- ///
- হরিপুর




হরিপুর, রাজশাহী
হরিপুর, রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার অন্তর্ভুক্ত একটি ইউনিয়ন। এটি পদ্মার পাড়ে অবস্থিত একটি সীমান্তবর্তী এলাকা। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বেষ্টিত থাকায় এলাকাটির কৌশলগত অবস্থান, এটিকে বাণিজ্যিক দিক থেকে তাৎপর্যময় করেছে। এলাকাটি কৃষি, মৎস উৎপাদন, যোগাযোগ, পণ্য পরিবহন, এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্যও পরিচিত।
হরিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ অঞ্চল জুড়ে পদ্মা নদী এবং ভারত বর্ডার, পূর্বে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এবং বানেশ্বর, পশ্চিমে দেওপাড়া ইউনিয়ন এবং গোদাগাড়ী, উত্তরে দামকুড়া হাট এবং নওহাটা। রাজশাহী-নবাবগঞ্জ হাইওয়ে, দামকুড়া সড়ক, কাশিয়াডাঙ্গা সড়ক, এবং রাজশাহী সিটি বাইপাস রোড, এই এলাকাটিকে সমগ্র রাজশাহীর সাথে সংযুক্ত করেছে। এই সড়কগুলো স্থানীয় অর্থনীতি এবং আঞ্চলিক যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এখানকার অর্থনীতি মূলত পণ্য পরিবহন, কৃষি-মৎস উৎপাদন, গবাদি পশু পালন, এবং স্থানীয় ব্যবসার উপর নির্ভরশীল। এছাড়াও চাকরিজীবী, স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং পর্যটন এখানকার অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। এখানে প্রচুর দোকানপাট, এবং কাঁচাবাজার রয়েছে। হরিপুর ইউনিয়নে একটি খাল রয়েছে। এটি হরিপুর ইউনিয়নের টেংরামারী গ্রাম থেকে দামকুড়া ইউনিয়নের কিছু অংশ জুড়ে প্রবাহিত হয়েছে। প্রায় সারা বছরই এই খালে পানি পাওয়া যায়। এই খালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদিত হয় এবং কৃষকরা কৃষি কাজে সেচের উদ্দেশ্যে খালের পানি ব্যবহার করেন।
হরিপুর ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৩৭%। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কলেজের সংখ্যা ১টি, উচ্চ বিদ্যালয় ২টি, মাদ্রাসা ১টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬টি এবং বেসরকারি বিদ্যালয় ৫টি। উন্নত মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাছাকাছি হওয়ায়, এখানে বেশ কিছু মেস গড়ে উঠেছে। এখানকার মানুষ ধর্ম পরায়ন, এখানে বেশ কিছু মসজিদ রয়েছে।
হরিপুর ইউনিয়নের আয়তন ৩৭.৭৫ বর্গমাইল, ২৪টি গ্রাম এবং ১৭টি মৌজা নিয়ে গঠিত এই অঞ্চল। এই অঞ্চলটিতে অনেক কৃষিজমি এবং খোলা জায়গা রয়েছে। যোগাযোগ এবং পণ্য পরিবহন সুবিধাজনক হওয়ায়, এখানকার প্রপার্টিতে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। তবে গ্যাস সংযোগ এবং অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিস পর্যাপ্ত না হওয়ায় বড় কোনো কারখানা বা শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি।
এখানকার প্রপার্টির দাম এবং বাসা ভাড়া অনেকটা কম। এখানকার নদীমাতৃক সংস্কৃতি, ভাটিয়ালি গান, এবং স্থানীয় উৎসব, স্বতন্ত্র বৈচিত্র বজায় রেখেছে। এই অঞ্চলের গ্রামীণ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ, এবং পদ্মার পাড়ের মনোরম আবহাওয়া, এলাকাটিকে স্বাস্থকর আবাসিক পরিবেশ এনে দিয়েছে। এই এলাকাটি তাদের জন্য আদর্শ যারা প্রকৃতির কাছাকাছি শান্ত জীবনযাপন পছন্দ করেন এবং রাজশাহী শহরের সুযোগ-সুবিধা পেতে চান। এলাকার মানুষজন খুবই পরিশ্রমী এবং বন্ধুত্বপূর্ণ।
সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায়, এখান থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কর্মস্থলে যাওয়া খুব সহজ। তবে এই এলাকায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং ইউটিলিটি সার্ভিস পর্যাপ্ত নয়। দামকুড়া পুলিশ স্টেশন এই এলাকার খুব কাছেই অবস্থিত। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানে সবসময় বিজিবি টহল জোরদার থাকে।
সিটি ইনসাইট
পরিচিত ল্যান্ডমার্ক সমূহ
Puthia Rajbari (Puthia Palace)
Puthia Temple complex
Padma River
Rajshahi University
Varendra Research Museum