই এর মতন বৃহৎ নদীমালা তো আছেই, সাথে আছে নানান রকমের উপনদী আর শাখা নদী। এখানে প্রচুর ধান, পাট, আখ এবং সবজি উৎপাদিত হয়, যা স্থানীয় অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া পাট, চিনি, পেঁয়াজ, এবং রসুন উৎপাদনে এই জেলা অনন্য।
নদী বিধৌত অঞ্চল বলে রাজবাড়ী শস্য শ্যামলে যেমন পূর্ণ, তেমনি শিল্প ও বাণিজ্যে বেশ অগ্রসর। নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া আর পদ্মার আশীর্বাদ এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতির যাত্রার পথ অনেকটা সুগম করেছে । আর জেলা যদি হয় পদ্মার পাড়ে, তবে মৎস জীবিকার কথা তো ভুলাই যায় না। এ অঞ্চলের অনেক মানুষ পদ্মায় মাছ ধরে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর রাজবাড়ীর আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক প্রসার হয়েছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট, ঢাকা-ফরিদপুর হাইওয়ে, ঢাকা-কুষ্টিয়া হাইওয়ে, এবং রাজবাড়ী-বালিয়াকান্দি রোড, এই জেলাটিকে সারা দেশের সাথে সংযুক্ত করেছে।
রাজবাড়ীতে মুঘল এবং ব্রিটিশ আমলের স্থাপনা, মন্দির, মসজিদ সহ বেশ কিছু প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে। এক সময় রাজবাড়ীতে নদী ভাঙন ছিল নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। কত প্রাণ আর সম্পদ যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে তার ইয়ত্তা নেই। তবে বর্তমানে বাঁধ বাঁধার ফলে এই সমস্যার ক্রমশ সমাধান হচ্ছে। তবু্ও বর্ষার শুরু আর শেষে প্রায়ই নদী ভাঙনের খবর পাওয়া যায়। প্রতি বছরই নদী ভাঙনে বিলীন হয় এ জেলার ফসলি জমি, বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা।
তবুও জীবিকার তাগিদে মানুষ লড়াই করে যায় দৃপ্ত চিত্তে। রাজবাড়ীর মানুষের ভাগ্যর উন্নয়ন হয়েছে শিল্পকারখানায় কর্মসংস্থান ও শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে। এখন ঘরে ঘরে শিক্ষিত জনবল রাজবাড়ীকে গড়ে তুলছে আধুনিক শহর হিসেবে। ব্যবসা বাণিজ্যের যাতায়াতের সুবিতার্থে অনেক কল-কারখানা আর শিল্প নগরী গড়ে উঠছে। এই অঞ্চলটি নদী বেষ্টিত, এবং এখানকার নৈসর্গিক নির্মল গ্রামীণ পরিবেশ আপনাকে মানসিক প্রশান্তি এনে দেবে।
সিটি ইনসাইট
পরিচিত ল্যান্ডমার্ক সমূহ

Mir Mosharraf Hossain Memorial Museum

Kuthi Pachuria Zamindar Bari

Kalyan Dighi

Barbakpur Zamindar Bari

