Search Icon

Bangladesh এর এলাকাগুলি ঘুরে দেখুন

306টি এলাকার মধ্যে 288 - 306টি
শরীয়তপুর প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

শরীয়তপুর
, ঢাকা

স্রোতস্বিনী পদ্মা নদীর কূল ঘেষে যে সকল অঞ্চল দাড়িয়ে আছে প্রায় শত বছর ধরে, শরীয়তপুর তাদের মধ্যে একটি। প্রায় ১,২০০ বর্গ কিলোমিটার জুরে বিস্তৃত ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত এই জেলা ফরায়েজি আন্দোলনের পথিকৃৎ হাজী শরিয়তউল্লাহর নামে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে এটি জেলায় রূপ নেয়। পদ্মা, মেঘনা এবং আড়িয়াল খাঁ সহ জেলার খাল-বিলগুলো এই জেলার প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং কৃষি ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে।<br><br> এই জেলার উত্তরে মুন্সীগঞ্জ, পশ্চিমে মাদারীপুর, দক্ষিণে বরিশাল বিভাগ এবং পূর্বে চাঁদপুর জেলা। শরিয়তপুর থেকে বাসযোগে এখন সরাসরি ভ্রমণ করা যায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, যশোর, গোপালগঞ্জ, বেনাপোলসহ আরো অনেক জেলায়। এছাড়া জলপথে যাতায়াতের সুব্যবস্থা তো আছেই।<br><br> ঐতিহাসিকভাবে, এই জেলা বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। চাল, গম, পেঁয়াজ, রসুন, এবং মাছ এখানকার প্রধান অর্থকরী পণ্য। এছাড়াও এখানকার অনেক মানুষ মৎস্য উৎপাদনের সাথে জড়িত। এই জেলার প্রচুর মানুষ বিদেশে কর্মরত আছেন। এখানকার প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রাও দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।<br><br> পদ্মা বহুমুখী সেতু, এই জেলার মানুষের জীবন জীবিকায় সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উভয় দিক থেকে ব্যাপক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এলাকার রাস্তাঘাট, পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করার লক্ষে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এছাড়াও পদ্মাসেতু ও সেতুর আশেপাশের এলাকা ঘিরে জমে উঠেছে অনেক ক্ষুদ্র, মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।<br><br> শরীয়তপুরে মোঘল এবং ব্রিটিশ শাসনামলের অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখা যায়। জেলার জনপ্রিয় ঐতিহাসিক কিছু স্থান এবং স্থাপনাগুলো হলো - ফতেহ জঙ্গপুর কেল্লা, ধানুকা মনসা বাড়ি, রুদ্রকর মঠ, শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ শিবা মন্দির ইত্যাদি। এখানকার আকর্ষণ টুরিস্ট স্পটগুলো হলো - পদ্মা সেতু ও সেতু ভিউ পয়েন্ট, মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম, শরীয়তপুর সদর উপজেলা মিনি পার্ক, পদ্মার লঞ্চ ঘাট, বুড়ির হাট জামে মসজিদ ইত্যাদি। শরীয়তপুরের লোকসংগীত, মেলা এবং স্থানীয় উৎসব, গ্রামীণ সংস্কৃতি ঐতিহ্য ধারণ করে। এই জেলার মানুষ তাদের আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য পরিচিত।<br><br> সাম্প্রতিক সময়ে এই জেলায় উল্লেখযোগ্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। প্রচুর উদ্যোক্তা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। শপিংমল, সুপারশপ, এবং বিনোদন কেন্দ্র তৈরী হচ্ছে। শিক্ষার মান এবং স্বাস্থ সেবাতেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করায়, এই এলাকায় কর্মসংস্থান বেড়েছে। তাই উন্নত বাসস্থানের চাহিদাও প্রতিনিয়ত বাড়ছে।<br><br> শরীয়তপুর জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ, এখানে আবাসিক ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জমি কেনার জন্য মানুষকে আকৃষ্ট করছে। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে জেলায় বিশেষ করে পদ্মা সেতু এলাকায় সম্পত্তির দাম বহুগুন বেড়ে গেছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
সদর রোড প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

সদর রোড
, বরিশাল

সদর রোড বরিশালের সদর উপজেলার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, যোগাযোগ, শিক্ষা, চিকিৎসা দৃষ্টিকোণ থেকে এই এলাকার গুরুত্ব অপরিসীম। এটি বরিশালের অন্যতম প্রশাসনিক এলাকা। এখানে আপনি প্রায় সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের অফিস পাবেন। এখানে আপনি সরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক, স্কুল এবং স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান খুঁজে পেতে পারেন। <br><br> এটি এটিকে বরিশালের প্রশাসনিক, শিক্ষাগত এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমের একটি কেন্দ্র করে তোলে। বরিশালের সদর রোড শহরের একটি উল্লেখযোগ্য রাস্তা; এটি শহুরে এলাকার মধ্যে একটি কেন্দ্রীয় ধমনী হিসাবে কাজ করে। এই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই উন্নত। নদী, সড়ক এমনকি আকাশপথেও যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু এ এলাকায় কোনো রেলপথ নেই। জেলা সদর থেকে এই এলাকার দূরত্ব মাত্র ২ কিমি। এটি শহরের মধ্যে এবং কাছাকাছি এলাকায় যাতায়াতের জন্য একটি কেন্দ্রীয় বিন্দু।<br><br> বরিশাল সদর রোডে প্রায় সারাদেশ থেকে যোগাযোগ করা যায়। সদর ঘাট ও বাসস্ট্যান্ড সদর রোড থেকে ২ কিমি এর মধ্যে। বিমানবন্দরের দূরত্বও খুব কাছাকাছি। পদ্মা সেতুর পর ঢাকা থেকে বরিশালের সড়ক দূরত্ব মাত্র ১৮০ কিলোমিটার। নদীর দূরত্ব ১৬১ কিমি। নদী বেষ্টিত এ উপজেলায় যাতায়াতের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম নদীপথ। <br><br> নদী ও সড়কপথে পণ্য পরিবহন এবং যেকোনো বড় শহরে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
সাউথ সুরমা প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

সাউথ সুরমা
, সিলেট

দক্ষিণ সুরমা বাংলাদেশের সিলেট জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ মেট্রোপলিটান থানা। এটি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অধীনে রয়েছে। নদী, স্থল এবং রেলপথ দ্বারা ভালোভাবে সংযুক্ত হওয়ায় এলাকার অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। সিলেট জেলা তার সবুজ পরিবেশ, পাহাড়ি দৃশ্যপট এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত, যা এটিকে বাঙ্গালদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিত করেছে। দক্ষিণ সুরমা তার সবুজ প্রকৃতি, চা-বাগান এবং পাহাড়ি ভূখন্ডের জন্য সুপরিচিত। এই এলাকার সব ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সবাভাবিক ও সন্তোষজনক। ১৯৮৩ সালে দক্ষিণ সুরমা থানা গঠিত হয় ও ২০০৫ সালে এটি উপজেলায় রূপান্তরিত হয়।<br><br> সুরমা নদী এই অঞ্চলে বসবাসয়াকারী মানুষের জন্য আশীর্বাদসরূপ। এই নদী সেচ ও পরিবহনসহ অন্যান্য দইন্নন্দিন প্রয়োজন পূরণ করে। এই এলাকার চা-বাগান এবং কৃষিজ পণ্য দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। চা-বাগান কেবল অরথনীতিতে অবদান রাখে না বরং দক্ষিণ সুরমার মনঃমুগ্ধকর সৌন্দর্য ক্রেতাদের আকর্ষণ করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং কৃষি ছাড়াও এই এলাকা সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ। এই অঞ্চলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস, যার মধ্যে রয়েছে আদিবাসী খাসি এবং মণিপুরী জনগোষ্ঠী। তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব ঐতিহ্য, ভাষা এবং সংস্কৃতি রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
হাটহাজারী প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

হাটহাজারী
, চট্টগ্রাম

হাটজারি চট্টগ্রাম জেলার একটি জনবহুল এবং প্রাণবন্ত উপজেলা, যা দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশে অবস্থিত। এটি বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, যোগাযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-কোর্ট, বাসস্থান ইত্যাদি জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। সবুজ প্রকৃতি এবং পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত হ্টজারি অঞ্চলটি ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। এখানে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি অনন্য সমন্বয় এবং বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের বন্ধুত্বপূর্ণ জীবনযাত্রার দেখা মেলে। <br><br> হাটজারির উত্তরে ফটিকছড়ি উপজেলা, দক্ষিণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পঞ্চলাইশ ও চাঁদগাঁও পুলিশ স্টেশন, পূর্বে রাউজান উপজেলা এবং পশ্চিমে সীতাকুণ্ড উপজেলা অবস্থিত। উপজেলা বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বিভক্ত, প্রতিটি ইউনিয়ন কয়েকটি গ্রাম নিয়ে গঠিত। এখানে আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদরাসা, যা হাটজারি মাদরাসা নামেও পরিচিত, দেশের অন্যতম সেরা এবং বৃহত্তম কওমী মাদরাসা। হাটজারি একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধারণ করে, যা প্রচলিত বাঙালি সংস্কৃতি এবং ইসলামিক প্রভাবের মিশ্রণ। <br><br> হাটজারির অর্থনীতি মূলত বাণিজ্য এবং কৃষির উপর নির্ভরশীল। উপজেলায় ছোট এবং বড় ব্যবসা ও বাজারের একটি বৈচিত্র্য রয়েছে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখে। এলাকার কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, পশু চিকিৎসা গবেষণা কেন্দ্র এবং পাওয়ার প্ল্যান্ট দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। <br><br> হাটজারিতে একটি সেনা ক্যাম্প, পুলিশ স্টেশন এবং দমকল বাহিনী রয়েছে। এই এলাকার পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত। চট্টগ্রাম শহর এবং আশেপাশের অন্যান্য এলাকার সাথে এর সংযোগ যথেষ্ট ভালো। এটি দেশের প্রধান শহরগুলোর সাথে বাস এবং রেলওয়ে দ্বারা ভালোভাবে সংযুক্ত। <br><br> এই অঞ্চলের আবাসন ব্যবস্থা খুবই ভালো, সুন্দর পরিবেশ, ভালো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা এবং নিরাপত্তার জন্য। বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায়, হাটজারিতে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ভবন, আধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট ভবন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বর্তমানে গড়ে উঠছে। গ্রামীণ এবং শহুরে পরিবেশের এক আকর্ষণীয় মিশ্রণ এবং সুবিধাগুলির কাছাকাছি অবস্থান, এই অঞ্চলটিকে বেশ জনবহুল করে তুলেছে, যেখানে আবাসিক ভবনগুলি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কানাইঘাট প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

কানাইঘাট
, সিলেট

কানাইঘাট, সিলেট জেলার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত সীমান্তবর্তী একটি উপজেলা। সুরমা নদী, এবং লুবাছড়া নদী, এই উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে। চা বাগান, পাহাড় এবং জলাশয়ে ঘেরা এই অঞ্চলটি প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই মনোরম। এখানকার প্রাকৃতিক সম্পদ, কৃষি পণ্য, পর্যটন এবং রেমিট্যান্স, দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। এই অঞ্চলের কুটিরশিল্প, মৃৎশিল্প, এবং বেতশিল্প সারা দেশে জনপ্রিয়।<br><br> কানাইঘাট পূর্বে জৈন্তিয়া রাজ্যের অধীনে ছিল। কথিত আছে সুরমা নদীতে কানাই নামে একজন নৌকাচালকের নামানুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছে কানাইঘাট। তবে, এই গল্পের শক্ত কোনো ভিত্তি নেই। কানাইঘাট উপজেলা ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও, ১৮৮০ সাল থেকেই এটি সিলেটের একটি থানা ছিল। বর্তমানে, উপজেলায় ১টি পৌরসভা, ৯টি ইউনিয়ন এবং ২৫০টি মৌজা রয়েছে। এর আয়তন প্রায় ৪১২.২৫ বর্গকিলোমিটার।<br><br> এই উপজেলার উত্তরে জৈন্তাপুর উপজেলা ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে বিয়ানীবাজার ও জকিগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে ভারতের আসাম, পশ্চিমে গোয়াইনঘাট উপজেলা ও সিলেট সদর উপজেলা। কানাইঘাট সড়ক, এবং জাকিগঞ্জ-সিলেট মহাসড়ক এখানকার প্রধান দুটি সড়ক। এছাড়াও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এই উপজেলার পাশে দিয়েই গেছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বেষ্টিত হওয়ায়, কানাইঘাট উপজেলার সাথে সারা দেশে যোগাযোগ এবং পণ্য পরিবহন সুবিধাজনক। দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন যোগাযোগ রুট ছাড়াও, কানাইঘাট থেকে সীমান্তের বাইরেও পরিবহন সুবিধা রয়েছে।<br><br> এখানে ১৫০ টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কানাইঘাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কানাইঘাট সরকারি কলেজ, কানাইঘাট মহিলা কলেজ, দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, জামেয়া ইসলামিয়া ইউসুফিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, ঝিঙ্গাবাড়ি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা ইত্যাদি। এই উপজেলায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, ক্রীড়া ক্লাব, ধর্মীয় সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি রয়েছে।<br><br> কানাইঘাটের জনসংখ্যার বেশিরভাগই মুসলিম, তাই এই অঞ্চলে আপনি প্রচুর মসজিদ দেখতে পাবেন। উপজেলা জুড়ে ৪৭০টিরও বেশি মসজিদ রয়েছে, এছাড়াও ৩০টি মন্দির এবং ২টি গির্জা রয়েছে। এই অঞ্চলে অনেক পাহাড়ি নৃগোষ্ঠীর মানুষজন বসবাস করেন। যাদের কৃষ্টি-কালচার স্বতন্ত্র, আপনাকে মুগ্ধ করবে। এই অঞ্চলের মানুষজন খুবই পরিশ্রমী এবং অতিথি পরায়ন।<br><br> কানাইঘাটের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ হলো পাথর। সরকার উপজেলার লোভাছড়া পাথর খনি থেকে প্রচুর রাজস্ব আয় করে। এছাড়াও, কৃষি হলো উপজেলার মানুষের প্রধান অর্থনৈতিক উৎস। অন্যান্য অর্থনৈতিক উৎসের মধ্যে রয়েছে অকৃষি শ্রম, ব্যবসা, শিল্প, চাকরি ও সেবা, রেমিট্যান্স ইত্যাদি। এখানকার চা, পানপাতা, পাথর, এবং বালু বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়।<br><br> কানাইঘাট উপজেলায় অনেক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সুরমা নদী, অন্ডাল বিল, তামাবিল স্থলবন্দর, সাতবাক আন্দু হ্রদ, লোভাছড়া চা বাগান ও পার্ক, পূর্ব বরচাতোলা রাবার বাগান, ইত্যাদি স্থানগুলো আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। রাত্রি যাপন এবং ছুটি কাটানোর জন্য এখানে অনেক রিসোর্ট এবং হোটেল রয়েছে।<br><br> বসবাস করার জন্য এই অঞ্চলটি মনোরম হলের, উপজেলার ভিতরের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত নয়। গ্রামগুলোর বেশিরভাগ কাঁচা রাস্তা, মফঃস্বলের রাস্তাগুলোও বেশি প্রশস্থ নয়। এমনকি উপজেলা সদর এলাকার বেশ কয়েকটি রাস্তাও ক্ষতিগ্রস্ত এবং গর্তযুক্ত। এই উপজেলায় রেলপথ সংযোগও নেই।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কোম্পানীগঞ্জ প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

কোম্পানীগঞ্জ
, সিলেট

কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট জেলার অন্তর্ভুক্ত এবং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী একটি উপজেলা। উপজেলাটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থান, পাহাড়, এবং জলাশয়ে ঘেরা। এটি পিয়াইন গাং, সুরমা, এবং ধলাই নদী বেষ্টিত। পর্যটন কেন্দ্র ছাড়াও এলাকাটি শিল্প অঞ্চল এবং প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, চা বাগান এবং প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের জন্য পরিচিত।<br><br> কোম্পানীগঞ্জ অঞ্চলটি ১৯৭৬ সালে একটি থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে এটিকে উপজেলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। উপজেলাটি প্রায় ২৯৬.৯০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত। এটি সিলেট সদর থেকে সড়কপথে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ভৌগোলিকভাবে, উপজেলাটি উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে সিলেট সদর উপজেলা, পূর্বে গোয়াইনঘাট উপজেলা এবং পশ্চিমে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত।<br><br> কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়ক, এবং ছাতক-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক, এই উপজেলার প্রধান দুটি সড়ক। সিলেট সদর থেকে কোম্পানীগঞ্জে সরাসরি বাস, গাড়ি এবং সিএনজি দ্বারা যাতায়াত করা যায়। তবে, উপজেলার গ্রামাঞ্চলগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব একটা উন্নত নয়।<br><br> পাথর এবং কৃষিজাত পণ্য এই উপজেলার প্রধান অর্থনৈতিক সম্পদ। এই উপজেলার প্রধান কৃষি পণ্য হলো - ধান, সরিষা, তেজপাতা, পান, সুপারি, কমলা, আনারস, লেবু, এবং সাতকড়া। এখানে প্রচুর মৎস্য, এবং গবাদিপশু খামার রয়েছে। পাথর, বালি, এবং চুনাপাথর এখানকার প্রধান খনিজ সম্পদ। এই অঞ্চলের কমলা, মাছ, পাথর, এবং চুনাপাথর, বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। ভোলাগঞ্জ বর্ডার হাট এবং সাদা পাথর পর্যটন এলাকা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে।<br><br> কোম্পানীগঞ্জ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ দীর্ঘ সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে ছিল। পাথর, বালু সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাত নিয়ন্ত্রণ করতো এই কোম্পানি। পরবর্তীতে এর নামকরণ করা হয় কোম্পানীগঞ্জ। কোম্পানীগঞ্জে বেশ কিছু স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসা রয়েছে। তবে, ২০২২ সালের জরিপ অনুযায়ী এই উপজেলার সাক্ষরতার হার মাত্র ৩০%।<br><br> ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর, উৎমাছড়া এবং তুরাংছড়া এখানকার প্রধান টুরিস্ট স্পট। এছাড়াও এখানে শাহ আরফিন টিলা, মায়াবন ইকো পার্ক, রাউতি বিল, হাই টেক পার্ক ইলেকট্রনিক্স সিটি সিলেট ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এখানে বেশ কিছু উন্নতমানের হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। এই অঞ্চলের সিলেটি ভাষা, নিজস্ব লোকসঙ্গীত এবং ঐতিহ্যের সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে।<br><br> কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভিতরে অনেক হাওর ও বিল রয়েছে। পাহাড়, জঙ্গল এবং নদী বেষ্ঠিত হওয়ায় এলাকাটি প্রাকৃতিক ভাবে খুবই মনোরম। উপজেলাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐশ্বর্যে ভরপুর হলেও, এখানেও কিছু সমস্যা রয়েছে। নদী এবং অন্যান্য জলধারার কারণে, এই অঞ্চলটি প্রায় প্রতি বছরই ভারী বন্যার শিকার হয়। প্রধান হাইওয়ে সড়ক একটাই, রেলওয়ে সংযোগ উপজেলা থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ রাস্তা কাঁচা।<br><br> বসবাস এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বেশ ভালো। এখানে বাসা ভাড়া এবং জমির দাম তুলনামূলক কম। তবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠছে। এছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন, শিল্প এলাকা প্রতিষ্ঠা, এবং বেশ কিছু আবাসিক ভবনের নির্মাণ কাজ এখানে চলমান রয়েছে। আপনি এখানে সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক এবং শিল্প উদ্দেশ্যে প্রপার্টি পাবেন।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
জকিগঞ্জ প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

জকিগঞ্জ
, সিলেট

জকিগঞ্জ বর্তমানে বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের একটি উপজেলা হিসেবে পরিচিত। তবে বর্তমান জকিগঞ্জের চিত্র সব সময় এমন ছিল না। ১৯৪৭ সালের আগে বর্তমান জকিগঞ্জ বাজার এলাকা শুধু "জকিগঞ্জ" নামে পরিচিত ছিল এবং এটি ভারতের করিমগঞ্জ সদর থানার অংশ ছিল। <br><br> ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের সময় এটি পশ্চিম পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) একটি থানা এলাকা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৮৩ সালে জকিগঞ্জ উপজেলা প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বর্তমানে ৯টি ইউনিয়ন, ১১৪টি মৌজা এবং ২৭৮টি গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত।<br><br> জকিগঞ্জ উপজেলার ভূমির আয়তন প্রায় ২৬৭ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২,৬৭,৩০৯ (২০২২ সালের আদমশুমারি)। এটি বাংলাদেশের আরেকটি সীমান্তবর্তী এলাকা, যা উত্তরে কানাইঘাট উপজেলা এবং ভারতের মেঘালয় রাজ্য, পশ্চিমে বিয়ানীবাজার উপজেলা এবং দক্ষিণ ও পূর্বে ভারতের আসাম রাজ্যের সাথে সীমানা ভাগ করে। জকিগঞ্জের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত রেখার দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৩ কিলোমিটার।<br><br> সিলেট সদর উপজেলা থেকে জকিগঞ্জে ভ্রমণের সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায় হলো বাস, যা জকিগঞ্জ-সিলেট সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। তবে হালকা যানবাহনে ভ্রমণ করলে করিমগঞ্জ-সিলেট সড়ক ব্যবহার করাই উত্তম। এলাকার প্রধান সড়কগুলোর অবস্থা বেশ ভালো, তবে আরও অনেক কাঁচা রাস্তা উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে।<br><br> উপজেলার প্রধান দুটি নদী হলো সুরমা এবং কুশিয়ারা। ভারতের বরাক নদী এই দুই নদীর সাথে মিলিত হয় এবং এই তিন নদীর মিলনস্থল "ত্রিমোহনা" নামে পরিচিত, যা উপজেলাটির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তবে জকিগঞ্জে ভ্রমণের সময় আরও অনেক সুন্দর স্থান উপভোগ করা যায়।<br><br> ত্রিমোহনা ছাড়াও জকিগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয় স্থানের মধ্যে রয়েছে দেওয়ান সাজিদ রাজার বাড়ি, জকিগঞ্জ কাস্টম ঘাট, বলাই হাওর, মোরিচা বাগান বাড়ি, জান্নাত এন্টারটেইনমেন্ট পার্ক, আটগ্রাম বড় বাড়ি মসজিদ ইত্যাদি। উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে জকিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, জকিগঞ্জ সরকারি কলেজ, ইসমতি ডিগ্রি কলেজ এবং জকিগঞ্জ সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা। যদিও জকিগঞ্জে প্রায় ২০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখানে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই।<br><br> উপজেলার প্রায় ৮০% জনসংখ্যা কৃষির উপর নির্ভরশীল। জকিগঞ্জ উপজেলা আংশিকভাবে নগরায়িত এবং একটি উন্নয়নশীল এলাকা, তবে এটি প্রতিবছর প্রচণ্ড বন্যার মতো সমস্যার সম্মুখীন হয়।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
দীঘালিয়া প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

দীঘালিয়া
, খুলনা

খুলনা জেলার একটি অংশ, যা বিভিন্ন নদীর মাধ্যমে একাধিক ভূমি এলাকায় বিভক্ত, সেটি হলো দিঘলিয়া উপজেলা। এর নামের সার্থকতার প্রমাণ হিসেবে, উপজেলাটি ভৈরব নদী, ইছামতি নদী, আত্রাই নদী এবং মজুদখালী নদীর মতো বিভিন্ন জলাশয়ে ঘেরা। আজকের দিঘলিয়া এলাকা গাইডে, আমরা উপজেলাটির সৌন্দর্য, ভূখণ্ড এবং পরিবেশ অন্বেষণ করব।<br><br> দিঘলিয়া উপজেলা ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর ভূমি এলাকা ৮৬.৫২ বর্গকিলোমিটার। উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন রয়েছে এবং জনসংখ্যা প্রায় ১,১৫,৫৮৫ জন। উপজেলাটির সাক্ষরতার হার ৫৫.৬৪% এবং এখানে ৭০টিরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। অর্থনীতির একটি বড় অংশ কৃষির উপর নির্ভরশীল হলেও, মৎস্য, আম ও সবজি চাষ, পাট এবং চালকল ইত্যাদিও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।<br><br> দেয়াড়া গ্রাম ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের একটি বেদনাময় ইতিহাস বহন করে, যেখানে গণহত্যার ঘটনা ঘটে। এই এলাকা সেনহাটি শিব মন্দির, কাটানীপাড়া শিব মন্দির, কবি কৃষ্ণচন্দ্র ইনস্টিটিউট প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য স্থাপত্যের জন্যও পরিচিত।<br><br> অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্থাপনা এবং প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে দিঘলিয়া থানা, দিঘলিয়া ঈদগাহ, দিঘলিয়া ফেরি টার্মিনাল, ভৈরব নদী, চিত্রা নদী ইত্যাদি। অনেকেই সেনহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনের মৃৎশিল্প এলাকার দর্শন করতে পছন্দ করেন।<br><br> যাতায়াত এবং পরিবহন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, কারণ এলাকাটি নদী দ্বারা বেষ্টিত। এলাকাটির অভ্যন্তরে মানুষ রিকশা, ভ্যান, বাইক এবং অন্যান্য ছোট যানবাহন ব্যবহার করে। তবে, দিঘলিয়া থেকে খুলনার অন্য যেকোনো স্থানে যেতে নৌকা ও ফেরিই একমাত্র পরিবহন মাধ্যম, কারণ এখানে কোনো সেতু নেই।<br><br> তবে, এই উপজেলার একটি ইতিবাচক দিক হলো এর সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশ। রাস্তার দুই পাশে বেশিরভাগ জায়গায় গাছ, সবুজ খোলা মাঠ, কৃষিজমি এবং নদী দেখা যায়, যা মুহূর্তেই মন ভালো করে দেয়।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
পাইকগাছা প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

পাইকগাছা
, খুলনা

যদি আপনি খুলনা সদর এলাকা থেকে বাসে ভ্রমণ করেন, তাহলে আপনি সরাসরি পাইকগাছা জিরো পয়েন্টে যেতে পারেন। পথে আপনি চুকনগর, আঠারোমাইল, কপিলমুনি এবং তালা সহ বেশ কয়েকটি স্থানে থামার সুযোগ পাবেন। ঠিক তাই! আজ আমরা আপনাকে পাইকগাছা এলাকায় একটি সম্পূর্ণ গাইড প্রদান করব, যেখানে এই উপজেলা এবং এর বৈচিত্র্যময় স্থানগুলির সম্পর্কে আপনার যা জানা দরকার সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত থাকবে।<br><br> পাইকগাছা উপজেলা খুলনা জেলার দক্ষিণ অংশে অবস্থিত, যা বিখ্যাত সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের কাছে। খুলনা সদর থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই উপজেলাটি মোট ৩৮৩.২৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং এখানে প্রায় ২.৫ লাখ মানুষ বাস করে।<br><br> পাইকগাছা প্রায়শই "বাংলাদেশের সাদা সোনা" নামে পরিচিত, কারণ এটি চিংড়ি চাষে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। এই উপজেলায় রয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এর লবণাক্ত পানির কেন্দ্র এবং অসংখ্য চিংড়ি খামার, যেখানে চিংড়ির দাম অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। চিংড়ি চাষের পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতি কৃষি, দুগ্ধ খামার এবং পোল্ট্রি উৎপাদনের উপর নির্ভর করে বিকশিত হয়েছে।<br><br> পাইকগাছা প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থাপত্যে সমৃদ্ধ। এর কিছু জনপ্রিয় এবং উল্লেখযোগ্য আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে পাইকগাছা জিরো পয়েন্ট, স্যার পি.সি. রায়ের বাড়ি, বাঁকাবাজার জমিদার বাড়ি, সরল খাঁ দীঘি, শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম এবং পীর জাফর আউলিয়া দরগা, পাশাপাশি আরও অনেক দর্শনীয় স্থান।<br><br> ঐতিহাসিক স্থাপত্যের পাশাপাশি পাইকগাছায় রয়েছে পাইকগাছা ফ্যান্টাসি পার্ক এবং গার্ডেন, যা স্থানীয় এবং পর্যটকদের জন্য একটি জনপ্রিয় আকর্ষণ। মনোরম কপোতাক্ষ নদ এই উপজেলাটির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আরও বাড়িয়েছে। তবে, পাইকগাছায় এখনও শপিং সেন্টার, সেবা কেন্দ্র, রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য সুবিধার উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে।<br><br> পাইকগাছা উপজেলা সব সময়ই প্রাণবন্ত এবং কার্যকলাপে পূর্ণ থাকে, এর ব্যস্ত বাজার এবং মার্কেট এলাকা মানুষকে সারাদিনের ব্যবসায় ব্যস্ত রাখে। এই উপজেলায় রয়েছে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মূলত প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবং বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, যেমন মসজিদ, মন্দির এবং গির্জা। এর পাশাপাশি, পাইকগাছায় কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অফিসও রয়েছে, যা এর অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অবকাঠামোতে অবদান রাখছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বাটিঘাটা প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

বাটিঘাটা
, খুলনা

১৮৬০ সালে খুলনা জেলায় একটি ক্যাম্প স্থাপিত হয়, যা ১৮৯২ সালে একটি থানায় রূপান্তরিত হয়। এর ফলে বটিয়াঘাটা থানা গঠিত হয়। পরবর্তীতে, ১৯৮৩ সালে বটিয়াঘাটা উপজেলাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি খুলনা শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং এর ভূমির আয়তন ২৩৫.৩২ বর্গকিলোমিটার।<br><br> বর্তমানে বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৭টি ইউনিয়ন/ওয়ার্ড, ১৩টি মৌজা/মহল্লা এবং ১৫৮টি গ্রাম রয়েছে। প্রায় ৪০,৭৭৯টি পরিবার নিয়ে এর মোট জনসংখ্যা ১,৭১,৭৫২ জন। এ কারণেই বটিয়াঘাটা এলাকার গাইড সম্পর্কে অবগত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।<br><br> বটিয়াঘাটা উপজেলা উত্তরে খুলনা সদর ও রূপসা উপজেলা, দক্ষিণে পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলা, পূর্বে ফকিরহাট ও রামপাল উপজেলা এবং পশ্চিমে ডুমুরিয়া উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত। উপজেলায় বেশ কয়েকটি নদী রয়েছে, যেমন রূপসা, কাজিবাছা, ভদ্রা প্রভৃতি।<br><br> বটিয়াঘাটা একটি নদীসমৃদ্ধ এলাকা হওয়ায় মাছ চাষের জন্য অসাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকার প্রধান অর্থনীতি মাছ চাষ, ধান, পাট, গম, তুলা, পোল্ট্রি খামার, দুগ্ধ খামার ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল।<br><br> বটিয়াঘাটা সদর এলাকার কাছে অবস্থিত একটি উপজেলা, যা একটি উপশহরীয় জীবনধারা এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সুবিধা প্রদান করে। তবে, উপজেলার একটি বড় অংশ এখনও উন্নয়নের বাইরে রয়েছে। তবুও, খুলনা সিটি বাইপাস, খুলনা-সাতক্ষীরা হাইওয়ে, ঢাকা-যশোর-খুলনা সড়ক ইত্যাদি প্রধান সড়কগুলো উন্নত পরিবহন সুবিধা প্রদান করে। সবচেয়ে কাছের রেলওয়ে স্টেশন হলো খুলনা রেলওয়ে স্টেশন।<br><br> তবুও, বটিয়াঘাটায় অনেক খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেমন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি বটিয়াঘাটা ডিগ্রি কলেজ। এছাড়াও, এখানে একাধিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। বিনোদন কেন্দ্র এবং পর্যটন স্থানের ক্ষেত্রে এলাকায় বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় স্থান রয়েছে, যেমন বটিয়াঘাটা রিভারভিউ, গোল্লামারী স্মৃতিস্তম্ভ, লিনিয়ার পার্ক, শেখ রাসেল ইকো পার্ক, রানা রিসোর্ট অ্যান্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ইত্যাদি।<br><br> সামগ্রিকভাবে, বটিয়াঘাটা উপজেলা শুধু বৈচিত্র্যময় পরিবেশই নয়, বসবাসের জন্যও কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। তবে, আপনি যদি আধুনিক জীবনযাত্রার সুবিধা খুঁজে থাকেন, তাহলে এটি সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান নয়।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কর্ণফুলী প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.6

কর্ণফুলী
, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অধীনে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত, কর্ণফুলী, প্রায় ৫৫.৩৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা। কর্ণফুলী এরিয়া গাইড অনুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলা এবং উপজেলার মধ্যে দুরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। কর্ণফুলী এলাকা দক্ষিণে চন্দগাঁও থানা এবং বোয়ালখালী উপজেলা, উত্তর দিকে আনোয়ারা উপজেলা, পূর্বে পটিয়া উপজেলা এবং পশ্চিমে পতেঙ্গা থানা ও বন্দর থানা দ্বারা পরিবেষ্টিত। ২০১৬ সালে পটিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে এই এলাকা গঠিত হয়। এর পূর্বে এটি পটিয়া থানার অংশ ছিল। বর্তমানে কর্ণফুলী এলাকায় ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে: ১ নং চর লাখিয়া, ১ নং (ক) ঝুলধা, ১ নং (খ) চর পাঠারঘাটা, ২ নং বড় উদধান এবং ৩ নং শিকলবাহা। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, এখানে ১৬০,০০০ এর বেশি লোক বাস করে। কর্ণফুলী একটি সুন্দর উপশহর এলাকা যা তার নদীর কারণে সবসময় সতেজ থাকে। স্থানীয়রা প্রায়ই বিকেলে কর্ণফুলী নদীর বাতাসে সময় কাটায়, যা তাদের শরীর শীথিল এবং সুস্থ করতে সাহায্য করে। আপনি যদি কখনো শহর ঘুরে দেখতে চান, তবে আপনার সফরের পরিকল্পনায় সেতুটি অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন! নদী ও সেতু ছাড়াও, কর্ণফুলীতে আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেমন শাহ আমানত সেতু, বড় উদধান জমিদার বাড়ি, কালারপুল সেতু ইত্যাদি। কর্ণফুলী শুধুমাত্র একটি দৃশ্যমান এলাকা নয়, এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর কর্ণফুলী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড) জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এলাকার বৃদ্ধি পাচ্ছে অর্থনীতি বিভিন্ন ব্যাংকের উপস্থিতির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়। আগামী কর্ণফুলী টানেলটি এই এলাকার সংযোগ উন্নত করতে সহায়ক হবে, যা এটি বাণিজ্য ও বাণিজ্যের জন্য আরও আকর্ষণীয় হাব করে তুলবে। একটি উপশহর এলাকা হিসেবে, কর্ণফুলী বেশ উন্নত এবং আরও উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে এখানে অনেক প্রাথমিক স্কুল, বেশ কিছু উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ এবং মাদ্রাসা রয়েছে। কর্ণফুলী সিডিএ আবাসিক এলাকা তার কমিউনিটির জন্য মানসম্মত আবাসন প্রদান করে। মোটের উপর, কর্ণফুলীতে জীবনযাপন সাশ্রয়ী এবং শান্তিপূর্ণ, যেখানে বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলি রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কোতোয়ালি প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.6

কোতোয়ালি
, চট্টগ্রাম

কর্ণফুলি নদীর তীরে অবস্থিত, কোতোয়ালি থানা তার গৌরব এবং খ্যাতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এটি কোতোয়ালির অন্যতম প্রাচীন এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। ৬.২৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকার এই থানায় ৪৩,০০০টি পরিবারের বাসস্থান এবং এটি চট্টগ্রামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থান ধারণ করে।<br><br> কোতোয়ালি থানায় ১১টি ওয়ার্ড এবং ৩১টি মহল্লা রয়েছে। এই এলাকা প্রধানত আবাসিক উদ্দেশ্যে পরিচিত। কোতোয়ালির কিছু এলাকায় আপনি প্রাচীন স্থাপত্য এবং আধুনিক প্রতিষ্ঠানের মিশ্রণ দেখতে পাবেন।<br><br> আবাসিক ব্যবহারের বাইরে, কোতোয়ালি বাণিজ্য এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি কর্ণফুলি নদীর তীরে অবস্থিত এবং ডবল মুরিং এবং খুলশী থানার প্রতিবেশী, এখানে অনেক বন্দরভিত্তিক অর্থনীতি বিকশিত হয়েছে। আপনি যদি উপকূলীয় অঞ্চলে যান, তবে নদীতে নোঙর করা নৌকা এবং জাহাজ দেখতে পাবেন।<br><br> কোতোয়ালি চট্টগ্রাম শহরের অনেক বাসিন্দার জন্য আকর্ষণীয় একটি এলাকা। এর প্রধান কারণ হল কিছু প্রখ্যাত এবং পুরনো বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা। সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, সেন্ট প্ল্যাসিডস হাই স্কুল এবং ড. খাস্তাগীর সরকারি গার্লস হাই স্কুল কোতোয়ালির অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।<br><br> যদিও এই এলাকা বেশ ঘনবসতিপূর্ণ, কোতোয়ালি এখনও একটি পর্যটন কেন্দ্র। আপনি যদি ওয়ার সিম্যাট্রি , সিআরবির আড্ডা, অথবা অভয় মিত্র ঘাটে সূর্যাস্ত উপভোগ না করেন তবে আপনার চট্টগ্রাম সফর শেষ হবেনা।<br><br> কোতোয়ালি প্রায় সব কিছুই অফার করে। আপনি যদি বাড়ি খোঁজেন, ব্যবসায়ী হন, ছাত্র হন বা শুধু পর্যটক হন, এখানে আপনার যা দরকার সব কিছু পাবেন। সুন্দর নদী, প্রাচীন শহরের ঐতিহ্য এবং বাণিজ্য ও বাণিজ্যে বিপুল সুযোগের মধ্যে, কোতোয়ালি সত্যিই একমাত্র স্থান।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
চকবাজার প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.6

চকবাজার
, চট্টগ্রাম

চকবাজার চট্টগ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। বাণিজ্য, প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের প্রাচুর্যের কারণে এই অঞ্চলটি যথাযথভাবে চট্টগ্রামের চেতনাকে ধারণ করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক স্থান এবং আবাসিক এলাকার জন্য একে মোজাইক হিসেবে ধরা হয়। চকবাজার হল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড যেখানে ২০০,০০০ এরও বেশি লোক বাস করে।<br><br> চকবাজার একটি সমৃদ্ধ ইতিহাসের শহর। একসময় পুলিশ ফাড়ি হিসেবে বিবেচিত, এটি এখন ব্যবসা-বাণিজ্যে ভরপুর একটি জমজমাট শহর। ব্রিটিশ আমলে, এটি বণিক এবং ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন ব্যবসা শুরু করার জন্য একটি মিলনস্থল ছিল। এই নামটি বাণিজ্য এবং বিপণনের গৌরবময় অতীতের সাথে অনুরণিত হয় যা এই অঞ্চলে সবখানে ছড়িয়ে পড়েছিল।<br><br> এই শহর বিকশিত হয়েছে, এবং তাই মানুষ হয়েছে. কিন্তু অতীতের সারাংশ অর্থাৎ এখনও পুরানো দালান, সরু রাস্তা এবং পুরানো দোকানগুলির মধ্যে রয়েছে। যাইহোক, শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্রটি এখনও জীবিত এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে বেশ ভরপুর। টেক্সটাইল এই এলাকার একটি বড় বাজার। এর বাইরে, আপনি সাশ্রয়ী মূল্যে ইলেকট্রনিক্স, মশলা এবং গৃহস্থালীর আইটেম পাবেন।<br><br> ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়াও চকবাজারের আরেকটি পরিচয় রয়েছে। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ববর্তী মর্যাদাপূর্ণ বিদ্যালয়ে ভরা একটি প্রধান শিক্ষা কেন্দ্র। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হল চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজ এবং চট্টগ্রাম কলেজ।<br><br> যদিও এই শহরের অনেকগুলো শহুরে সুবিধার রয়েছে, তারপরও অনেক এলাকার সাথে এখন সংযোগ হারিয়ে গেছে যা এক সময় চকবাজারের ঐতিহ্যের অংশ ছিল। আবাসিক এলাকা প্রায়ই আড্ডা এবং সমাবেশের জন্য গুঞ্জন হয়। চায়ের স্টল, রাস্তার খাবারের স্টল এবং খাবারের দোকানগুলিতে রাজনীতি বা ক্রিকেটের আলোচনায় মুখরিত হতে দেখা যায়।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বালাগঞ্জ প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.6

বালাগঞ্জ
, সিলেট

বালাগঞ্জ উপজেলা, সিলেট জেলার অন্তর্ভুক্ত, কুশিয়ারা এবং কালনী নদীর তীরে অবস্থিত। বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক এবং ঐতিহাসিক দিক থেকে এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা। বালাগঞ্জ পূর্বে কুশিয়ারা নদী নামে "কুশিয়ারকূল" হিসেবে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে এটি মদন মোহন জিউ আশ্রমের প্রভাবে ''মদনগঞ্জ" নাম পরিচিতি পেয়েছিলো। এই আশ্রমের সেবায়েতগণ হাতে বালা পরতেন এবং এই এলাকায় বিপুল পরিমাণে বালা’কেনা-বেচা হত। পরবর্তীতে থানা গঠনের সময় বালাগঞ্জ নামকরণ করা হয়।<br><br> বালাগঞ্জ থানা ১৮৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮২ সালে এটিকে উপজেলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। উপজেলাটির আয়তন প্রায় ১৫১.২১ বর্গকিলোমিটার, এটি বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম উপজেলা। এখানে ১৪টি ইউনিয়ন, ২৩৭টি মৌজা এবং ৪৭২টি গ্রাম রয়েছে। এটি উত্তরে দক্ষিণ সুরমা এবং সিলেট সদর উপজেলা, দক্ষিণে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলা, পূর্বে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা এবং পশ্চিমে বিশ্বনাথ ও নবীগঞ্জ উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত।<br><br> ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে, ওসমানীনগর-বালাগঞ্জ রোড, খাদিমপুর-সৈয়দপুর রোড, এবং নয়াখাদিমপুর-মান্দারুকা রোড, এই উপজেলার প্রধান সড়ক। সিলেট সদর থেকে বালাগঞ্জ উপজেলার মধ্যে সড়কপথে দূরত্ব প্রায় ৩৭ কিলোমিটার। এই উপজেলায় যাওয়ার সবচেয়ে ভালো পথ হল ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। রাস্তাটি নাজির বাজার হয়ে উপজেলা এলাকায় প্রবেশ করে এবং কুড়ুয়া, দয়ামির, ওসমানীনগর হয়ে যায়। সেখান থেকে ওসমানীনগর -বালাগঞ্জ সড়ক ধরে উপজেলা সদর এলাকায় পৌঁছানো যায়। বাস ছাড়াও, আপনি উপজেলার ভেতরে এবং বাইরে যাতায়াতের জন্য বিভিন্ন ধরণের পরিবহন ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, উপজেলা থেকে রেলওয়ে স্টেশন এবং এয়ারপোর্ট বেশ দূরে।<br><br> কৃষি এই উপজেলার প্রধান অর্থনৈতিক উৎস। এছাড়াও মৎস উৎপাদন, পশু পালন, এবং বিভিন্ন শিল্প কারখানা স্থানীয় অর্থনীতিকে সচল রেখেছে। এখানকার প্রধান কৃষি ফসল ধান, সরিষা, আলু। এখানকার স্থানীয় কুটিরশিল্প যেমন, শীতলপাটি, নকশি পাটি, সারা দেশে জনপ্রিয়। এখানকার অনেক মানুষ বিদেশে কর্মরত আছেন, তাদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে।<br><br> এই উপজেলায় ৫৯৬টি মসজিদ, ৫৪টি মন্দির এবং ১৭৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ববর্গ হলেন, শায়খুল হাদিস আল্লামা নূর উদ্দিন গহরপুরী (খ্যাতিমান আলেম এবং হাদিস বিশারদ), রাজা গিরিশ চন্দ্র রায় (শিক্ষাবিদ, এম সি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা), এবং আতাউল গণি ওসমানী (মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক)।<br><br> এই উপজেলার অন্যতম জনপ্রিয় স্থান হল ওসমানী জাদুঘর, যেটি দয়ামির গ্রামে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর পৈতৃক নিবাস। উপজেলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে গোপাল জিউর আশ্রম, এসওএস শিশু পল্লী, কাদিপুর দীঘিরপাড় জামে মসজিদ, আদিত্যপুর শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ, গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আখড়া, নগেন্দ্রদাশ চৌধুরীর বাড়ির ভগ্নাবশেষ, চন্দ্রনাথ শর্মার মন্দির, গিরিশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি, কুশিয়ারা নদী, ইত্যাদি। এখানে বিভিন্ন হাওর এবং বিল রয়েছে, যেমন পাতাচতল বিল, চেপ্তি বিল, মাজাইল বিল এবং মেরোয়ার হাওর।<br><br> শান্ত-মনোরম পরিবেশ হওয়ায় এই অঞ্চলটি বসবাস করার জন্য আকর্ষণীয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই উন্নয়নের ফলে, এখানে প্রচুর বাসস্থানের চাহিদা তৈরী হয়েছে। অনেক আবাসিক ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। তবে এই অঞ্চলের অনেকাংশ নিম্নভূমি হওয়ায়, বন্যার ঝুঁকিতে থাকে। উপজেলার ভিতরের বিভিন্ন রাস্তা এবং কৃষি জমি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
দৌলতপুর প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.6

দৌলতপুর
, খুলনা

খুলনার প্রাণকেন্দ্র থেকে অল্প দূরে অবস্থিত, দৌলতপুর খুলনা মেট্রোপলিটন সিটির অন্তর্গত একটি বিশিষ্ট এলাকা। এটি ৭.৬৯ বর্গ/কিমি ভূমি এলাকা নিয়ে ভৈরব নদীর কাছে খুলনা জেলার একটি থানা। দৌলতপুর এলাকার নির্দেশিকা দেখায় যে থানার জনসংখ্যা ১,১৭,৫৬০ জন। এটি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের দুটি ওয়ার্ড এবং ৩৭ টি মৌজা/মহল্লা নিয়ে গঠিত।<br><Br> যেহেতু এটি খুলনা জেলা এবং শহরের অন্যতম প্রধান এলাকা, দৌলতপুর অ্যাক্সেসযোগ্য পরিবহন সরবরাহ করে। এর দুই পাশে ঢাকা-যশোর-খুলনা রোড এবং খুলনা সিটি বাইপাস নামে দুটি প্রধান মহাসড়ক রয়েছে। নবনির্মিত আউটার বাইপাস রোড অতিরিক্ত পরিবহন সুবিধা প্রদান করে।<br><Br> এলাকার অভ্যন্তরে যাতায়াতের মধ্যে রয়েছে গাড়ি, সিএনজি, রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যান, বাইসাইকেল ইত্যাদি। যাইহোক, সমস্ত ভাল জিনিস থাকা সত্ত্বেও, দৌলতপুরের বেশিরভাগ রাস্তাগুলি অনুন্নত, এবং স্থানীয় রাস্তাগুলিরও বড় উন্নয়ন প্রয়োজন।<br><Br> তার উপরে, অপরিশোধিত জল এবং রাসায়নিকগুলি খালগুলিতে নিঃসৃত হয়, যা বড় জল দূষণের কারণ হয়। যদিও এলাকার কিছু অংশ নতুন উন্নয়নের সম্মুখীন হচ্ছে, তবে এলাকার বেশিরভাগ অংশ এখনও আধুনিক জীবনধারা, সুযোগ-সুবিধা এবং সুযোগ-সুবিধা থেকে অনেক দূরে।<br><Br> দৌলতপুর একটি গ্রামীণ এবং প্রাকৃতিকভাবে অনেক সুন্দর সবুজ এলাকা। এলাকার চারপাশে খোলা মাঠ ও জমির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। দৌলতপুরে বাসস্থান ও থাকার খরচ বেশ সাশ্রয়ী।<br><Br> কিন্তু এত কিছুর পরও, উল্লেখযোগ্য নিদর্শন ও ঐতিহাসিক স্থান বহনকারী দৌলতপুর দিন দিন বদলে যাচ্ছে। একা দৌলতপুর এলাকায় অনেক উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস, বিশেষ হাসপাতাল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি রয়েছে।<br><Br> দৌলতপুর বাজারটি এলাকার ব্যস্ততম বাজারের একটি, যেখানে প্রতিদিন ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য মানুষ ভিড় জমায়। আর দৌলতপুর ফেরি টার্মিনাল হাজার হাজার মানুষকে ভৈরব নদী পার হতে সাহায্য করে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
মগবাজার প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.6

মগবাজার
, ঢাকা

মগবাজার, ঢাকার রাজধানীর একটি উত্সাহী শহরতলী, বৈচিত্র্য এবং সংযোগের দিক থেকে শহরের আসল চেতনাকে পর্দায় তুলে ধরে। একটি গুরুত্বপূর্ণ চৌরাস্তা হিসাবে এলাকাটিকে গ্রহণ করে, এটি মালিবাগ, খিলগাঁও, তেজগাঁও এবং হাতিরঝিলের মতো প্রধান এলাকাগুলিকে সংযুক্ত করে যেখানে অত্যাধুনিক ব্যবসা এবং ব্যক্তিগত ট্রাফিক প্রবাহ পরিচালিত হচ্ছে। ব্যবসা এবং ব্যক্তিগত গতিশীলতা উভয়ের জন্যই এটি অবশ্যই একটি যাত্রাপথ।<br><br> এই বছরগুলিতে, এটি এই ব্যস্ত, জনাকীর্ণ জায়গায় রূপান্তরিত হয়েছে যেখানে আপনি প্রচুর ব্যবসা করতে পারেন, বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্ট এবং বাড়ি খুঁজে পেতে পারেন বা একটি ক্যাফেতে কিছু সময় উপভোগ করতে পারেন। উল্লেখ করার মতো নয়, এলাকাটিকে আন্তঃসংযোগকারী বাস, রিকশা এবং পথের ঝাঁকুনি সত্ত্বেও কাছাকাছি জায়গাগুলিতে ভ্রমণ করা অনেক সহজ।<br><br> মগবাজারের অনন্য বিষয় হল এটি কীভাবে একসময় মানুষের জন্য একটি শান্ত আবাসিক এলাকা ছিল এবং পরে এটি একটি সমৃদ্ধ ব্যস্ত স্থানে পরিণত হয়েছিল। আপনি পুরানো বাজার থেকে শুরু করে মল পর্যন্ত সবকিছু খুঁজে পেতে পারেন যা ঐতিহ্যবাহী কূপের মূর্ত প্রতীক থেকে অত্যাধুনিক। এবং আপনি যদি কোনও ধরণের থাকার জায়গা খুঁজছেন - সাধারণ কিছু থেকে অভিনব কিছু - বেছে নেওয়ার জন্য দুর্দান্ত জায়গাগুলির কোনও অভাব নেই!<br><br> এই এলাকাটি দোকান এবং ঘর সম্পর্কে নয় কিন্তু এটি সম্প্রদায় সম্পর্কে। এটা মানুষ, পরিবার, হাসি এবং ক্রমবর্ধমান সম্পর্কে। এটা মানবতা, এবং শুধুমাত্র তাদের কারণে যারা জীবন ও সংস্কৃতিতে পূর্ণ। সিদ্ধেশ্বরী বয়েজ হাই স্কুল, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হলি ক্রস কলেজ এবং গভর্নমেন্টে শিক্ষার্থীদের উত্সাহী সম্প্রদায়। অন্যদের মধ্যে বিজ্ঞান কলেজ, প্রচণ্ড একাডেমিক শিক্ষার অফার করে, এবং ব্যাপকভাবে উপলব্ধ স্থানীয় উদ্যানগুলি তাদের জন্য শান্ত বিকল্প অফার করে যারা শহরের মধ্যে কিছুক্ষণ শান্ত থাকতে চায়। এছাড়াও, এটি শুধুমাত্র ভোজনরসিক এবং মজা-অনুসন্ধানীদের জন্য অনেকগুলি রাস্তার খাবারের স্টল এবং ক্যাফে চেষ্টা করার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা নয়, এটি লোকেদের নিজস্ব মজা এবং অবসর ক্রিয়াকলাপগুলি খুঁজে পাওয়ার একটি জায়গা।<br><br> রূপকভাবে মগবাজার ঢাকাকে সবচেয়ে ভালোভাবে উপস্থাপন করে যেখান থেকে কেউ রাজধানী শহরের নতুন এবং উত্তেজনাপূর্ণ সবকিছু ক্যাপচার করতে পারে। এটি এমন একটি জায়গা যেখানে পুরানো এবং নতুন মিশ্রিত একটি অনন্য পরিবেশ তৈরি করে, হয় আশেপাশের এলাকাগুলি বিকাশ লাভ করে বা সম্প্রদায়ের সদস্যরা একত্রিত হয় এবং আনন্দ করে, যখন শহরটি তার হৃদয়কে শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসাবে রাখে। আপনি দূর থেকে, শহরে নতুন, বা একটি আড্ডা দেওয়ার জায়গা খুঁজছেন না কেন, আপনার সম্ভবত মগবাজারের এলাকাটি চেষ্টা করা উচিত কারণ এখানে প্রত্যেকের জন্য কিছু না কিছু আছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বয়রা বাজার প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.5

বয়রা বাজার
, খুলনা

বয়রা বাজার, প্রায়ই ছোট বয়রা বাজার নামে পরিচিত, খুলনা মেট্রোপলিটন সিটির অন্যতম ব্যস্ত এবং সবচেয়ে জনবহুল বাজার এলাকা। এটি শেখ আবু নাসের বাইপাস রোড, ঢাকা-যশোর-খুলনা রোড, জলিল সরণি এবং বয়রা মেইন রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার কাছাকাছি অবস্থিত। <br><br> বাজারটি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে পড়ে। এটি সোনাডাঙ্গা থানার একটি অংশ এবং খুলনা শহরের অন্যতম প্রাচীন বাজার। এবং যদি আপনি বয়রা বাজার এলাকার গাইডে আগ্রহী হন, তাহলে আপনার জানা উচিত যে এটি এমন একটি জায়গা যেখানে অনেক পরিচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে।<br><br> ছোট থেকে বড় দোকান, মুদি, কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে কাপড়ের বাজার, সবই রয়েছে বাজারে। এই কারণেই এটি এমন একটি বিশৃঙ্খল অবস্থান যেখানে গভীর রাত পর্যন্ত ঘুম আসে না।<br><br> বাজারটি বেশ কয়েকটি প্রধান সড়কের কাছে অবস্থিত হওয়ায় বিক্রেতা, ব্যবসায়ী, গ্রাহক এমনকি এলাকার বাসিন্দারাও শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সহজেই যাতায়াত করতে পারেন। কাঁচাবাজারের দোকান ছাড়া খোকন শপিং কমপ্লেক্স হল স্থানীয়দের কাছে যাতায়াতের মল। এছাড়াও বাজার এলাকার কাছাকাছি ব্যাংক, চিকিৎসা কেন্দ্র, রিয়েল এস্টেট কোম্পানি, মসজিদ, গীর্জা, মন্দির ইত্যাদি রয়েছে।<br><br> এটির কাছাকাছি বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেমন ফাতেমা মেমোরিয়াল স্কুল, হাজী ফয়েজ উদ্দিন গার্লস স্কুল, সুন্দরবন ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, সুন্দরবন মেডিকেল ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) ইত্যাদি। <br><br> এছাড়াও বাজারের কাছাকাছি সরকারি, বেসরকারি, বেসরকারি, সরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো খুলনা ডাক অধিদপ্তর, আঞ্চলিক পাটজাত দ্রব্য পরীক্ষাগার, আঞ্চলিক পরিবার পরিকল্পনা অফিস, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, ওয়ার্ল্ড ভিশন চাইল্ড কেয়ার সেন্টার, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) ইত্যাদি।<br><br> এলাকাটিতে আবাসিক বাড়ি এবং সম্পত্তি রয়েছে যা বেশিরভাগই পারিবারিক মালিকানাধীন। যাইহোক, বর্তমানে বয়রা বাজার এলাকায় নতুন আবাসিক ও বাণিজ্যিক সম্পত্তি উন্নয়নাধীন রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
মুরাদপুর প্রপার্টি গাইড
Rating icon
2.3

মুরাদপুর
, চট্টগ্রাম

মুরাদপুর অনেক রঙের একটি প্রাণবন্ত শহর, চট্টগ্রামে অবস্থিত। এটি একটি নিখুঁত পরিশীলিত এলাকা যেখানে একটি সম্প্রদায়-কেন্দ্রিক এলাকার নির্মল স্পন্দন রয়েছে। এই এলাকাটি উল্লেখযোগ্য ইতিহাস সহ একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি দেখায়। এছাড়াও, আধুনিকতা এবং ঐতিহ্যের একটি অনন্য সংমিশ্রণ দর্শক এবং মানুষকে সেখানে বসবাস করতে আকৃষ্ট করে।<br><br> যদিও একটি এলাকা হিসেবে মুরাদপুর আয়তনে এত বড় নয় (প্রায় 21.59 কিমি^2), এটি চট্টগ্রামের দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শহরের কেন্দ্রীয় অংশে অবস্থিত যার কারণে এই এলাকায় যাওয়া অনায়াসে হয়ে যায়। এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকেও যাচ্ছেন। এই এলাকায় একটি চমৎকার পরিবহন ব্যবস্থা এবং শহরের প্রধান ও বড় রাস্তার সাথে ভালো যোগাযোগ রয়েছে। যে কারণে এটি পর্যটকদের প্রধান স্পট হয়ে উঠেছে।<br><br> এই এলাকার প্রধান আকর্ষণ হল বিভিন্ন ধরণের দালান, বাজার, রেস্টুরেন্ট এবং শপিং সেন্টার। এই রেস্তোরাঁগুলো চট্টগ্রামের সমৃদ্ধ রান্নার ইতিহাস দেখায়। স্থানীয় বাজারগুলি কেনাকাটার জন্য দুর্দান্ত জায়গা কারণ তাদের কাছে ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প থেকে আধুনিক পোশাক পর্যন্ত বিস্তৃত পণ্য রয়েছে। অন্যদিকে, মুরাদপুরের খাবারের দৃশ্য ভোজনরসিকদের জন্য একটি ট্রিট, যেখানে দেশি-বিদেশি খাবারের বিস্তৃত পরিসর রয়েছে।<br><br> তবে, মুরাদপুর শুধুমাত্র তার অবস্থান এবং সাংস্কৃতিক পটভূমির জন্য বিখ্যাত নয়। বাসিন্দাদের ভালভাবে পরিবেশন করার জন্য এটির পর্যাপ্ত সংস্থান এবং পরিষেবা রয়েছে। এতে ৪টি মাধ্যমিক ও ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি মাদ্রাসা রয়েছে। সুতরাং, চারপাশে থাকার জন্য এটি একটি ভাল জায়গা। সম্প্রদায়টি সহায়ক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ, এবং সেখানে অনেক সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে যা লোকেদের মনে করে যে তারা তাদের অন্তর্গত।<br><br> তাছাড়া, এই এলাকার ভাল জিনিস হল শহরের অন্যান্য অংশের তুলনায় এই জায়গায় বেশি সবুজ আছে। শুধুমাত্র যে জিনিসটি অনুপস্থিত তা হল বিনোদনের জন্য কিছু সুযোগ যেমন সিনেপ্লেক্সের সিনেপ্লেক্স পার্ক ইত্যাদি।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
IconMap

ফিচারড প্রজেক্ট

সবগুলো দেখুন

Bangladesh-এর প্রপার্টি প্রাইস ট্রেন্ড

কেনা
ভাড়া
বেডরুম:
গড় মূল্য (বিগত ১২ মাসের)
Tk. 6,403.58 per sqft
বিগত ১২ মাসের বৃদ্ধি
9.08%
Positive Trend
বিগত ৩ মাসের বৃদ্ধি
11.59%
Positive Trend
Icon
দ্রষ্টব্য: মূল্য তথ্য Bikroy-এর পোস্ট করা বিজ্ঞাপন থেকে ঐতিহাসিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া। সম্পূর্ণ মার্কেটের ডায়নামিক প্রতিফলিত নাও হতে পারে।
hero

Bikroy এ বিক্রি বা ভাড়া দিন: মাত্র ২ মিনিটেই প্রপার্টির বিজ্ঞাপন দিন!