Search Icon

Bangladesh এর এলাকাগুলি ঘুরে দেখুন

306টি এলাকার মধ্যে 72 - 90টি
আখালিয়া প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.3

আখালিয়া
, সিলেট

আখালিয়া সিলেট শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিচিত এলাকা, যা সিলেট সদর উপজেলার একটি অংশ। জেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত এই এলাকাটি সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক ঘেঁষে ও সিলেট জেলার মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদী থেকে ২ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত। আখালিয়া এলাকায় সড়ক, বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। চলুন আজকের এরিয়া গাইডে জেনে নেই এই অঞ্চল সম্পর্কে। <br><br> আখালিয়া এলাকাটি আবাসিক, বাণিজ্যিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অনেক স্কুল, কলেজ এবং অফিস প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা স্থানীয় জনগণের জীবনে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করে। বিভিন্ন ধরনের দোকান, বাজার এবং কমিউনিটি সেন্টার থাকার কারণে এই এলাকায় জীবনযাত্রার মান বেশ উন্নত । বিশেষভাবে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়) এর থাকায় আখালিয়া অন্যতম জনপ্রিয় এলাকা হয়ে উঠেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি এলাকাটির চারপাশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটিয়েছে এবং দেশজুড়ে ছাত্র-ছাত্রী এবং দর্শনার্থীরা এইখানে পড়তে এবং ঘুরতে আসে। <br><br> কুমারপাড়া, সুরমা রেসিডেনশিয়াল এরিয়া, ইউনিভার্সিটি অ্যাভিনিউ, নেহারিপাড়া সহ আরো অনেক ছোট এলাকাগুলো আখালিয়ার অন্তর্ভুক্ত। সুরমা রেসিডেনশিয়াল এরিয়া এইখানের স্থানীয়দের জন্য বেশ আদর্শ আবাসন স্থান; কেননা এই স্থানটিতে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল এবং অন্যান্য সুবিধাগুলো রয়েছে। <br><br> ইউনিভার্সিটি রোড, আখালিয়া নিউ মার্কেট রোড, কালিবাড়ি রোড, এবং সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক; এই সবকটি রাস্তাই আখালিয়াতে সংযুক্ত। এখানে বিভিন্ন বাস রুট থাকলেও, রিকশা, সিএনজি, এবং স্থানীয় পরিবহন ব্যবহারের মাধ্যমে এলাকাটি অতি সহজেই ভ্রমণ করে দেখা সম্ভব। তবে এখানে কোনো রেলস্টেশন নেইস। এখানকার দোকানগুলো দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপাতি কেনার জন্য খুবই সুবিধাজনক। এছাড়াও, রয়েছে একটি সুপারমার্কেট, আধুনিক দোকান, গ্যাস স্টেশন ইত্যাদি। আখালিয়া এলাকাটি বেশ শান্তিপূর্ণ। এখানকার পরিবেশ এতটাই উপভোগ্য যে এখানে শুধু পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখতেও বেশ ভালো লাগে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
আন্দরকিল্লা প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.3

আন্দরকিল্লা
, চট্টগ্রাম

আন্দরকিল্লা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ড অন্তরর্ভুক্ত। এটি চট্টগ্রামের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এর পূর্বে দেওয়ান বাজার, পাথরঘাটা এবং বকশিরহাট, পশ্চিমে এনায়েত বাজার, দক্ষিণে জামালখান এবং উত্তরে ফিরিঙ্গি বাজার ঘিরে রয়েছে। আন্দরকিল্লা এলাকার গাইড অনুযায়ী, এই ওয়ার্ডের উল্লেখযোগ্য স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে আন্দরকিল্লা, লালদিঘী, চেরাগী পাহাড়, আসাদগঞ্জ এবং খাতুনগঞ্জ। <br><br> আন্দরকিল্লার বিশেষত্ব এর ঐতিহাসিক পটভূমি, যা মুঘল শাসনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। একসময় এটি পর্তুগিজ জলদস্যুদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। মুঘলরা এটি দখল করার পর বিজয়ের স্মারক হিসেবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ নির্মাণ করেন। এই মসজিদটি এখনো তার অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য বিখ্যাত, যা যেকোনো পর্যটককে মুগ্ধ করবে। <br><br> বর্তমানে ০.৭৭ বর্গকিলোমিটার জমি নিয়ে গঠিত এই এলাকায় প্রায় ২৫,০০০ মানুষের বসবাস। এখানে একটি আইন কলেজ, একটি কামিল মাদ্রাসা, ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৩টি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে, যা আন্দরকিল্লার ৮০% সাক্ষরতার হারকে প্রমাণ করে। <br><br> অর্থনৈতিক দিক থেকেও আন্দরকিল্লা ভালো অবস্থানে রয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শাখা এই এলাকার অর্থনৈতিক অবদানের প্রতিফলন ঘটায়। পাশাপাশি, এলাকার বাজার এবং শপিং কমপ্লেক্সগুলো জীবনের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সহায়ক। কাঁচাবাজার থেকে ফাস্ট ফুড, পোশাক থেকে বিলাসবহুল পণ্য—সবকিছু এখানে সহজলভ্য, যা আন্দরকিল্লায় একটি আরামদায়ক জীবনযাপনের সুযোগ দেয়। পর্যটকরা এলাকায় প্রবেশ করলে দিন-রাত যেকোনো সময় এটি প্রাণবন্ত অবস্থায় পাবেন। <br><br> পরিবহনের ক্ষেত্রে আন্দরকিল্লা অত্যন্ত সুবিধাজনক। প্রথমত, এটি চট্টগ্রাম শহরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকার কাছাকাছি। দ্বিতীয়ত, এখানে বিভিন্ন ধরণের গণপরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে, যেমন রিকশা, লোকাল বাস এবং সিএনজি। ফলে অফিস বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের জন্য মানুষ এই এলাকাকে পছন্দ করে। <br><br> এছাড়া, এই ওয়ার্ডে একাধিক হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলো উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। এদের মধ্যে কিছু ২৪/৭ খোলা থাকে। এই কারণেও অনেকেই শহরের এই কেন্দ্রস্থলে বসবাস করতে আগ্রহী।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
ঈশ্বরগঞ্জ প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.3

ঈশ্বরগঞ্জ
, ময়মনসিংহ

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা, বা সাব-জেলা, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত। এটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং গ্রামীণ আকর্ষণে সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল। ২৮৬.১৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলায় আনুমানিক ৪,০৪,৫৯৮ জন লোক বাস করে। ঈশ্বরগঞ্জ নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে, তবে এটি সম্ভবত ‘ঈশ্বর’ শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যা কোনো জমিদার বা ধর্মীয় স্থানের নাম থেকে আসতে পারে।<br><br> বর্তমানে, এর ১টি পৌরসভা, ১১টি ইউনিয়ন, ২৯৩টি মৌজা এবং ৩০৪টি গ্রাম রয়েছে। উত্তরে গৌরীপুর উপজেলা, দক্ষিণে নান্দাইল উপজেলা, পূর্বে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা এবং পশ্চিমে ময়মনসিংহ সদর ও ত্রিশাল উপজেলা অবস্থিত। উপজেলার মধ্য দিয়ে সুন্দর নরসুন্দা নদীও প্রবাহিত হয়েছে, যদিও এর অনেক অংশ শুকিয়ে গেছে।<br><br> ঈশ্বরগঞ্জ ঐতিহ্যবাহী সমাজব্যবস্থা এবং শক্তিশালী সম্প্রদায়গত বন্ধনের জন্য পরিচিত। ঈশ্বরগঞ্জের মানুষ তাদের আতিথেয়তার জন্য পরিচিত, এবং এই অঞ্চলের গ্রামীণ ভূদৃশ্য শহুরে জীবনের কোলাহল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে বিশ্রামের সুযোগ করে দেয়।<br><br> ঈশ্বরগঞ্জের বেশিরভাগ বাসিন্দা কৃষিকাজ করেন। ধান, পাট এবং বিভিন্ন শাকসবজি এখানে চাষ করা প্রধান ফসল, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। পরিবহন এবং অন্যান্য যোগাযোগ রাস্তা এবং মহাসড়কের উপর নির্ভর করে। তবে, উপজেলায় তিনটি রেলওয়ে স্টেশন থাকা সুবিধাজনক যোগাযোগের জন্য একটি অতিরিক্ত সুবিধা লাভ করে।<br><br> ঈশ্বরগঞ্জে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়, তাই উপজেলা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বেশ কয়েকটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলি ১৯০০ এর দশকের গোড়ার দিকে বা শেষের দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্যাক্সেস এখনও উন্নত করা প্রয়োজন, যার ফলে অনেক শিক্ষার্থী আরও পড়াশোনার জন্য নিকটবর্তী শহর ও শহরে ভ্রমণ করতে বাধ্য হয়।<br><br> এই চ্যালেঞ্জগুলি সত্ত্বেও, ঈশ্বরগঞ্জে সাক্ষরতার হার ক্রমাগত উন্নতি করছে, যা শিক্ষার প্রতি সম্প্রদায়ের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। শহর সম্প্রদায়ও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যদিও অনেক মানুষ গ্রামাঞ্চলে বাস করে।<br><br> আপনিও ঈশ্বরগঞ্জের বিভিন্ন ঐতিহাসিক এবং আকর্ষণীয় স্থানও ঘুরে দেখতে পারেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল আঠারবাড়ির জমিদার বাড়ি এবং জমিদার বাড়ি পুকুর। এছাড়াও রয়েছে ঈশ্বরগঞ্জ বড় জামে মসজিদ, বড় কালীবাড়ি মন্দির, মরিচার চর ইত্যাদি।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
উপশহর প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.3

উপশহর
, সিলেট

সিলেট উপশহর যা শাহজালাল উপশহর নামেও পরিচিত, সিলেট শহরের একটি দ্রুত বিকাশমান এবং জনপ্রিয় এলাকা। এটি সুরমা নদীর পাশে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। <br><br> উপশহর এলাকাটি কারিমগঞ্জ-সিলেট সড়ক ও বিশ্ব সড়ক ধরে যাত্রা করলে খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। এলাকায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই শান্ত ও মনোরম পরিবেশ চোখে পড়ে। এখানে বেশিরভাগই আবাসিক এলাকা, যা একটি আধুনিক জীবনের আভাস দেয়। স্প্রিং গার্ডেন নামের একটি আধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স এখানে অবস্থিত। <br><br> এলাকার ভিতরে কোনো বাস রুট নেই। তবে যারা বাসে ভ্রমণ করতে চান, তাদের রোজ ভিউ পয়েন্ট ও মেন্দিবাগ পয়েন্ট থেকে যাত্রা শুরু করতে হয়। গাড়ী, রিকশা ও অন্যান্য স্থানীয় যানবাহন এলাকায় সহজলভ্য। <br><br> উপশহরে দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর জন্য প্রচুর বাজার, সুপার শপ এবং রিটেইল স্টোর রয়েছে। রোজ ভিউ শপিং কমপ্লেক্স ও হাট সুপার মল হলো এলাকার দুইটি প্রধান শপিং সেন্টার। <br><br> এছাড়াও, রোজ ভিউ শপিং কলপ্লেক্স ও হাট সুপার মল এর পাশাপাশি অতিথিদের জন্য রয়েছে হোটেল গ্র্যান্ড সুরমা ও রোজ ভিউ হোটেল, যা নিরাপদ ও আরামদায়ক সেবা প্রদান করে। <br><br> এলাকার শিক্ষার হার সন্তোষজনক। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুল, নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ, শাহজালাল উপশহর উচ্চ বিদ্দালয় বিদ্যালয় এবং সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। <br><br> এলাকায় অ্যাপার্টমেন্ট, বাণিজ্যিক স্থান, বা জমি কিনতে বা ভাড়া নিতে খরচ তুলনামূলক বেশি। তবুও, এলাকাটি আধুনিক জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই প্রদান করে, যেমন সহজ পরিবহন সুবিধা, শপিং মল ও ভালো লোকালয়ের বসবাস।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কাজীর দেউরি প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.3

কাজীর দেউরি
, চট্টগ্রাম

কাজীর দেউড়ি এলাকার গাইড অনুযায়ী, চট্টগ্রাম শহরের একটি পাড়া কাজীর দেউড়ি একসময় "কাজী" বা সালিশ আদালতের বিচারকদের জন্য পরিচিত ছিল। বছর আগে, সাধারণ মানুষের মাঝে বিরোধ মেটানো এবং অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য এই কাজীরা বিচারক হিসেবে কাজ করতেন। <br><br> সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের খ্যাতি বৃদ্ধি পায়, এবং সেই এলাকাটি কাজীর দেউড়ি নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। 'দেউড়ি' শব্দটির অর্থ ফটক, যার ভিতরে কাজীদের আদালত স্থাপন করা হয়েছিল। এটি কয়েক শতাব্দী আগের কথা, সম্ভবত মোগলদের বাংলা আগমনের আগের সময়ের। পরবর্তীতে ব্রিটিশ নথিপত্রেও কাজীর দেউড়ি নামটি পাওয়া যায়। <br><br> যদিও তাদের ঐতিহ্যবাহী কাজ বহুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে, কাজী পরিবারের বংশধরেরা এখনো চট্টগ্রামে বাস করেন। সময়ের সাথে সাথে তাদের জনপ্রিয়তা কমে গেলেও, এলাকার নাম কাজীদের অবস্থান ও খ্যাতির গুরুত্ব প্রকাশ করে। আজও তাদেরকে স্থানীয়দের মাঝে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়, যারা তাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে কাজীদের সম্পর্কে জেনেছেন। <br><br> বর্তমান সময়ে এসে কাজীর দেউড়ি চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রে একটি উন্নত এলাকা হয়ে উঠেছে। এখানকার বাসিন্দারা শহরের জীবনযাপনের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। এলাকার নগরায়ন একটি আধুনিক শহুরে জীবনের স্বাদ দেয়, যা এই এলাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটি কারণ। বহুতল ভবন ও অ্যাপার্টমেন্টগুলো অনেক পরিবারকে এখানে বসবাসের জন্য আকৃষ্ট করে। <br><br> এই একসময়ের শান্ত এলাকাটির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হলো স্টেডিয়ামপাড়া। এখানে অবস্থিত এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, যেখানে স্থানীয় দলগুলো ফুটবল ও ক্রিকেট খেলে। দেশের জাতীয় ফুটবল দলও মাঝে মাঝে এই বহুমুখী স্টেডিয়ামে খেলে। <br><br> স্টেডিয়ামপাড়ার কেন্দ্রে অবস্থিত মুক্ত মঞ্চ স্থানীয়দের প্রধান আকর্ষণ। এটি চা থেকে শুরু করে সীফুড এবং বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্টলগুলোর জন্য বিখ্যাত। যদি আপনি সিআরবি এলাকায় ঘুরতে যান, তবে এখানে থেমে আপনার পছন্দের খাবারের স্বাদ নেওয়া ভুলবেন না!
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
চুয়াডাঙ্গা প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.3

চুয়াডাঙ্গা
, খুলনা

চুয়াডাঙ্গা জেলা খুলনা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গ, মেহেরপুর, যশোর, ঝিনাইদহ এবং কুষ্টিয়া যথাক্রমে পশ্চিম, দক্ষিণ, পূর্ব এবং উত্তরে সীমান্ত। দেশভাগের আগে জেলাটি নদীয়া জেলার অধীনে একটি মহকুমা ছিল। চুয়াডাঙ্গা এলাকা নির্দেশিকা উল্লেখ করেছে যে এলাকাটি ১,১৫৭.৪২ বর্গ কিলোমিটারের একটি ভূমি যা ৪টি উপজেলায় বিভক্ত: চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, জীবননগর এবং দামুড়হুদা। প্রত্যেকে নিজের নামে একটি শহর চালায়। <br><br> চুয়াডাঙ্গা দেশের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। ১৯৭১ সালে, এটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র যেখানে মুক্তিবাহিনী এবং পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর মধ্যে ১০০ টিরও বেশি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। চুয়াডাঙ্গা সরকারি হাসপাতালে একটি গণকবরস্থান যেখানে গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের দাফন করা হয়েছিল। <br><br> জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষির উপর নির্ভরশীল, তুলা এর অর্থকরী ফসল। শ্রম বাজারের প্রায় ৬৮% এই সেক্টরে নিবেদিত, যেখানে মাত্র ১২% ব্যবসা-বাণিজ্যে নিযুক্ত। তা সত্ত্বেও, এলাকাটি শিল্প উন্নয়নের জন্য দুর্দান্ত প্রতিশ্রুতি দেখায়। <br><br> চুয়াডাঙ্গায় অনেক শিল্প গ্রুপ গড়ে উঠেছে, যেগুলো ইদানীং বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। এছাড়াও, এই শিল্পগুলি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় শ্রমশক্তি থেকে নিয়োগ করছে, তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করছে। <br><br> এলাকার সম্ভাব্য সমৃদ্ধির আরেকটি সূচক হল এর সাক্ষরতার হার ৭১.২০%, যা জাতীয় সাক্ষরতার হার (৭৪.৮০%) এর কাছাকাছি। এটি জেলার উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির দ্বারা ভালভাবে হিসাব করা হয়েছে। পরিবহণের ক্ষেত্রে, এলাকাটি আন্তঃজেলা মহাসড়ক এবং রেলপথ দ্বারা আশেপাশের জেলাগুলির সাথে ভালভাবে সংযুক্ত। <br><br> আবাসন এবং অন্যান্য সুবিধাও জেলায় উপলব্ধ এবং অ্যাক্সেসযোগ্য। ফলস্বরূপ, বাসিন্দারা একটি শালীন জীবনধারা বজায় রাখতে পারেন। এই ছোট জেলার ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক, প্রাকৃতিক স্পট এবং সর্বজনীন স্থানগুলি এর লোকেদের জন্য তাদের মনকে প্রতিবার একবারে সতেজ করার যথেষ্ট সুযোগ দেয়।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
পাহাড়তলী প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.3

পাহাড়তলী
, চট্টগ্রাম

পাহাড়তলী, তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব ছাড়াও, বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে শিক্ষা, ব্যবসা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সব দিক দিয়ে এখনও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।<br><br> এই পাহাড়ি এলাকায় চট্টগ্রামের বিখ্যাত চক্ষু হাসপাতাল, পাহাড়তলী স্কুল, কলেজ এবং সিডিএ মার্কেট রয়েছে যা চট্টগ্রামবাসীর মিলনমেলা। আবার রয়েছে ট্যুরিস্ট পার্ক ফয়স লেক ও আমবাগান। <br><br> তবে এখানে রয়েছে পাহাড়তলী রেলওয়ে স্টেশন, বেলুয়ার দিঘী, পাহাড়তলী মিশনারি সেন্টার এবং ইউরোপিয়ান ক্লাব যা ব্রিটিশ আমলের গৌরবময় স্মৃতি বহন করে।<br><br> পাহাড়তলী টেক্সটাইল ও হোসিয়ারি মিল, লালখান বাজার চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক আগ্রহের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান যা বাংলাদেশের সামগ্রিক বাণিজ্যিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করে।<br><br> শহরের প্রধান সড়কটিও পাহাড়তলীর সাথে সংযুক্ত যা চট্টগ্রামকে ট্রাঙ্ক রোডের সাথে সংযুক্ত করে।<br><br> তাছাড়া এ এলাকার স্থান ও সম্পদের কথা বিবেচনায় রেখে পাহাড়তলীতেও বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বসতি গড়ে তোলা হচ্ছে। মানুষও এখানে বসবাস করতে আগ্রহী।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বনানী প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.3

বনানী
, ঢাকা

বাংলাদেশের ঢাকার গুলশান থানায় অবস্থিত বনানী হল একটি জমজমাট বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকা যা উন্নত জীবনযাপন, প্রাণবন্ত পরিবেশ এবং মহাজাগতিক জীবনধারার জন্য পরিচিত। ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে গড়ে ওঠা বনানী ঢাকার সবচেয়ে সমৃদ্ধ এবং অন্বেষিত এলাকায় পরিণত হয়েছে।<br><br> বনানী তার সুপরিকল্পিত বিন্যাসের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে, প্রশস্ত রাস্তা, আধুনিক অবকাঠামো এবং উচ্চ-বৃদ্ধি আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স এবং শপিং সেন্টারের মিশ্রণ। এই এলাকাটি বাসিন্দাদের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আবাসস্থল, যার মধ্যে রয়েছে সমৃদ্ধ পরিবার, প্রবাসী এবং তরুণ পেশাদাররা এর সুবিধাজনক অবস্থান এবং বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধার প্রতি আকৃষ্ট।<br><br> বনানীর প্রধান আকর্ষণ গুলোর মধ্যে একটি হল বনানী লেক পার্ক, একটি মনোরম লেকের চারপাশে একটি নির্মল সবুজ স্থান, যা বাসিন্দাদের শহরের জীবনের তাড়াহুড়ো থেকে শান্তভাবে মুক্তি দেয়। পার্কটি সকালের সময় হাঁটা, ব্যায়াম এবং বিনোদনমূলক ক্রিয়াকলাপের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান, যা এটিকে আশেপাশের একটি লালিত সম্পদ করে তুলেছে।<br><br> বনানী তার প্রাণবন্ত খাবারের এবং বিনোদনের দৃশ্যের জন্যও পরিচিত, যেখানে প্রচুর রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এবং উচ্চমানের খাবারের দোকানগুলোতে আন্তর্জাতিক খাবার এবং খাবারের অভিজ্ঞতা প্রদান করে। বনানীর ফ্যাশন ও সাধারণ স্তরের মানুষগুলোর জন্য এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি কেনাকাটার মার্কেট, বুটিক স্টোর এবং ডিজাইনার বুটিক রয়েছে।<br><br> বাণিজ্যিক ও বিনোদনমূলক সুবিধা গুলোর পাশাপাশি, বনানীতে মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা এবং কর্পোরেট অফিস রয়েছে, যা এটিকে বসবাস ও কাজ করার জন্য একটি আরামদায়ক এবং পছন্দসই জায়গা করে তুলেছে।<br><br> বনানী সড়ক ও গণপরিবহন পরিষেবার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঢাকার অন্যান্য অংশের সাথে সু-সংযুক্ত, যা শহরের ব্যবসায়িক জেলা, সাংস্কৃতিক আকর্ষণ এবং বিনোদনমূলক সুবিধাগুলিতে সহজে প্রবেশের ধারা প্রদান করে।<br><br> সামগ্রিকভাবে, বনানী একটি বিলাসবহুল এবং মহাজাগতিক জীবনধারা প্রদান করে, যা ঢাকার কেন্দ্রস্থলে উচ্চতর জীবনযাপনের জন্য এটিকে একটি পছন্দের আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে তোলে। তার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, প্রাণবন্ত পরিবেশ এবং সুবিধাজনক অবস্থানের সাথে, বনানী একইভাবে বাসিন্দাদের এবং বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করে চলেছে, যা ঢাকার অন্যতম প্রধান স্থান হিসেবে এর মর্যাদাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বনানী ডিওএইচএস প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.3

বনানী ডিওএইচএস
, ঢাকা

বনানী ডিওএইচএস ঢাকার একটি বিশেষ স্থান যা ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে। এটি উচ্চ আবাসিক এলাকা এবং বাছাই করা ব্যবসাগুলির একটি দুর্দান্ত মিশ্রণের জন্য পরিচিত। এই এক্সক্লুসিভ পাড়াটি তার শান্ত রাস্তা, প্রচুর ঘাস এবং উচ্চ জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত। এটি ঢাকার মর্যাদাপূর্ণ শহুরে পোশাকের মতো , যারা শহরের জীবন সম্পর্কে আরও ভাল জিনিস উপভোগ করতে চান তাদের জন্য উপযুক্ত।<br><br> বনানী ডিওএইচএস এর মোট এলাকা প্রায় ২০৪০ বর্গফুট এবং অনেক লোকের জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা। কারণ এতে বিলাসিতা এবং সম্প্রদায়িক চেতনার নিখুঁত মিশ্রণ রয়েছে। এটি আধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্র্যান্ড প্রাইভেট হোমস পর্যন্ত বিস্তৃত উচ্চ-সম্পন্ন আবাসন পছন্দগুলির সাথে একটি বাছাই করার অপশন দেয়। প্রত্যেকে লাক্সারি স্থান এবং প্রাইভেসি অফার করে যা শহরের ব্যস্ত এলাকায় খুঁজে পাওয়া কঠিন।<br><br> শুধু আবাসনই নয়, এতে অনেক উচ্চমানের শপিং এরিয়া এবং রেস্তোরাঁও রয়েছে। এই আবাসিক এলাকার ভাইবের সাথে , এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্পোরেট এলাকা হিসাবেও কাজ করে কারণ এতে অসংখ্য কর্পোরেট অফিস রয়েছে।<br><br> বনানী ডিওএইচএস-এর সুপরিকল্পিত রাস্তা এবং কৌশলগত অবস্থান স্কুলে আসা এবং যাওয়া সহজ করে তোলে। এটি প্রধান শহর এলাকা এবং ব্যবসায়িক জেলার কাছাকাছি। যদিও এটির সরাসরি মেট্রো রেল সংযোগ নেই, তবে এলাকাটি ঢাকার পরিবহন নেটওয়ার্কের সাথে ভালভাবে সংযুক্ত কারণ এটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের কাছাকাছি এবং এর আশেপাশে যাওয়ার বিভিন্ন উপায় রয়েছে।<br><br> বনানী ডিওএইচএস তার ঘনিষ্ঠ সম্প্রদায়িক অনুভূতির জন্যও গর্বিত, যা জন্য তার ব্যক্তিগত ক্লাব, পার্ক এবং অবকাশ কেন্দ্রগুলি আরও ভালভাবে করা হয়েছে যা সামাজিকীকরণ এবং সম্প্রদায়ের সাথে জড়িত হতে উৎসাহিত করে। বাসিন্দাদের উচ্চ-মানের চিকিৎসা ও শিক্ষামূলক পরিষেবার অ্যাক্সেস রয়েছে কারণ এই এলাকায় বা তার কাছাকাছি ভালো স্কুল এবং হাসপাতাল রয়েছে, যা জীবনের মান উন্নত করে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বোসপাড়া প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.3

বোসপাড়া
, রাজশাহী

বোসপাড়া, রাজশাহী জেলার অন্তর্ভুক্ত একটি মনোরম আবাসিক এলাকা। এলাকাটি শান্ত পরিবেশ, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যোগাযোগ, এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। পণ্য পরিবহন এবং বাণিজ্যিক দিক থেকেও এলাকাটি গুরুত্বপূর্ণ। নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই এলাকাটি একটি উদীয়মান এলাকা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।<br><br> বোসপাড়া রাজশাহীর জেলার দক্ষিণে অবস্থিত, যেখানে পদ্মা নদী পায়ে হাঁটা দূরত্বে অবস্থিত। আপনি যদি বোসপাড়ায় থাকেন, তাহলে আপনার বারান্দা থেকে পদ্মার মৃদু বাতাস উপভোগ করতে পারবেন। এই এলাকার দক্ষিণে পদ্মা নদী এবং ভারত বর্ডার, পূর্ব দিকে কাটাখালি বাজার এবং বানেশ্বর, উত্তর দিকে রাজশাহী সদর এবং শাহ মখদুম, পশ্চিম দিকে, দক্ষিণে কাশিয়াডাঙ্গা এবং দামকুড়া হাট। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক, সাগরপাড়া রোড এবং স্টেশন রোড, এই এলাকাটিকে সম্পূর্ণ রাজশাহী সহ সারা দেশের সাথে সংযুক্ত করেছে।<br><br> বোসপাড়ার ভৌগোলিক অবস্থান, এবং বিভিন্ন ইউটিলিটি সুবিধা, এটির আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও অনেক নামিদামি স্কুল, কলেজ, বাজার এবং বিনোদন এলাকা এই এলাকার খুব কাছেই অবস্থিত। শাহ মখদুম কলেজ বোসপাড়ার ঠিক রাস্তার বিপরীতে অবস্থিত। খাদেমুল ইসলাম গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, এবং সিরোইল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় এখানকার দুটি শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা পায়ে হাঁটার দূরত্বে অবস্থিত।<br><br> রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং রাজশাহী ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী কলেজ সহ বেশ কয়েকটি একাডেমি এবং একটি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, এই এলাকার বেশ কাছেই অবস্থিত। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাছাকাছি হওয়ায়, বোসপাড়ায় অনেক মেস, ছাত্রাবাস এবং মেয়েদের হোস্টেল রয়েছে। কর্ম এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ সহজ হওয়ায় এখানে অনেক আবাসিক ভবন তৈরী হয়েছে।<br><br> এখানকার অর্থনীতি মূলত স্থানীয় ব্যবসা এবং পণ্য পরিবহন নির্ভর। এলাকাটি অনেক কর্মজীবী পরিবার, এবং ছাত্র-ছাত্রীর আবাসস্থল হওয়ায়, এটি বিভিন্ন বাজার এবং রেস্তোরাঁ দ্বারা বেষ্টিত। ব্যবসা-বান্ধব হওয়ায় বোসপাড়া এলাকাটি নতুন উদ্যোগ এবং ব্যবসায়িক দিক থেকে বেশ প্রসপেক্টাস।<br><br> বোসপাড়া এবং এর আশেপাশে অনেক মসজিদ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রাজশাহীর মানুষের কাছে আহমদপুর বায়তুল মামুর জামে মসজিদ এবং খোরবোনা আহলে হাদিস জামে মসজিদ বেশ প্রশংসিত। বোসপাড়ার আরেকটি মনোমুগ্ধকর বৈশিষ্ট্য হল এলাকার ভেতরে এবং কাছাকাছি প্রায় ৪-৫টি পুকুর রয়েছে। যদিও এটি সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ একটি আবাসিক এলাকা, তবুও প্রকৃতির এই স্পর্শ বোসপাড়াকে অনন্য করে তুলেছে।<br><br> আবাসস্থল হিসেবে বোসপাড়া অসাধারণ একটি এলাকা। এলাকাটির সবুজে ঘেরা পরিবেশ, ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য এবং প্রাণবন্ত জীবনযাত্রা আপনাকে মুগ্ধ করবে। জেলার সকল এলাকায় যোগাযোগ সহজ, এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাছাকাছি হওয়ায়, এই এলাকাটিতে প্রচুর আবাসিক ভবনের চাহিদা তৈরী হয়েছে। মূলত আবাসিক এবং বাণিজ্যিক কারণে এই এলাকার প্রপার্টির চাহিদা বেড়েছে। চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রপার্টির দামও বাড়ছে। এখানে বেশ কিছু আধুনিক ভবন, ইউটিলিটি ফ্যাসিলিটি এবং বিনোদন কেন্দ্রর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
মাগুরা প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.3

মাগুরা
, খুলনা

অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের জন্মভূমি বা বিখ্যাত রোশ মালাইয়ের জন্য মাগুরা এই নামটি আপনি হয়তো জানেন, কিন্তু আপনি এখনও এই জেলার ঐশ্বর্য ও সৌন্দর্যের গর্ত খুঁজে পাননি। এই মাগুরা এলাকা নির্দেশিকাতে, আমরা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলার এই ট্র্যাকবিহীন অঞ্চলটি আবিষ্কার করব। <br><br> মাগুরা মধুমতি নদীর পাশে অবস্থিত, ১০৪৯ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে। এই জেলাটি বাংলাদেশের প্রথম নিরক্ষরতামুক্ত জেলা হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে। মাগুরা মুঘল আমলের কালের ট্যাপেস্ট্রির সাথে জড়িয়ে আছে। এই নামটি "মগ" দ্বারা অনুপ্রাণিত কারণ এই এলাকাটি তাদের জলদস্যুতা চালানোর আস্তানা ছিল। <br><br> জলদস্যু এবং ডাকাতদের এই অবস্থানটি পছন্দ করার একটি কারণ রয়েছে। মাগুরা জেলা জুড়ে মাকড়সার জালের মতো বয়ে চলেছে অসংখ্য নদী। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নদী হল গড়াই, নোবোগঙ্গা, ফোটকি, মধুমতি, কুমার, চিত্রা, ভৈরব এবং বেগট। পরিতাপের বিষয়, অব্যবস্থাপনা ও অবৈধ দখলের কারণে এসব নদীর কিছু গুরুত্ব হারিয়েছে। <br><br> ১৮৪৫ সালে মাগুরা প্রথমে যশোরের মহকুমা বা মহকুমায় পরিণত হয়। পরে, ১৯৪৮ সালে এটি একটি একমাত্র জেলায় পরিণত হয়। বর্তমানে, জেলায় মাগুরা সদর, শ্রীপুর, মোহাম্মদপুর এবং শালিখা নামে ৪টি উপজেলা রয়েছে। তাছাড়া মাগুরায় ১৮টি ওয়ার্ড, ৩৬টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং ৭০০টি গ্রাম রয়েছে। এটি খুলনা বিভাগের ৪র্থ বৃহত্তম জেলা। <br><br> কৃষিই এর অর্থনীতির মেরুদণ্ড। কর্মক্ষম জনসংখ্যার প্রায় ৯০% বিভিন্ন ধরনের কৃষির সাথে জড়িত। উর্বর জমি এবং উপযুক্ত আবহাওয়া ধান, পেঁয়াজ এবং অন্যান্য ফসলের ব্যাপক উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুষ্টিমেয় ছোট-বড় ব্যবসা সম্প্রতি প্রস্ফুটিত হয়েছে। <br><br> মাগুরা জুড়ে সাংস্কৃতিকভাবে উল্লেখযোগ্য ইভেন্টের একটি মেডলি ছড়িয়ে পড়েছে। মোহাম্মদপুর উপজেলায় বার্ষিক ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা বছরের পর বছর ধরে অনেক পর্যটককে আকৃষ্ট করেছে। তাছাড়া প্রাসাদ থেকে দরগাহ পর্যন্ত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলো মাগুরার বাতাসে ইতিহাস ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতির সতেজ নিঃশ্বাস ফেলেছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
মুন্সিগঞ্জ প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.3

মুন্সিগঞ্জ
, ঢাকা

মুন্সীগঞ্জ, ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত মনোরম এবং প্রাণবন্ত একটি জেলা। বাণিজ্য, অর্থনীতি, শিল্প, সংস্কৃতি সব দিক থেকেই জেলাটি গুরুত্বপূর্ণ। পদ্মা ও মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত হওয়ায়, এই জেলার কৃষি জমি খুবই উর্বর। এখানে আপনি গ্রামীণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এবং নগর উন্নয়নের মিশ্রণ দেখতে পাবেন।<br><br> ভোজনরসিকদের কাছে মুন্সিগঞ্জ জেলা আলদির মাঠা বা ভাগ্যকূলের মিষ্টির জন্য জনপ্রিয় হলেও প্রাচীনকাল থেকে এ জেলা নানা কারনে বিখ্যাত ও লোকমুখে সুপরিচিত। বিক্রমপুর নামেও পরিচিত এই জেলাটি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, এবং শরীয়তপুর জেলা দ্বারা বেষ্টিত। নদীমাতৃক এই জেলার আশেপাশে ও মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে প্রায় ১৪ টি নদী ও উপনদী, যার মধ্যে রয়েছে পদ্মা, মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী, ইছামতি, ইত্যাদি।<br><br> মুন্সীগঞ্জ সড়কপথ এবং নৌপথে সারা দেশের সাথে সংযুক্ত। ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে, মাওয়া-মুন্সিগঞ্জ হাইওয়ে, পদ্মা সেতু এবং মেঘনা সেতু এই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে খুবই উন্নত করেছে। পদ্মা সেতু এবং মেঘনা সেতুর কারণে এই জেলাটি ব্যবসা-বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই জেলায় প্রচুর সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।<br><br> এ জেলা অনেকটা কৃষিনির্ভর হলেও নগরায়ণ ও আধুনিকরনের ফলশ্রুতিতে চাকরি, ব্যবসা, আত্মকর্মসংস্থান, ইত্যাদি খাতও এখানকার অর্থনৈতিক অবস্থায় প্রভাব ফেলছে। ধান, পাট এবং শাকসবজি এই এলাকার প্রধান ফসল। এছাড়াও মৎস্য চাষ, এবং কুটির শিল্প স্থানীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। নদীমাতৃক জেলা হওয়ায় বর্ষাকালে নিচুস্থান সমূহ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মুন্সিগঞ্জের বাড়িগুলো বেশ উচুঁ করে নির্মিত হয়।<br><br> এখানে অবস্থিত সোনারং জোরা মঠ প্রায় ২০০ বছর পুরানো। ওয়ান্ডারল্যান্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, মানা বে ওয়াটার পার্ক, মাওয়া ফেরি ঘাট, মাওয়া রিসোর্ট, প্রজেক্ট ইলিশ, পদ্মা সেতু ইত্যাদি এই এলাকার পর্যটক আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এখানকার ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - ইদ্রাকপুর কেল্লা, সোনারং টুইন টেম্পল, বাবা আদম মসজিদ, নাটেশ্বর বৌদ্ধ মন্দির, রায় বাহাদুর শ্রীনাথ রায়ের বাড়ি, ভাগ্যকূল জমিদার বাড়ি, ইত্যাদি। এই এলাকার স্থানীয় খাবার, গান এবং নৃত্য স্বকীয়তা বজায় রেখেছে।<br><br> গত কয়েক বছরে এখানকার রাস্তা ঘাটও বেশ উন্নত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হয়ে উঠেছে। তাছাড়া পদ্মা সেতু ও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে নির্মানের পর মুন্সিগঞ্জ জেলা ঢাকার সাথে অন্য বেশ কিছু জেলার যোগাযোগের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। এক সময়ের প্রাচীন এই মুন্সিগঞ্জ বর্তমানে আধুনিক ও পরিবর্তনের অন্যতম নিদর্শন হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উপস্থিতি, এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ফলে এই জেলার আবাসিক এবং বাণিজ্যিক প্রপার্টির চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
মেহেরপুর প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.3

মেহেরপুর
, খুলনা

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক টেপেস্ট্রিতে মেহেরপুর নামটি চির অম্লান হয়ে আছে। মেহেরপুর শুধু বাংলাদেশের অন্য একটি জেলা নয় বরং একটি লুকানো রত্ন যা শক্তি ও আশাকে প্রতিফলিত করে। এই মেহেরপুর এলাকা নির্দেশিকা আপনাকে একটি ভার্চুয়াল যাত্রায় নিয়ে যাবে মেহেরপুরকে একটি নতুন কোণ থেকে আবিষ্কার করতে। <br><br> মেহেরপুর বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের একটি সীমান্ত জেলা যা খুলনা বিভাগের বৃত্তের মধ্যে অবস্থিত। মেহেরপুরের পশ্চিম দিকটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য দ্বারা বেষ্টিত। চুয়াডাঙ্গা, মুন্সীগঞ্জ এবং কুষ্টিয়া বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা যা মেহেরপুরের সাথে সীমান্ত ভাগ করে। <br><br> যদিও এলাকাভিত্তিক মেহেরপুর মাত্র ৭১৬.০৮ বর্গ কিমি, তবে এটি ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক গুরুত্ব বহন করে। জেলায় মেহেরপুর সদর, মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলা, ০৩টি উপজেলা, ০৩টি থানা, ২টি পৌরসভা, ১৮টি ইউনিয়ন, ১৯৯টি মৌজা এবং ২৫৫টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। <br><br> মেহেরপুর প্রথমে ভৈরব নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল। ভৈরব ব্যতীত মাথাভাঙ্গা, কাজলা এবং চেওয়াটি উল্লেখযোগ্য নদী। তবে এসব নদীর অবস্থা খুবই করুণ ও উদ্বেগজনক। এক সময় সমৃদ্ধ নদীমাতৃক জেলা মেহেরপুর এখন প্রায় এই উল্লেখযোগ্য নদীগুলোকে ধুয়ে মুছে ফেলেছে। <br><br> নদীগুলোর বেহাল দশা বাসিন্দাদের জীবনযাত্রাকেও বদলে দিয়েছে। জমি তুলনামূলকভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে এবং পানির প্রবাহ স্বাভাবিকের চেয়ে কম। এটি কৃষি এবং শস্য ও শাকসবজির উৎপাদনকে প্রভাবিত করে। মেহেরপুরের জীবিকা মূলত ফল চাষ, বিশেষ করে আম ও লিচুর ওপর। <br><br> এই এলাকায় জীবিকা নির্বাহের আরেকটি ক্ষেত্র হল পর্যটন। ঐতিহাসিক তাৎপর্য এবং ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সৌধ ও স্মৃতিসৌধ স্থাপনের কারণে প্রতি বছর বহু দেশি-বিদেশি পর্যটক মেহেরপুরে আসেন। <br><br> মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স এবং আম্রকানন সবচেয়ে বেশি দর্শনীয় স্থান, বিশেষ করে এপ্রিল মাসে। পর্যটনের এই উত্থান মেহেরপুরের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেছে, বিশেষ করে মুজিবনগর উপজেলার। <br><br> পর্যটনে মেহেরপুরের সম্ভাবনা দেখে স্থানীয় অনেক উদ্যোক্তা হোটেল ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। আপনি যদি মেহেরপুরে যান তবে আপনি সেরা হোটেল এবং থাকার ব্যবস্থা পাবেন। মেহেরপুর অনেক নগর সুবিধা সহ একটি অভ্যুত্থান শহর হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। <br><br> দর্শনা বন্দর মেহেরপুর সংলগ্ন হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের খাতও মুখরিত। আপনি স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান বা একটি পশ্চাদপসরণ হিসাবে দেখতে চান, মেহেরপুর আপনাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
রাজবাড়ী প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.3

রাজবাড়ী
, ঢাকা

রাজবাড়ী, ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ একটি প্রাণবন্ত জেলা। ঐতিহাসিক স্থাপত্য এবং গ্রামীণ সৌন্দর্যের পাশাপাশি জেলাটি কৃষি কার্যক্রম এবং শিল্পকারখানা ভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য পরিচিত। কৃষি পণ্য এবং মৎস্য উৎপাদন, এই জেলার প্রধান অর্থনৈতিক ভিত্তি। এখানে আপনি ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার একটি অপূর্ব মেলবন্ধন দেখতে পাবেন।<br><br> প্রমত্তা পদ্মাকে স্বাক্ষী রেখে তার কোল ছুঁয়ে এক অসামান্য নগর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে রাজবাড়ী। নামই যার রাজবাড়ী, তার ইতিহাসের গল্পে রাজা, মহারাজাদের কথা তো থাকবেই। বলা হয়ে থাকে, রাজা সূর্য কুমারের নামানুসারেই এই অঞ্চলের নাম হয় রাজবাড়ী। অনেক জেলার সাথে সমন্বিত করার পর ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে রাজবাড়ী।<br><br> জেলাটির একপাশে মানিকগঞ্জ আর আরেকপাশে কুষ্টিয়া। নদীবিধৌত বাংলার এক অপার দৃষ্টান্ত এই অঞ্চল। পদ্মা, চন্দনা, গড়াই এর মতন বৃহৎ নদীমালা তো আছেই, সাথে আছে নানান রকমের উপনদী আর শাখা নদী। এখানে প্রচুর ধান, পাট, আখ এবং সবজি উৎপাদিত হয়, যা স্থানীয় অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া পাট, চিনি, পেঁয়াজ, এবং রসুন উৎপাদনে এই জেলা অনন্য।<br><br> নদী বিধৌত অঞ্চল বলে রাজবাড়ী শস্য শ্যামলে যেমন পূর্ণ, তেমনি শিল্প ও বাণিজ্যে বেশ অগ্রসর। নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া আর পদ্মার আশীর্বাদ এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতির যাত্রার পথ অনেকটা সুগম করেছে । আর জেলা যদি হয় পদ্মার পাড়ে, তবে মৎস জীবিকার কথা তো ভুলাই যায় না। এ অঞ্চলের অনেক মানুষ পদ্মায় মাছ ধরে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে।<br><br> পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর রাজবাড়ীর আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক প্রসার হয়েছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট, ঢাকা-ফরিদপুর হাইওয়ে, ঢাকা-কুষ্টিয়া হাইওয়ে, এবং রাজবাড়ী-বালিয়াকান্দি রোড, এই জেলাটিকে সারা দেশের সাথে সংযুক্ত করেছে।<br><br> রাজবাড়ীতে মুঘল এবং ব্রিটিশ আমলের স্থাপনা, মন্দির, মসজিদ সহ বেশ কিছু প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে। এক সময় রাজবাড়ীতে নদী ভাঙন ছিল নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। কত প্রাণ আর সম্পদ যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে তার ইয়ত্তা নেই। তবে বর্তমানে বাঁধ বাঁধার ফলে এই সমস্যার ক্রমশ সমাধান হচ্ছে। তবু্ও বর্ষার শুরু আর শেষে প্রায়ই নদী ভাঙনের খবর পাওয়া যায়। প্রতি বছরই নদী ভাঙনে বিলীন হয় এ জেলার ফসলি জমি, বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা।<br><br> তবুও জীবিকার তাগিদে মানুষ লড়াই করে যায় দৃপ্ত চিত্তে। রাজবাড়ীর মানুষের ভাগ্যর উন্নয়ন হয়েছে শিল্পকারখানায় কর্মসংস্থান ও শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে। এখন ঘরে ঘরে শিক্ষিত জনবল রাজবাড়ীকে গড়ে তুলছে আধুনিক শহর হিসেবে। ব্যবসা বাণিজ্যের যাতায়াতের সুবিতার্থে অনেক কল-কারখানা আর শিল্প নগরী গড়ে উঠছে। এই অঞ্চলটি নদী বেষ্টিত, এবং এখানকার নৈসর্গিক নির্মল গ্রামীণ পরিবেশ আপনাকে মানসিক প্রশান্তি এনে দেবে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
শ্যামলী প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.3

শ্যামলী
, ঢাকা

বেশিরভাগ ঢাকাবাসী এমন একটি অ্যাডোব খোঁজে যেখানে তারা বসবাসের জন্য তাদের বাসা তৈরি করতে পারে, এবং আশেপাশের এলাকাগুলি কার্যকর পরিবহন ব্যবস্থা সহ শহুরে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পরিপূর্ণ। শ্যামলী ঢাকা শহরের মধ্যবিত্ত পরিবারকে আকৃষ্ট করেছে তার আশেপাশের আবাসিক ও বাণিজ্যিক মূল্যের জন্য। এই শ্যামলী এরিয়া গাইডে, আমরা গভীরভাবে অনুসন্ধান করব এবং ঢাকার এই ঐতিহাসিক এলাকাটির একটি দুর্দান্ত সফর করব। শ্যামলী আইকনিক শ্যামলী সিনেমা থেকে এর লোভনীয় নাম পেয়েছে। হলের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে গেলেও এলাকার নাম এখনও টিকে আছে। আগারগাঁওয়ের উত্তর-পশ্চিম অংশে শ্যামলী পাবেন। এটি কল্যাণপুর এবং আদাবরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত। এখানকার ল্যান্ডমার্ক স্থাপনা হল শ্যামলী স্কোয়ার, যা পুরানো সিনেমা হলের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল। এটি এলাকার বৃহত্তম শপিং মল এবং বাসিন্দাদের এবং দর্শনার্থীদের সমস্ত কেনাকাটার চাহিদা পূরণ করে৷ শ্যামলী মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে স্বস্তি ও সাধ্যের নাম। যেহেতু অনেক সরকার, এনজিও এবং আইটি ফার্ম শ্যামলীতে এবং তার কাছাকাছি তাদের ঘাঁটি স্থাপন করেছে, তাই অনেক অফিস কর্মী সহজে প্রবেশ ও পরিবহনের জন্য শ্যামলীতে তাদের বাড়িতে বাসা বেঁধেছে। আবাসিক এবং বাণিজ্যিক স্থান ছাড়াও, শ্যামলী ভোজনরসিক মানুষের জন্য একটি খাদ্য স্বর্গ হিসাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে। মোহাম্মদপুরের সাথে ঘনিষ্ঠ সংযুক্তির কারণে, এখানকার বাসিন্দারা সহজেই বিশ্বখ্যাত "মোস্তাকিম এর চাপ" এবং "সেলিম কাবাব" উপভোগ করতে পারেন। কার্ডিওভাসকুলার ইনস্টিটিউট, কিডনি রোগ ইনস্টিটিউট, ট্রমাটোলজি ইনস্টিটিউট এবং সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এলাকাটির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত হওয়ায় শ্যামলী প্রায়শই ব্যস্ত থাকে এবং রোগী ও দর্শনার্থীদের ভিড়ে থাকে। তা সত্ত্বেও, এটি আবাসিক উদ্দেশ্যে শান্তিপূর্ণ এলাকাগুলির মধ্যে একটি কারণ এটি স্কুল, কলেজ, পার্ক এবং মলে পরিপূর্ণ।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
সাহেববাজার প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.3

সাহেববাজার
, রাজশাহী

সাহেব বাজার রাজশাহী শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এখানকার থানা বা পুলিশ স্টেশনটি রাজশাহীর জিরো পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত, যা শহরের প্রাণকেন্দ্র। এর অবস্থানের গুরুত্ব অনেক, কারণ কাছাকাছি রয়েছে অসংখ্য শপিং মল, মার্কেট ও ব্যাংক। পুরোপুরি একটি ব্যবসায়িক এলাকা হওয়ায় এটি অনেকের জীবিকা নির্বাহ এবং দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর অন্যতম স্থান।<br><br> আপনি হয়তো রাজশাহীর সাহেব বাজার বড় জামে মসজিদের কথা শুনেছেন। নওগাঁ সড়ক সংলগ্ন এই মসজিদটি কয়েক শতাব্দী আগে নির্মিত। মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে এবং তারা প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ পড়ার জন্য এখানে জড়ো হন। সাম্প্রতিক সময়ে সংস্কারের মাধ্যমে এই এরিয়া আধুনিক আঙ্গিক পেয়েছে, যা পর্যটকদের নজর কাড়ে।<br><br> সাহেব বাজার এলাকা সর্বদাই ব্যস্ত। এখানে সবাই ব্যস্ত কোনো না কোনো কাজে। দোকানপাটে সজ্জিত বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা, আর কেনাকাটা করতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। বিশেষ করে মৌসুমী ফল বিক্রেতাদের দোকান চোখে পড়ার মতো। এখানকার কাঁচা বাজারেও আপনি তাজা শাক-সবজি ও ফলমূল পাবেন।<br><br> এছাড়া, অনেক রেস্তোরাঁ, মিষ্টির দোকান এবং খাবারের বিক্রেতারা স্থানীয় খাবারের স্বাদ পূরণ করার জন্য এখানে অবস্থান করেন। যদি আপনি আন্তর্জাতিক কুইজিন পছন্দ করেন, তবে সেগুলোর রেস্তোরাঁও পাবেন। সাহেব বাজার এলাকায় মানসম্পন্ন পরিষেবা প্রদানকারী সাশ্রয়ী হোটেল এবং গেস্টহাউস রয়েছে, যেখানে কিছুদিন থাকতে চাইলে দেখতে পারেন।<br><br> সাহেব বাজারের কেন্দ্রীয় অবস্থান স্থানীয়দের জন্য সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা প্রদান করে। এখানকার পুরনো এবং সম্মানিত স্কুল-কলেজ এলাকাবাসীর জীবনমান উন্নত করতে ভূমিকা রাখছে। সার্বিকভাবে, সাহেব বাজার রাজশাহীর ঐতিহাসিক সমৃদ্ধি ও আধুনিক জীবনযাত্রার মেলবন্ধনের একটি চমৎকার উদাহরণ।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
সুবহানিঘাট প্রপার্টি গাইড
Rating icon
4.3

সুবহানিঘাট
, সিলেট

সুবহানী ঘাট কোনো ঘাট কিংবা নদী তীরবর্তী স্থান নয়। বরং এটি সিলেট মেট্রোপলিটন এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন একটি ক্রমবর্ধমান শহরতলি এলাকা। এলাকাটির সুবিধাজনক অবস্থান, আবাসন ব্যবস্থা, যোগাযোগ সুবিধা, এবং অন্যান্য ইউটিলিটি সুবিধার কারণে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সুরমা নদী এবং পাহাড়ি জনপদ বেষ্টিত হওয়ায় এই এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ বেশ মনোরম।<br><br> সুবহানী ঘাটের চারপাশে বড় রাস্তা থাকায় এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধাজনক। এই এলাকাটির সাথে বন্দর বাজার রোড, করিমগঞ্জ-সিলেট রোড, বিশ্ব রোড, তামাবিল রোড, মিরাবাজার-সুবহানী ঘাট রোড, ইত্যাদি সড়কগুলো সংযুক্ত। এই এলাকা থেকে দেশের সকল স্থানে সহজে যাতায়াত করা যায়। ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে রোড, এবং শাহজালাল ব্রিজ এই এলাকার অর্থনৈতিক গুরুত্ব বাড়িয়েছে। আন্তঃনগর বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন এবং শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এই এলাকার খুব কাছেই অবস্থিত। এখানে আপনি পর্যাপ্ত রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, এবং বাইক-গাড়ি শেয়ার রাইড পাবেন।<br><br> সুবহানী ঘাট এলাকার সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হলো, এখানে আপনি সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে আপনি বড় অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে ছোট সাশ্রয়ী মূল্যের ফ্লাট ভাড়া করতে পারবেন। এই এলাকার রাস্তাঘাট, পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা, ইউটিলিটি সার্ভিস এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ ভালো। এলাকার ভিতরে সুপারশপ, মুদি দোকান, কাঁচা বাজার, খেলার মাঠ, মসজিদ এবং স্কুল রয়েছে। হাসপাতাল, শপিংমল, এবং বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ এই এলাকার খুব কাছেই অবস্থিত।<br><br> উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, এবং পর্যাপ্ত ট্রান্সপোর্টেশন থাকায় এই এলাকার আবাসনের চাহিদা এবং দাম ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এই এলাকা থেকে সিলেট সদর, জিন্দা বাজার, আম্বরখানা, বন্দর বাজার সহ সকল উপজেলায় সরাসরি যাতায়াত করা যায়। এই এলাকার আশেপাশে প্রচুর সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক, এবং কর্পোরেট অফিস রয়েছে। সুবহানী ঘাট এলাকার অর্থনীতি মূলত সরকারি ও বেসরকারি চাকরি, স্থানীয় ব্যবসা, এবং পরিবহন সেবা নির্ভর।<br><br> যারা অস্থায়ী ব্যবসা, কাজ এবং ভ্রমণের জন্য সিলেট আসবেন, তারা এই এলাকার বিভিন্ন বাজেটের মধ্যে ভালো মানের আবাসিক হোটেল পাবেন। এই এলাকার হোটেল ভ্যালি গার্ডেন এবং হোটেল আল-আবিদ, উন্নত মানের আবাসিক সুবিধা, পরিবেশ এবং লাক্সারিয়াস ফ্যাসিলিটি অফার করে। এখানকার সামাজিক এবং পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য, আগ্রা কমিউনিটি সেন্টার একটি বড় ভূমিকা পালন করে।<br><br> এই এলাকায় আকর্ষণীয় ল্যান্ডমার্ক খুব একটা নেই। সুবহানী ঘাট পয়েন্ট, নাইওরপুল জামে মসজিদ, হযরত কলিম শাহ (রহ.) মাজার, সুবহানী ঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইত্যাদি, এই এলাকার প্রধান স্থাপনা। মূলত যোগাযোগ সুবিধা এবং কর্মসংস্থান কাছাকাছি হওয়ায় এই এলাকার আবাসিক ভবনের চাহিদা বাড়ছে। বর্তমানে বেশ কিছু আধুনিক এপার্টমেন্ট এবং স্থাপনা গড়ে উঠছে এবং নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
IconMap

ফিচারড প্রজেক্ট

সবগুলো দেখুন

Bangladesh-এর প্রপার্টি প্রাইস ট্রেন্ড

কেনা
ভাড়া
বেডরুম:
গড় মূল্য (বিগত ১২ মাসের)
BDT 6,417.32 per sqft
বিগত ১২ মাসের বৃদ্ধি
3.75%
Positive Trend
বিগত ৩ মাসের বৃদ্ধি
2.48%
Positive Trend
Icon
দ্রষ্টব্য: মূল্য তথ্য Bikroy-এর পোস্ট করা বিজ্ঞাপন থেকে ঐতিহাসিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া। সম্পূর্ণ মার্কেটের ডায়নামিক প্রতিফলিত নাও হতে পারে।
hero

Bikroy এ বিক্রি বা ভাড়া দিন: মাত্র ২ মিনিটেই প্রপার্টির বিজ্ঞাপন দিন!