- ///
- বন্দর
![sree sree kali bari cremation temple এর ছবি](/_next/image?url=https%3A%2F%2Fpropertyguide-store.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com%2Fbikroy%2FUntitled_design_7_9066788d6f.jpg&w=3840&q=75)
![port colony এর ছবি](/_next/image?url=https%3A%2F%2Fpropertyguide-store.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com%2Fbikroy%2Fmedium_Untitled_design_5_3260a38f1f.jpg&w=3840&q=75)
![begumjan school এর ছবি](/_next/image?url=https%3A%2F%2Fpropertyguide-store.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com%2Fbikroy%2Fmedium_Untitled_design_4_245c28876f.jpg&w=3840&q=75)
![chittagong custom house এর ছবি](/_next/image?url=https%3A%2F%2Fpropertyguide-store.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com%2Fbikroy%2Fmedium_Untitled_design_2_48d356e38a.jpg&w=3840&q=75)
বন্দর, চট্টগ্রাম
বন্দর চট্টগ্রামের একটি থানা বা প্রশাসনিক এলাকা। বন্দর এলাকার গাইড অনুযায়ী, এর ভূমি এলাকা প্রায় ২০.০৪ বর্গ কিলোমিটার। এর উত্তরে ডবল মুরিং ও হালিশহর, পূর্বে কর্ণফুলী নদী ও কর্ণফুলী থানা, দক্ষিণে পতেঙ্গা এবং পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। বর্তমানে এখানে প্রায় ২,০০,০০০ মানুষের বসবাস, যা ৪টি ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন ও ১১টি মহল্লা নিয়ে গঠিত।
বন্দরের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর অন্যতম। কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত এই বন্দর দেশের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি। এটি স্থানটিকে দেশের বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে এবং এখানকার মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছে।
বাণিজ্যিক গুরুত্ব ছাড়াও, এই এলাকাটি ঐতিহাসিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই থানার নৌ-কমান্ডোরা পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক সফল অভিযান চালিয়েছিলেন। বর্তমানে এটি চট্টগ্রামের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা, যেখানে স্থানীয় ও পর্যটকদের প্রয়োজন মেটাতে বিভিন্ন বাজার এবং প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান।
বাজারের কথা বলতে গেলে, এখানে রয়েছে বন্দর বাজার, সাবের প্লাজা, সিটি কর্পোরেশন মার্কেট, জালাল প্লাজা, ফকিরহাট, স্টিল মিল বাজার, ইয়াসিন মিস্ত্রি হাট এবং আরও অনেক কিছু। উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম ইপিজেড, নেভি হাসপাতাল আবাসিক এলাকা, বন্দর ভবন, পোর্ট কলোনি, শিপিং কর্পোরেশন ভবন, সী-ম্যানস হোটেল এবং পোর্ট ট্রাস্ট অফিসার্স কলোনি। এই এলাকাগুলো বন্দর থানাকে কোলাহলে পূর্ণ একটি প্রাণবন্ত স্থান করে তুলেছে।
বন্দর এলাকায় বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা এর জনসংখ্যার বৈচিত্র্যময় পটভূমি প্রদর্শন করে। যেমন: বন্দর টিলা আলী শাহ মসজিদ, ইস্ট কলোনি বৌদ্ধ মন্দির, নিঃশ্চিন্তাপাড়া জামী মসজিদ, উমর শাহ মাজার, এস আলম মসজিদ, আনন্দবাজার কালী মন্দির, এবং শ্রীশ্রী কালী বাড়ি শ্মশান মন্দির।
এছাড়াও, এলাকাটিতে শিক্ষার হার বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার ফলে এর সাক্ষরতার হার বর্তমানে ৭২.৬%। পরিবহন এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে, এর অর্থনৈতিক গুরুত্বের কারণে বন্দর থানা বিভাগের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে সুসংহত যোগাযোগ ব্যবস্থা বজায় রেখেছে। পাশাপাশি, জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার্থে পাবলিক যানবাহনের সহজলভ্যতা এই এলাকায় সহজ চলাচল নিশ্চিত করে।