- ///
- ফেঞ্চুগঞ্জ
![kushiyara river এর ছবি](/_next/image?url=https%3A%2F%2Fpropertyguide-store.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com%2Fbikroy%2FUntitled_design_5_4237fcce36.jpg&w=3840&q=75)
![haji md abdul jalil grand mosque এর ছবি](/_next/image?url=https%3A%2F%2Fpropertyguide-store.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com%2Fbikroy%2Fmedium_Untitled_design_1_63341e000a.png&w=3840&q=75)
![kushiyara river bridge এর ছবি](/_next/image?url=https%3A%2F%2Fpropertyguide-store.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com%2Fbikroy%2Fmedium_Untitled_design_6_803885d7ad.jpg&w=3840&q=75)
![monipuri tea estate এর ছবি](/_next/image?url=https%3A%2F%2Fpropertyguide-store.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com%2Fbikroy%2Fmedium_Untitled_design_7_3b44987d38.jpg&w=3840&q=75)
ফেঞ্চুগঞ্জ, সিলেট
ফেঞ্চুগঞ্জ, সিলেট জেলার অন্তর্ভুক্ত একটি উপজেলা। এই উপজেলা কুশিয়ারা নদী এবং হাকালুকি হাওর বেষ্টিত। এখানকার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, গ্যাসক্ষেত্র, সার কারখানা, কৃষি পণ্য, চা বাগান, এবং পর্যটন কেন্দ্র দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। এছাড়াও এখানকার পাহাড়, নদী এবং গাছপালা বেষ্টিত নৈসর্গিক সৌন্দর্য প্রকৃতি প্রেমী এবং পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
অনেকে বিশ্বাস করেন, ফেঞ্চুগঞ্জ নামটি এসেছে শাহ মালুম মাজার (রঃ) বা দরগার সেবক পেঞ্চু শাহ থেকে। তিনি কুশিয়ারা নদীর ঘাট এলাকায় একটি দোকান খোলেন, যা পরে বিস্তৃত হয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ নামে একটি বাজার এলাকা হয়ে ওঠে। ফেঞ্চুগঞ্জ ১৯০৭ সালে একটি থানা এবং ১৯৮০ সালে উপজেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। উপজেলাটির আয়তন প্রায় ১১৪.৪৮ বর্গ কিলোমিটার। এখানে প্রচুর ধান, আনারস, পান পাতা, এবং মশলা উৎপাদিত হয়।
বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিল্প-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাজার, চিকিৎসা কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং বিনোদন কেন্দ্র থাকায় এই এলাকাটির জীবনধারা ক্রমশ বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠছে। এছাড়াও সড়ক, নৌ এবং রেলপথ সুসংযুক্ত হওয়ায় এই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ ভালো। সিলেট-মৌলভীবাজার হাইওয়ে, মীরগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণ বাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ রোড, এই উপজেলাকে সারা দেশের সাথে সংযুক্ত করেছে।
এই উপজেলায় ১১৭টি গ্রাম, ৫টি ইউনিয়ন এবং ৩০টি মৌজা রয়েছে। এর উত্তরে দক্ষিণ-সুরমা ও গোপালগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলা, পূর্বে গোলাপগঞ্জ ও বড়লেখা উপজেলা এবং পশ্চিমে বালাগঞ্জ উপজেলা রয়েছে। এই উপজেলায় ১৩১টি মসজিদ, ৪টি মন্দির, ৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১১টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৬টি মাদ্রাসা এবং ৩টি কলেজ রয়েছে।
এই উপজেলায় ৫টি সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। ১৮০ মেগাওয়াট ফেঞ্চুগঞ্জ কম্বাইন্ড সাইকল গ্যাস বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং কুশিয়ারা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এখানকার বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই এলাকায় দুটি সরকারী সার কারখানা রয়েছে - ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা, এটি এশিয়ার প্রথম সার কারখানা, এবং শাহজালাল ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিঃ, এটি দেশের সর্ববৃহৎ সার কারখানা। এছাড়াও এখানে তিনটি চা বাগান, তিনটি রাবার বাগান, একটি গ্যাসক্ষেত্র, ইটের ভাটা, জেটি, রাবার ড্যাম এবং আরও বেশ কিছু কারখানা রয়েছে।
এই উপজেলা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য পরিচিত হলেও, এখানকার পর্যটন স্পটগুলোর জন্যও জনপ্রিয়। মনিপুরি টি এস্টেট, এখানকার জনপ্রিয় পর্যটন স্পট। এই এলাকার হাকালুকি হাওর, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হাওর। এখানকার মানুষ ধর্মপ্রাণ এবং অতিথিপরায়ন।
এলাকাটি পাহাড়, নদী, এবং চা বাগান সহ মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য পরিচিত। বসবাস করার জন্য সবকিছু আশাব্যঞ্জক মনে হলেও, ফেঞ্চুগঞ্জেরও কিছু অপূর্ণতা রয়েছে। বর্ষাকালে এলাকাটিতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়, তাই বন্যার প্রবণতা থাকে। প্রচুর কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায়, এই উপজেলায় উন্নত মানের আবাসিক ভবনের চাহিদা তৈরী হয়েছে।
সিটি ইনসাইট
পরিচিত ল্যান্ডমার্ক সমূহ
Kushiyara River
Kushiyara River Bridge
Monipuri Tea Estate
Shahjalal Fertilizer Company Ltd.(SFCL)
Haji Md Abdul Jalil Grand Mosque