Search Icon

Bangladesh এর এলাকাগুলি ঘুরে দেখুন

306টি এলাকার মধ্যে 234 - 252টি
বাকেরগঞ্জ প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

বাকেরগঞ্জ
, বরিশাল

বাকেরগঞ্জ বরিশাল জেলার একটি মনোরম উপজেলা। এটি কৃষিকাজ ও মাছ উৎপাদনের জন্য সুপরিচিত। শ্রীমন্ত, কারখানা, বিঘাই, পায়রা ও বিষখালী নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই জনবহুল ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রাণবন্ত ব্যবসায়িক পরিবেশের কারণে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এছাড়া, প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এই এলাকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।<br><br> বাকেরগঞ্জ উপজেলা থেকে নদী ও সড়ক পথে দেশের সব উপজেলা এবং প্রায় সব জেলা শহরের সাথে সংযোগ স্থাপন করা যায়। উপজেলার উত্তরে রয়েছে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলা ও বরিশাল সদর। দক্ষিণে পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলা ও মির্জাগঞ্জ উপজেলা। পূর্বে পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলা ও ভোলা সদর। পশ্চিমে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর ও নলছিটি উপজেলা এবং বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা অবস্থিত।<br><br> বাকেরগঞ্জ উপজেলা সবুজ মাঠ ও নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত। এখানকার স্থানীয় অর্থনীতি মূলত কৃষি ও মৎস্য খাতের ওপর নির্ভরশীল। এই এলাকার মাটি অত্যন্ত উর্বর। এখানকার লোকজ উৎসব, হস্তশিল্প এবং মোগল আমলের ঐতিহাসিক নিদর্শন যে কাউকে মুগ্ধ করবে। স্বাধীন বাংলার নবাব আলীবর্দী খানের শাসনামলে ১৭৪১ সালে উমেদপুরের জমিদার আগা বাকের খান নিজের নামে এই অঞ্চলকে 'বাকেরগঞ্জ' নামে নামকরণ করেন।<br><br> প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি, বাকেরগঞ্জে রয়েছে বেশ কয়েকটি মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা, ক্লিনিক, পার্ক ও স্থানীয় বাজার। এখানকার মানুষ মূলত কৃষি, মৎস্য খাত, পণ্য পরিবহন ও ক্ষুদ্র ব্যবসার সাথে জড়িত। যারা শহরের কোলাহল থেকে দূরে গ্রামীণ শান্ত পরিবেশে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে বসবাস করতে চান, তাদের জন্য বাকেরগঞ্জ উপজেলা একটি আদর্শ স্থান। গ্রামীণ জীবনের সাথে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার মিশেল এখানে আপনাকে মুগ্ধ করবে।<br><br> বরিশাল বিমানবন্দর, নৌবন্দর ও বাসস্ট্যান্ড এই এলাকার খুব কাছাকাছি অবস্থিত। ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়ক, বরিশাল-সুবিদখালী সড়ক এবং ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের মাধ্যমে দেশের প্রায় সব জেলা শহরের সঙ্গে বাকেরগঞ্জের সরাসরি সংযোগ রয়েছে। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য নাগরিক সুবিধা আবাসন, কর্মসংস্থান ও ব্যবসার জন্য অত্যন্ত উপযোগী। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ায় এলাকায় বেশ কয়েকটি আবাসন প্রকল্প ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ চলছে। আশপাশের এলাকার সঙ্গে সংযোগকারী সড়কগুলোর অবস্থাও যথেষ্ট উন্নত।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বাংলাবাজার প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

বাংলাবাজার
, বরিশাল

বাংলাবাজার বরিশাল জেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি প্রাণবন্ত বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকা। এটি অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিস, নদীবন্দর এবং মহাসড়ক রয়েছে। কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত বাংলাবাজার এলাকা পণ্য পরিবহন, যোগাযোগ এবং কৃষিজ পণ্যের উৎপাদনের জন্য একটি ব্যস্ত বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়। এখানে পোশাক ও ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ ও কাঁচাবাজার পর্যন্ত সবকিছুই পাওয়া যায়।<br><br> বরিশাল বিমানবন্দর, নদীবন্দর এবং বাসস্ট্যান্ড এই এলাকার খুব কাছেই অবস্থিত। বঙ্গা-বরিশাল মহাসড়ক, সি অ্যান্ড বি রোড, বাংলাবাজার রোড এবং শহীদ আলী রোড এই এলাকাকে দেশের প্রায় সব জেলার সাথে সংযুক্ত করেছে। এর পশ্চিমে ঝালকাঠি, পিরোজপুর, খুলনা ও বাগেরহাট জেলা, উত্তরে বরিশাল সদর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলা, পূর্বে ভোলা ও নোয়াখালী জেলা এবং দক্ষিণে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা অবস্থিত।<br><br> এই এলাকায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এবং বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মতো উন্নত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া, আশেপাশে অনেক স্কুল ও মাদ্রাসা রয়েছে। এখানে কয়েকটি উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক’ও রয়েছে। পাশাপাশি, লোকাল পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোও বেশ আকর্ষণীয়।<br><br> বাংলাবাজারের পরিবহন ব্যবস্থা বরিশাল জেলার অন্যান্য অংশ এবং সারা দেশের সাথে সড়ক ও নৌপথের মাধ্যমে সংযুক্ত। এই এলাকার অর্থনীতি মূলত কৃষি, পণ্য পরিবহন এবং মৎস্য আহরণের ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া, এখানে কাঁচাবাজার, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা সর্বদা ব্যস্ত থাকে। এই এলাকা সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শনের জন্য পরিচিত।<br><br> নদী ও সবুজ প্রকৃতির মাঝখানে অবস্থিত বাংলাবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করবে। এখানকার রাস্তা, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত হলেও, ফুটপাত ও পার্কিং স্পেস সংকীর্ণ। নদীবন্দর, কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার ফলে প্রধান সড়কগুলো প্রায়ই যানজটে ভোগে।<br><br> বাংলাবাজারের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অন্যান্য নাগরিক সুবিধা আবাসন, কর্মসংস্থান এবং ব্যবসার জন্য অত্যন্ত উপযোগী। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে উন্নত হওয়ার কারণে এখানে বেশ কয়েকটি আবাসন প্রকল্প ও অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান। আশেপাশের এলাকার সাথে সংযোগ স্থাপনকারী সড়কগুলোর অবস্থা’ও ভালো। কাছাকাছি পুলিশ স্টেশন ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন রয়েছে। তবে, যানজট, অতিরিক্ত অটোরিকশা এবং পরিবেশ দূষণ এখানকার প্রধান সমস্যা।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

ব্রাহ্মণবাড়িয়া
, চট্টগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক শহর। জেলাটি সু-উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক গ্যাস, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কৃষি পণ্য এবং আমদানি-রপ্তানি রুট সহ প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যকলাপের একটি ব্যস্ত কেন্দ্র। নির্মল গ্রামীণ পরিবেশ, স্থানীয় হস্তশিল্প এবং প্রাণবন্ত বাজার থেকে শুরু করে আধুনিক স্থাপত্য, এবং বাণিজ্যিক পরিবেশ, আপনি এখানে সবই পাবেন।<br><br> ভৌগলিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস নদীর তীরে অবস্থিত, যা এই অঞ্চলের কৃষি ও শিল্প খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানকার ধান, পাট ও ফলের চাষ স্থানীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। দক্ষিণে মেঘনা নদী এবং পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত এই জেলাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। মসলিন কাপড় এবং চন্দ্রমুখী মিষ্টি এখানকার খুব বিখ্যাত।<br><br><br><br> এই জেলার উত্তরে কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে কুমিল্লা ও ফেনী জেলা এবং পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। এ জেলার উপজেলাগুলো হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, কসবা, আখাউড়া, আশুগঞ্জ, বাঞ্ছারামপুর, বিজয়নগর, নাসিরনগর, নবীনগর ও সরাইল উপজেলা।<br><br> জাতীয় অর্থনীতিতে জেলার অবদান ও গুরুত্ব অপরিসীম। তিতাস, সালদা ও মেঘনা গ্যাসক্ষেত্র এই জেলায় অবস্থিত। এই তিনটি গ্যাসক্ষেত্র দেশের মোট উৎপাদনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ গ্যাস সরবরাহ করে। এছাড়া আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। আশুগঞ্জ সার কারখানা দেশের বৃহত্তম ইউরিয়া সার কারখানা। গার্মেন্টস শিল্প, চামড়া কারখানা, টেক্সটাইল, লোহার মিল, বিদ্যুৎ এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের স্থাপনা এবং কৃষিভিত্তিক প্লান্ট প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোও মানসম্মত।<br><br> সাংস্কৃতিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীতের জন্য বিখ্যাত। ঐতিহাসিকভাবে, শহরটি বিভিন্ন সভ্যতা এবং শাসকদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, যার ফলে বিভিন্ন স্থাপত্য এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। এলাকাটি দেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ট্যাপেস্ট্রি এবং ঐতিহাসিক তাত্পর্যের একটি প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে।<br><br> অর্থনীতি, শিক্ষা, শিল্প সংস্কৃতি এবং যোগাযোগের দিক থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা হওয়ায় জেলাটি ব্যবসা-বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। জেলাটি সড়ক ও রেলপথে সুসংযুক্ত। শহরটি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হলেও গ্রামীণ এলাকায় যোগাযোগ ও অবকাঠামোর অভাব রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
রাঙ্গুনিয়া প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

রাঙ্গুনিয়া
, চট্টগ্রাম

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চট্টগ্রাম জেলায় তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এর বিশাল ভূমি এলাকা (প্রায় ৩৪৭.৭২ বর্গ কিলোমিটার) এবং জনসংখ্যা (৩.৪ লাখ)। এটি ভূমি আয়তনে ৬ তম বৃহত্তম উপজেলা এবং জনসংখ্যার দিক থেকে ৯ তম, রাঙ্গুনিয়া এলাকা নির্দেশিকাকে সর্বাধিক চাওয়া-পাওয়া উপজেলাগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে। <br><br> চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে একটু দূরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা উত্তরে কাউখালী ও রাঙ্গামাটি উপজেলা এবং দক্ষিণে চন্দনাইশ উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত। রাঙামাটির রাজস্থলী ও কাপ্তাই উপজেলা এবং পূর্বে বান্দরবান সদর উপজেলা রয়েছে। এছাড়াও এর পশ্চিমে কাউখালী, রাঙ্গামাটি, রাউজান, পটিয়া এবং বোয়ালখালী উপজেলা রয়েছে। <br><br> সুতরাং, এটা স্পষ্ট যে দেশের দক্ষিণে ভ্রমণের সময় রাঙ্গুনিয়া সবচেয়ে অ্যাক্সেসযোগ্য অবস্থানগুলির মধ্যে একটি। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের কারণে মানুষ চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে এমনকি ঢাকা থেকেও সরাসরি উপজেলায় যাতায়াত করতে পারে। রাঙ্গুনিয়ার এলাকায় ভ্রমণের আরেকটি উপায় হল চন্দ্রঘনা ফেরি টার্মিনাল। যদিও এই এলাকায় রেলপথ নেই, তবে নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশনগুলি হল পটিয়া উপজেলার ধলঘাট এবং পটিয়া রেলওয়ে স্টেশন। <br><br> রাঙ্গুনিয়া উপজেলার প্রশাসনিক সদর দপ্তর হলেও এর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপ-অঞ্চল রয়েছে, যেমন শিলোক, কোদালা, রানীরহাট, পদুয়া, ইত্যাদি। উপজেলার জলাশয় হল কর্ণফুলী নদী এবং ইছামতি নদী। যদিও এগুলো রাঙ্গুনিয়ার সৌন্দর্য বাড়ায়, বন্যা প্রায়ই এলাকা, রাস্তাঘাট এবং কৃষি জমির ক্ষতি করে। যেহেতু রাঙ্গুনিয়াকে দেশের একটি "প্রধান শস্যের উত্স" হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তাই এই ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রায়শই বড় আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়। <br><br> রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আশেপাশে অনেক উল্লেখযোগ্য স্থান ও পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু হল শেখ রাসেল এভিয়ারি এবং ইকো পার্ক, রামপাহাড়-সীতাপাহাড় বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, কোদালা চা বাগান, এবং গয়ানাশরণ বৌদ্ধ মঠ। এছাড়াও নদী এলাকার কাছাকাছি বিভিন্ন নদী এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য রয়েছে। বাংলাদেশের একটি বিশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এছাড়াও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় অবস্থিত। <br><br> উপজেলার অর্থনীতি মূলত কৃষির উপর নির্ভরশীল। যাইহোক, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উত্সগুলির মধ্যে রয়েছে ব্যবসা, বাণিজ্য, পরিষেবা, অ-কৃষি শ্রম এবং পরিবহন। যেহেতু এলাকাটি অনেক সম্ভাবনায় ভরা, রাঙ্গুনিয়া তার জীবনযাত্রার সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
রুপসা প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

রুপসা
, খুলনা

রূপসা, খুলনা জেলার অন্তর্ভুক্ত একটি উপজেলা। এটি রূপসা নদীর তীরে অবস্থিত। প্রশাসনিক কার্যক্রম, কৃষি, বাণিজ্য, মৎস উৎপাদন, পণ্য পরিবহন এবং নৌ-রুটের জন্য এই উপজেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সরকারি-বেসরকারি অফিস, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, লাইব্রেরি, সিনেমা হল, এনজিও ইত্যাদি রয়েছে। এই উপজেলার একাংশ দিয়ে রূপসা নদীর আরেক উপনদী আঠারোবাঁকি বয়ে গেছে।<br><br> রূপসা উপজেলা উত্তরে তেরখাদা উপজেলা, দক্ষিণে ফকিরহাট ও বটিয়াঘাটা উপজেলা, পূর্বে মোল্লাহাট ও ফকিরহাট উপজেলা এবং পশ্চিমে কোতোয়ালি ও খালিশপুর থানা দিয়ে পরিবেষ্টিত। উপজেলাটির সম্পূর্ণ আয়তন প্রায় ১২০.১৫ বর্গকিলোমিটার। এই উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এখানে ৬৪টি মৌজা এবং ৭৫টি গ্রাম রয়েছে। ২০২২ সালের সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী এই উপজেলায় টোটাল জনসংখ্যা ২০৬,৭৪৮ জন।<br><br> রূপসা ফেরিঘাট, খুলনা শহর সহ দক্ষিণ-পশ্চমাঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। যাতায়াত, কৃষি এবং বহুমুখী পণ্য পরিবহনের জন্য এই ঘাটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও খান জাহান আলি ব্রিজ রূপসার সাথে অন্যান্য জেলার যোগাযোগ মাধ্যমকে করেছে আরো সহজতর।<br><br> রূপসা উপজেলার প্রধান সড়ক গুলো হলো - খুলনা সিটি বাইপাস মহাসড়ক, ফকিরহাট-খুলনা বাইপাস সড়ক, এবং খুলনা-মংলা রোড। এই সড়কগুলো দিয়ে খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর, এবং বরিশাল জেলায় সরাসরি যাতায়াত করা যায়। খুলনা রেল স্টেশন, রূপসা থেকে মাত্র ৪ কিমি দূরে অবস্থিত।<br><br> রূপসা উপজেলা উন্নত মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিখ্যাত। এখানে ১০০ টিরও বেশি সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ধর্মপ্রাণ হিসেবেও এই এলাকার পরিচিতি রয়েছে। এখানে ১৭৫টি মসজিদ, ৫৬টি মন্দির ও ২টি গির্জা রয়েছে।<br><br> রূপসা উপজেলার অর্থনীতির প্রধান উৎস হল কৃষি (২৪.৯৯%)। কৃষি, মৎস উৎপাদন, এবং পশুপালন, এই উপজেলার প্রধান অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি। এখানে প্রচুর আবাদিজমি, হেচারি, এবং খামার রয়েছে। এছাড়াও এখানে প্রচুর কাঁচা বাজার, তৈজসপত্র, মসলা, এবং গ্রোসারি স্টোর রয়েছে। তাছাড়া, বাণিজ্য, পরিষেবা, রেমিট্যান্স, পরিবহন এবং যোগাযোগও সেখানকার মানুষের আয়ের উৎস।<br><br> উপজেলাটি তার অসাধারণ প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত। এখানকার ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও বীরবিক্রম মহিবুল্লাহর স্মৃতিসৌধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্বপুরুষের বসতভিটা, রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালা, রূপসা ফেরিঘাট ইত্যাদি। রূপসা নদী তীরে অবস্থিত ঘাট, ব্রিজ, আঠারোবাঁকী ইকো পার্ক, খান জাহান আলী ব্রিজ, ইত্যাদি এই এলাকার আকর্ষণী স্থান। তবে এই উপজেলায় আধুনিক শপিংমল কমপ্লেক্স ও বিনোদন কেন্দ্রের ঘাটতি রয়েছে।<br><br> বিভিন্ন ধরণের কর্ম সংস্থান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সুপার শপ, ব্যাংক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ইত্যাদি গড়ে ওঠায় এই এলাকায় প্রচুর আবাসিক ভবন এবং স্থাপনা তৈরী হচ্ছে। তবে এখানে পথঘাট, পরিকল্পনা মাফিক আবাসিক স্থাপনা নির্মাণ, এবং পরিবেশ দূষণের দিক থেকে উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
লালখান বাজার প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

লালখান বাজার
, চট্টগ্রাম

লালখান বাজার চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এলাকা। এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং খুলশী থানার একটি অংশ। এলাকাটির নিকটেই রয়েছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সেবা, ব্যাংক, সরকারি ও বেসরকারি অফিস, আমদানি-রপ্তানির সুবিধা, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন এবং বন্দর, যা এটিকে সবচেয়ে ব্যস্ত এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। কর্ণফুলী নদীও আমদানি-রপ্তানির একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। <br><br> লালখান বাজার একটি সুপরিচিত বাজার এলাকা। এটি শহরের অন্যতম ব্যস্ততম বাজার। এখানে পোশাক থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক্স, গৃহস্থালী জিনিসপত্র থেকে অলঙ্কার, মসলা থেকে প্রসাধনী—প্রায় সবকিছুই পাওয়া যায়। এখানে অসংখ্য দোকান, বাজার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বন্দরনগরী হওয়ার পাশাপাশি চমৎকার যোগাযোগব্যবস্থা থাকায় এলাকা বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কেন্দ্র এবং পর্যটকদের জন্য ভ্রমণবান্ধব। <br><br> লালখান বাজার চট্টগ্রামের অন্যান্য এলাকার সঙ্গে বিভিন্ন পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে সংযুক্ত। আন্তঃনগর বাসস্ট্যান্ড এবং রেলওয়ে স্টেশন এলাকাটির খুব কাছেই অবস্থিত। এছাড়াও, এখানে সর্বদা পাবলিক বাস, অটোরিকশা এবং ট্যাক্সি পাওয়া যায়। এলাকাটির দক্ষিণে আগ্রাবাদ এবং কোতোয়ালি থানা, উত্তরে লঞ্চ টার্মিনাল, পাঁচলাইশ এবং চকবাজার, পূর্বে রাউজান উপজেলা এবং পশ্চিমে সীতাকুণ্ড উপজেলার সঙ্গে সীমানা দিয়ে আবদ্ধ। <br><br> এলাকা ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাগত সবদিক থেকে সমৃদ্ধ। জামিয়াতুল উলূম আল-ইসলামিয়া দেশের শীর্ষস্থানীয় মাদ্রাসাগুলোর একটি। এখানে স্কুল ও কলেজসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া, এলাকায় হাসপাতাল, আবাসিক হোটেল, পার্ক এবং কমিউনিটি সেন্টারও রয়েছে। <br><br> লালখান বাজার একটি ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা। বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাগত, চিকিৎসা এবং যোগাযোগের সুবিধার কারণে লালখান বাজার এলাকায় আবাসিক ভবনের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আধুনিক আবাসিক সুবিধা উন্নত করার জন্য এখানে নতুন নতুন ভবন ও অ্যাপার্টমেন্ট নির্মিত হচ্ছে। এলাকায় প্রয়োজনীয় সব সুবিধা—বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা—উপলব্ধ। যারা শহুরে পরিবেশে ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন করতে চান, লালখান বাজার তাদের জন্য একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
শরীয়তপুর প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

শরীয়তপুর
, ঢাকা

স্রোতস্বিনী পদ্মা নদীর কূল ঘেষে যে সকল অঞ্চল দাড়িয়ে আছে প্রায় শত বছর ধরে, শরীয়তপুর তাদের মধ্যে একটি। প্রায় ১,২০০ বর্গ কিলোমিটার জুরে বিস্তৃত ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত এই জেলা ফরায়েজি আন্দোলনের পথিকৃৎ হাজী শরিয়তউল্লাহর নামে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে এটি জেলায় রূপ নেয়। পদ্মা, মেঘনা এবং আড়িয়াল খাঁ সহ জেলার খাল-বিলগুলো এই জেলার প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং কৃষি ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে।<br><br> এই জেলার উত্তরে মুন্সীগঞ্জ, পশ্চিমে মাদারীপুর, দক্ষিণে বরিশাল বিভাগ এবং পূর্বে চাঁদপুর জেলা। শরিয়তপুর থেকে বাসযোগে এখন সরাসরি ভ্রমণ করা যায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, যশোর, গোপালগঞ্জ, বেনাপোলসহ আরো অনেক জেলায়। এছাড়া জলপথে যাতায়াতের সুব্যবস্থা তো আছেই।<br><br> ঐতিহাসিকভাবে, এই জেলা বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। চাল, গম, পেঁয়াজ, রসুন, এবং মাছ এখানকার প্রধান অর্থকরী পণ্য। এছাড়াও এখানকার অনেক মানুষ মৎস্য উৎপাদনের সাথে জড়িত। এই জেলার প্রচুর মানুষ বিদেশে কর্মরত আছেন। এখানকার প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রাও দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।<br><br> পদ্মা বহুমুখী সেতু, এই জেলার মানুষের জীবন জীবিকায় সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উভয় দিক থেকে ব্যাপক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এলাকার রাস্তাঘাট, পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করার লক্ষে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এছাড়াও পদ্মাসেতু ও সেতুর আশেপাশের এলাকা ঘিরে জমে উঠেছে অনেক ক্ষুদ্র, মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।<br><br> শরীয়তপুরে মোঘল এবং ব্রিটিশ শাসনামলের অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখা যায়। জেলার জনপ্রিয় ঐতিহাসিক কিছু স্থান এবং স্থাপনাগুলো হলো - ফতেহ জঙ্গপুর কেল্লা, ধানুকা মনসা বাড়ি, রুদ্রকর মঠ, শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ শিবা মন্দির ইত্যাদি। এখানকার আকর্ষণ টুরিস্ট স্পটগুলো হলো - পদ্মা সেতু ও সেতু ভিউ পয়েন্ট, মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম, শরীয়তপুর সদর উপজেলা মিনি পার্ক, পদ্মার লঞ্চ ঘাট, বুড়ির হাট জামে মসজিদ ইত্যাদি। শরীয়তপুরের লোকসংগীত, মেলা এবং স্থানীয় উৎসব, গ্রামীণ সংস্কৃতি ঐতিহ্য ধারণ করে। এই জেলার মানুষ তাদের আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য পরিচিত।<br><br> সাম্প্রতিক সময়ে এই জেলায় উল্লেখযোগ্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। প্রচুর উদ্যোক্তা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। শপিংমল, সুপারশপ, এবং বিনোদন কেন্দ্র তৈরী হচ্ছে। শিক্ষার মান এবং স্বাস্থ সেবাতেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করায়, এই এলাকায় কর্মসংস্থান বেড়েছে। তাই উন্নত বাসস্থানের চাহিদাও প্রতিনিয়ত বাড়ছে।<br><br> শরীয়তপুর জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ, এখানে আবাসিক ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জমি কেনার জন্য মানুষকে আকৃষ্ট করছে। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে জেলায় বিশেষ করে পদ্মা সেতু এলাকায় সম্পত্তির দাম বহুগুন বেড়ে গেছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
সাউথ সুরমা প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

সাউথ সুরমা
, সিলেট

দক্ষিণ সুরমা বাংলাদেশের সিলেট জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ মেট্রোপলিটান থানা। এটি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অধীনে রয়েছে। নদী, স্থল এবং রেলপথ দ্বারা ভালোভাবে সংযুক্ত হওয়ায় এলাকার অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। সিলেট জেলা তার সবুজ পরিবেশ, পাহাড়ি দৃশ্যপট এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত, যা এটিকে বাঙ্গালদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিত করেছে। দক্ষিণ সুরমা তার সবুজ প্রকৃতি, চা-বাগান এবং পাহাড়ি ভূখন্ডের জন্য সুপরিচিত। এই এলাকার সব ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সবাভাবিক ও সন্তোষজনক। ১৯৮৩ সালে দক্ষিণ সুরমা থানা গঠিত হয় ও ২০০৫ সালে এটি উপজেলায় রূপান্তরিত হয়।<br><br> সুরমা নদী এই অঞ্চলে বসবাসয়াকারী মানুষের জন্য আশীর্বাদসরূপ। এই নদী সেচ ও পরিবহনসহ অন্যান্য দইন্নন্দিন প্রয়োজন পূরণ করে। এই এলাকার চা-বাগান এবং কৃষিজ পণ্য দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। চা-বাগান কেবল অরথনীতিতে অবদান রাখে না বরং দক্ষিণ সুরমার মনঃমুগ্ধকর সৌন্দর্য ক্রেতাদের আকর্ষণ করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং কৃষি ছাড়াও এই এলাকা সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ। এই অঞ্চলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস, যার মধ্যে রয়েছে আদিবাসী খাসি এবং মণিপুরী জনগোষ্ঠী। তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব ঐতিহ্য, ভাষা এবং সংস্কৃতি রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
হাটহাজারী প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

হাটহাজারী
, চট্টগ্রাম

হাটজারি চট্টগ্রাম জেলার একটি জনবহুল এবং প্রাণবন্ত উপজেলা, যা দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশে অবস্থিত। এটি বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, যোগাযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-কোর্ট, বাসস্থান ইত্যাদি জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। সবুজ প্রকৃতি এবং পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত হ্টজারি অঞ্চলটি ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। এখানে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি অনন্য সমন্বয় এবং বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের বন্ধুত্বপূর্ণ জীবনযাত্রার দেখা মেলে। <br><br> হাটজারির উত্তরে ফটিকছড়ি উপজেলা, দক্ষিণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পঞ্চলাইশ ও চাঁদগাঁও পুলিশ স্টেশন, পূর্বে রাউজান উপজেলা এবং পশ্চিমে সীতাকুণ্ড উপজেলা অবস্থিত। উপজেলা বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বিভক্ত, প্রতিটি ইউনিয়ন কয়েকটি গ্রাম নিয়ে গঠিত। এখানে আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদরাসা, যা হাটজারি মাদরাসা নামেও পরিচিত, দেশের অন্যতম সেরা এবং বৃহত্তম কওমী মাদরাসা। হাটজারি একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধারণ করে, যা প্রচলিত বাঙালি সংস্কৃতি এবং ইসলামিক প্রভাবের মিশ্রণ। <br><br> হাটজারির অর্থনীতি মূলত বাণিজ্য এবং কৃষির উপর নির্ভরশীল। উপজেলায় ছোট এবং বড় ব্যবসা ও বাজারের একটি বৈচিত্র্য রয়েছে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখে। এলাকার কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, পশু চিকিৎসা গবেষণা কেন্দ্র এবং পাওয়ার প্ল্যান্ট দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। <br><br> হাটজারিতে একটি সেনা ক্যাম্প, পুলিশ স্টেশন এবং দমকল বাহিনী রয়েছে। এই এলাকার পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত। চট্টগ্রাম শহর এবং আশেপাশের অন্যান্য এলাকার সাথে এর সংযোগ যথেষ্ট ভালো। এটি দেশের প্রধান শহরগুলোর সাথে বাস এবং রেলওয়ে দ্বারা ভালোভাবে সংযুক্ত। <br><br> এই অঞ্চলের আবাসন ব্যবস্থা খুবই ভালো, সুন্দর পরিবেশ, ভালো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা এবং নিরাপত্তার জন্য। বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায়, হাটজারিতে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ভবন, আধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট ভবন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বর্তমানে গড়ে উঠছে। গ্রামীণ এবং শহুরে পরিবেশের এক আকর্ষণীয় মিশ্রণ এবং সুবিধাগুলির কাছাকাছি অবস্থান, এই অঞ্চলটিকে বেশ জনবহুল করে তুলেছে, যেখানে আবাসিক ভবনগুলি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
আফতাব নগর প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

আফতাব নগর
, ঢাকা

আফতাবনগর বাংলাদেশের ঢাকা জেলায় অবস্থিত একটি দ্রুত উন্নয়নশীল এবং ডায়নামিক স্থান। এর অপর নাম জহুরুল ইসলাম সিটি। আফতাবনগর ঢাকা জেলার বাড্ডা থানার একটি আবাসিক এলাকা। আফতাবনগরের উত্তরে মেরুল বাড্ডা এবং দক্ষিণে রামপুরা থানা। আফতাব শহরের পোস্টাল কোড হল ১২১২ এবং এটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৭ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত।<br><br> আফতাবনগর মূলত আবাসিক কমপ্লেক্স, অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং এবং গেটেড কমিউনিটি নিয়ে গঠিত। তবে বর্তমানে এটি বাণিজ্যিক এবং উন্নত অবকাঠামোর কারণে বিশেষভাবে পরিচিত। ঢাকার অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এই এলাকায় তুলনামূলকভাবে আধুনিক অবকাঠামো রয়েছে। আবাসিক কমপ্লেক্সগুলি প্রায়শই পার্ক, খেলার মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার এবং নিরাপত্তা পরিষেবার মতো সুবিধা প্রদান করে।<br><br> আফতাব নগরে সেরা মানের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, শপিং সেন্টার এবং রেস্তোরাঁ সহ বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ, পানি এবং স্যানিটেশনের মতো পাবলিক ইউটিলিটিগুলিরও একটি ভাল ব্যবস্থা রয়েছে। বাড্ডা থানার আওতাধীন এলাকা হিসেবে ভালো নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীরা বাসস্থানের নিরাপত্তা প্রদান করেন। আফতাবনগর প্রধানত একটি শহুরে এলাকা কিন্তু বর্তমানে পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য সবুজ স্থানগুলিকে লোকালয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।<br><br> যদিও এলাকাটি মূলত আবাসিক হিসেবে পরিচিত ছিল, তবে এটি এখন একটি মিশ্র-অর্থনীতির কেন্দ্র এবং প্রাণবন্ত শহর হিসেবে পরিচিয় লাভ করছে। সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে এলাকাটি ঢাকার অন্যান্য অংশের সাথে ভালোভাবে যুক্ত। বাস, রিকশা এবং রাইড শেয়ারিং এর মত পাবলিক ট্রান্সপোর্টের জন্য উল্লেখযোগ্য। আফতাবনগর বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক পটভূমির লোকদের সমন্বয়ে একটি মিশ্র সম্প্রদায়ের আবাসস্থল হিসেবে গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক সমাবেশ এবং ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয় যা বাসিন্দাদের মধ্যে সম্প্রীতি জাগিয়ে তোলে এবং বহিরাগতদের আকৃষ্ট করে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
এলিফ্যান্ট রোড প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

এলিফ্যান্ট রোড
, ঢাকা

এলিফ্যান্ট রোড, যা একটি কোলাহলপূর্ণ রাস্তা, শাহবাগ রোড এবং ন্যাশনাল সায়েন্স ল্যাবরেটরির মধ্যে অবস্থিত। নিউমার্কেট থানার মধ্যে অবস্থিত, এলিফ্যান্ট রোডে ১৮টি ওয়ার্ডে প্রায় ৬৭,৪৩৯ জন লোক বাস করে এবং এটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অংশের মধ্যে পড়ে।<br><br> যাইহোক, যখন আমরা এলিফ্যান্ট রোডের কথা ভাবি, তখন আবাসন বা আশেপাশের ছবিগুলি খুব কমই আমাদের মাথায় আসে। এলিফ্যান্ট রোড এরিয়া গাইড সবসময় এলিফ্যান্ট রোডের ফোকাল পয়েন্টে ফোকাস করে। ব্যবসা এবং উদ্যোগের অনন্য বৈচিত্র্যের শহর এটি। ৮০ এর দশকের গোড়ার দিক থেকে এখন পর্যন্ত, এই এলাকাটি ঢাকাবাসীর জন্য অন্যতম সেরা কেনাকাটার গন্তব্য।<br><br> আসুন একটি কাল্পনিক টাইম মেশিনের ঢুকে যাই এবং এটি কোথা থেকে এমন একটি অনন্য নাম পেয়েছে তা জানতে চেষ্টা করি। ব্রিটিশ আমলে ঢাকায় প্রচুর হাতি ছিল এবং তাদের চরানো ছিল দুঃসাধ্য কাজ। সমস্যা সমাধানের জন্য রমনার পাশের লেকগুলোকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পিলখানা থেকে রমনা পর্যন্ত এই হাতিগুলো রাস্তা পার হতো যা এখন এলিফ্যান্ট রোড নামে পরিচিত।<br><br> এলিফ্যান্ট রোডের পিনপয়েন্টে, "বাটা সিগন্যাল" নামে একটি জনপ্রিয় মোড় রয়েছে। এই নামটি এসেছে বাটা, জুতার ব্র্যান্ডের বড় শোরুম থেকে। বলাই বাহুল্য, এমন অসংখ্য দোকান ও দোকান রয়েছে যেগুলোতে খুব সস্তায় বিভিন্ন ধরনের জুতা বিক্রি হয়। যাইহোক, এখানে, আপনাকে দর কষাকষির খেলা শিখতে হবে।<br><br> মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার হল একটি জায়গা যা এলিফ্যান্ট রোডকে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলেছে। ল্যাপটপ থেকে ডেস্কটপ পর্যন্ত প্রতিটি ইলেকট্রনিক প্রয়োজনের জন্য এই কেন্দ্র একটি কেন্দ্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা কলেজের কাছাকাছি হওয়ার কারণে, এলিফ্যান্ট রোড জামাকাপড়, চশমা, দোকান এবং ইলেকট্রনিক্সের জন্য এক-স্টপ শপিং সমাধান হয়ে উঠেছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
ওয়ারী প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

ওয়ারী
, ঢাকা

ঢাকার ওয়ারী এলাকা আবাসিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাণবন্ত। এটি আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক ভবন, সরকারী ও বেসরকারী অফিস, সুপার শপ, শপিং মল, রেস্তোরাঁ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ একটি ব্যস্ত এলাকা। এটি মতিঝিল, গুলিস্তান, গোপীবাগ, ইস্কাটন, রমনা এবং পুরান টাউনের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দ্বারা বেষ্টিত।<br><br> ওয়ারির ইতিহাস অনেক পুরানো, এবং মুঘল ও ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকেই এই এলাকার আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমি বৈচিত্র্যময়। এই এলাকার স্থাপত্য, ঐতিহ্যবাহী কাঠামো এবং রন্ধনপ্রণালী কেবল অতুলনীয়। এটি ঢাকার প্রথম পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। সরু গলি এবং জনাকীর্ণ এলাকা সত্ত্বেও, এলাকাটি যত্ন সহকারে ডিজাইন করা হয়েছে। তাই এখানে আপনি ঐতিহ্যগত পুরানো চেহারা এবং আধুনিক জীবনধারার সমন্বয় পাবেন।<br><br> ব্রিটিশ আমলে এই এলাকার আধুনিকায়ন শুরু হয়। তখন এটি ছিল ধনী, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষিত লোকদের একটি বড় বসতি। বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনা করে এখানে নান্দনিক আবাসন প্রকল্প, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অ্যাপার্টমেন্ট এবং উন্নয়ন প্রকল্প আসছে। পুরো এলাকা দুটি ভাগে বিভক্ত- পুরাতন ওয়ারী এবং নতুন ওয়ারী।<br><br> এই এলাকায় বেশ কয়েকটি মসজিদ, মন্দির এবং গীর্জা রয়েছে, এই উপাসনালয়ের প্রতিটিই স্থাপত্যের নিদর্শন। সবজি, জামাকাপড় এবং ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে মশলা পর্যন্ত বিস্তৃত পণ্য এখানে পাওয়া যায়। ঢাকা শহরের প্রায় কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হওয়ায় এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ ভালো। কিন্তু এই এলাকায় যানজট, দূষণ, অপরিকল্পিত অবকাঠামোর মতো সমস্যাও রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কানাইঘাট প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

কানাইঘাট
, সিলেট

কানাইঘাট, সিলেট জেলার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত সীমান্তবর্তী একটি উপজেলা। সুরমা নদী, এবং লুবাছড়া নদী, এই উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে। চা বাগান, পাহাড় এবং জলাশয়ে ঘেরা এই অঞ্চলটি প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই মনোরম। এখানকার প্রাকৃতিক সম্পদ, কৃষি পণ্য, পর্যটন এবং রেমিট্যান্স, দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। এই অঞ্চলের কুটিরশিল্প, মৃৎশিল্প, এবং বেতশিল্প সারা দেশে জনপ্রিয়।<br><br> কানাইঘাট পূর্বে জৈন্তিয়া রাজ্যের অধীনে ছিল। কথিত আছে সুরমা নদীতে কানাই নামে একজন নৌকাচালকের নামানুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছে কানাইঘাট। তবে, এই গল্পের শক্ত কোনো ভিত্তি নেই। কানাইঘাট উপজেলা ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও, ১৮৮০ সাল থেকেই এটি সিলেটের একটি থানা ছিল। বর্তমানে, উপজেলায় ১টি পৌরসভা, ৯টি ইউনিয়ন এবং ২৫০টি মৌজা রয়েছে। এর আয়তন প্রায় ৪১২.২৫ বর্গকিলোমিটার।<br><br> এই উপজেলার উত্তরে জৈন্তাপুর উপজেলা ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে বিয়ানীবাজার ও জকিগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে ভারতের আসাম, পশ্চিমে গোয়াইনঘাট উপজেলা ও সিলেট সদর উপজেলা। কানাইঘাট সড়ক, এবং জাকিগঞ্জ-সিলেট মহাসড়ক এখানকার প্রধান দুটি সড়ক। এছাড়াও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এই উপজেলার পাশে দিয়েই গেছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বেষ্টিত হওয়ায়, কানাইঘাট উপজেলার সাথে সারা দেশে যোগাযোগ এবং পণ্য পরিবহন সুবিধাজনক। দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন যোগাযোগ রুট ছাড়াও, কানাইঘাট থেকে সীমান্তের বাইরেও পরিবহন সুবিধা রয়েছে।<br><br> এখানে ১৫০ টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কানাইঘাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কানাইঘাট সরকারি কলেজ, কানাইঘাট মহিলা কলেজ, দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, জামেয়া ইসলামিয়া ইউসুফিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, ঝিঙ্গাবাড়ি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা ইত্যাদি। এই উপজেলায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, ক্রীড়া ক্লাব, ধর্মীয় সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি রয়েছে।<br><br> কানাইঘাটের জনসংখ্যার বেশিরভাগই মুসলিম, তাই এই অঞ্চলে আপনি প্রচুর মসজিদ দেখতে পাবেন। উপজেলা জুড়ে ৪৭০টিরও বেশি মসজিদ রয়েছে, এছাড়াও ৩০টি মন্দির এবং ২টি গির্জা রয়েছে। এই অঞ্চলে অনেক পাহাড়ি নৃগোষ্ঠীর মানুষজন বসবাস করেন। যাদের কৃষ্টি-কালচার স্বতন্ত্র, আপনাকে মুগ্ধ করবে। এই অঞ্চলের মানুষজন খুবই পরিশ্রমী এবং অতিথি পরায়ন।<br><br> কানাইঘাটের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ হলো পাথর। সরকার উপজেলার লোভাছড়া পাথর খনি থেকে প্রচুর রাজস্ব আয় করে। এছাড়াও, কৃষি হলো উপজেলার মানুষের প্রধান অর্থনৈতিক উৎস। অন্যান্য অর্থনৈতিক উৎসের মধ্যে রয়েছে অকৃষি শ্রম, ব্যবসা, শিল্প, চাকরি ও সেবা, রেমিট্যান্স ইত্যাদি। এখানকার চা, পানপাতা, পাথর, এবং বালু বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়।<br><br> কানাইঘাট উপজেলায় অনেক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সুরমা নদী, অন্ডাল বিল, তামাবিল স্থলবন্দর, সাতবাক আন্দু হ্রদ, লোভাছড়া চা বাগান ও পার্ক, পূর্ব বরচাতোলা রাবার বাগান, ইত্যাদি স্থানগুলো আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। রাত্রি যাপন এবং ছুটি কাটানোর জন্য এখানে অনেক রিসোর্ট এবং হোটেল রয়েছে।<br><br> বসবাস করার জন্য এই অঞ্চলটি মনোরম হলের, উপজেলার ভিতরের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত নয়। গ্রামগুলোর বেশিরভাগ কাঁচা রাস্তা, মফঃস্বলের রাস্তাগুলোও বেশি প্রশস্থ নয়। এমনকি উপজেলা সদর এলাকার বেশ কয়েকটি রাস্তাও ক্ষতিগ্রস্ত এবং গর্তযুক্ত। এই উপজেলায় রেলপথ সংযোগও নেই।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কামরাঙ্গীরচর প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

কামরাঙ্গীরচর
, ঢাকা

কামরাঙ্গীরচর উত্তরে হাজারীবাগ থানা ও লালবাগ থানা, পূর্বে লালবাগ থানা ও চকবাজার থানা এবং দক্ষিণ ও পশ্চিমে বিখ্যাত কেরানীগঞ্জ উপজেলা সীমানা দিয়ে ঘেরা। কামরাঙ্গীরচর একটি ঘনবসতিপূর্ণ স্থান যেখানে ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার একটি আভা রয়েছে। এটি বেশ বড় এলাকা, এবং এই জায়গাটির সাথে যুক্ত মোট এলাকা প্রায় ৩.৬৩ কিমি (১.৪০ বর্গ মাইল)।<br><br> কামরাঙ্গীরচরের জনসংখ্যা হল ৯৩,৬০১ জন যেখানে পরিবারের গড় সদস্য ৪.৩ এবং গড় সাক্ষরতার হার ৫৭.৬% (২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে)। এই জায়গাটি বস্তি হিসেবে সুপরিচিত। বস্তিগুলি উপকণ্ঠে এবং কম অ্যাক্সেসযোগ্য অঞ্চলে, যেমন গলিতে অবস্থিত হতে পারে। বাংলাদেশের বস্তির উপর ২০০৬ সালের একটি জরিপ দেখায় যে বস্তির একক বৃহত্তম ঘনত্ব কামরাঙ্গীরচরের DUMP এলাকায়। জরিপে আরও দেখা গেছে যে সেখানে প্রায় ৩০০,০০০ লোক বাস করে এবং তাদের মধ্যে ২৬৫,০০০ বস্তিবাসী। ২০২১ সালের জরিপ অনুসারে, কামরাঙ্গীরচরের সবচেয়ে বড় বস্তি, যেখানে ৬০০,০০০-এর বেশি মানুষ বস্তিতে বাস করে।<br><br> কামরাঙ্গীরচরে সুলতানগঞ্জ নামে একটি স্থান বিখ্যাত, এটি ডিসিসি (কোতোয়ালি), ঢাকা জেলা, ঢাকা বিভাগে অবস্থিত। এটি একটি বড় জায়গা এবং এখানে প্রচুর লোক বাস করে।<br><br> সামগ্রিকভাবে, ঢাকা শহরের অন্যান্য এলাকার মতো কামরাঙ্গীরচরের জনপ্রিয়তা এবং স্বীকৃতি একই মাত্রার নাও হতে পারে, এর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, এবং সম্প্রদায়ের চেতনা এটিকে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান এবং উন্নয়নের জন্য বিবেচনা করার মতো জায়গা করে তুলেছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কেরানীগঞ্জ প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

কেরানীগঞ্জ
, ঢাকা

ঢাকার অন্যতম উপজেলা, কেরানীগঞ্জ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব লাভ করে, যখন বেশিরভাগ গেরিলা অপারেশনের জন্য একে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার ক্রা হয়। আজ, এটি ঢাকার একটি দ্রুত-বিকশিত শহর, বিভিন্ন সম্প্রদায়, ঐতিহাসিক আকর্ষণ, জীবনযাত্রার উন্নত মান, ক্রমবর্ধমান ব্যবসা এবং বাজার এবং প্রগতিশীল অবকাঠামো নিয়ে এটি গর্বিত।<br><br> এরিয়া গাইডে দেখা যায় যে, কেরানীগঞ্জ এর দুটি থানা রয়েছে: কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা। যা মোহাম্মদপুর, শ্যামপুর, সাভার, নারায়ণগঞ্জ, কোতোয়ালি, লালবাগসহ বিভিন্ন স্থানে ঘেরা। কেরানীগঞ্জের ১২টি ইউনিয়নে ১২০টির বেশি মহল্লা ও প্রায় ৪০০ গ্রাম রয়েছে। ১৬৬.৮৭ বর্গ/কিমি আয়তনের এই শহরটিতে প্রায় ৮০০,০০০ লোকের বাসস্থান।<br><br> দেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে প্রধান রুটে যাতায়াতের কারনে কেরানীগঞ্জের অবস্থান এটিকে কৌশলগতভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে রেখেছে। তাই ধীরে ধীরে এটি একটি আদর্শ ব্যবসায়িক অঞ্চল হিসেবে আবির্ভূত হয়। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক শহরটিকে ঢাকার সাথে সংযুক্ত করে, যেখানে পদ্মা বহুমুখী সেতু এবং পদ্মা সেতু রেললাইনের কারণে খুলনা ও চট্টগ্রামের সাথে সংযোগটি কেরানীগঞ্জে আরও সহজতর হয়েছে।<br><br> অধিকন্তু, সাশ্রয়ী জীবনযাত্রার খরচের কারণে কেরানীগঞ্জ অনেক লোকের জন্য একটি পছন্দের আবাসিক এলাকা হয়ে উঠেছে। অসংখ্য স্কুল এবং চিকিৎসা সুবিধার উপস্থিতির ফলে বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষ এখানে অবস্থান করে। প্রয়োজনে তারা সহজলভ্য পরিবহন ব্যবহার করে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেতে রাজধানীতে চলে যেতে পারে।<br><br> অবশেষে, স্থানীয় এবং ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি, খাবার এবং ভ্রমণপ্রেয়সীরাও কেরানীগঞ্জকে এর বিখ্যাত স্থান এবং স্থানীয় রেস্তোরাঁগুলি ঘুরে দেখার জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ খুঁজে পাবেন।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কোম্পানীগঞ্জ প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

কোম্পানীগঞ্জ
, সিলেট

কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট জেলার অন্তর্ভুক্ত এবং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী একটি উপজেলা। উপজেলাটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থান, পাহাড়, এবং জলাশয়ে ঘেরা। এটি পিয়াইন গাং, সুরমা, এবং ধলাই নদী বেষ্টিত। পর্যটন কেন্দ্র ছাড়াও এলাকাটি শিল্প অঞ্চল এবং প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, চা বাগান এবং প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের জন্য পরিচিত।<br><br> কোম্পানীগঞ্জ অঞ্চলটি ১৯৭৬ সালে একটি থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে এটিকে উপজেলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। উপজেলাটি প্রায় ২৯৬.৯০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত। এটি সিলেট সদর থেকে সড়কপথে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ভৌগোলিকভাবে, উপজেলাটি উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে সিলেট সদর উপজেলা, পূর্বে গোয়াইনঘাট উপজেলা এবং পশ্চিমে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত।<br><br> কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়ক, এবং ছাতক-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক, এই উপজেলার প্রধান দুটি সড়ক। সিলেট সদর থেকে কোম্পানীগঞ্জে সরাসরি বাস, গাড়ি এবং সিএনজি দ্বারা যাতায়াত করা যায়। তবে, উপজেলার গ্রামাঞ্চলগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব একটা উন্নত নয়।<br><br> পাথর এবং কৃষিজাত পণ্য এই উপজেলার প্রধান অর্থনৈতিক সম্পদ। এই উপজেলার প্রধান কৃষি পণ্য হলো - ধান, সরিষা, তেজপাতা, পান, সুপারি, কমলা, আনারস, লেবু, এবং সাতকড়া। এখানে প্রচুর মৎস্য, এবং গবাদিপশু খামার রয়েছে। পাথর, বালি, এবং চুনাপাথর এখানকার প্রধান খনিজ সম্পদ। এই অঞ্চলের কমলা, মাছ, পাথর, এবং চুনাপাথর, বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। ভোলাগঞ্জ বর্ডার হাট এবং সাদা পাথর পর্যটন এলাকা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে।<br><br> কোম্পানীগঞ্জ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ দীর্ঘ সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে ছিল। পাথর, বালু সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাত নিয়ন্ত্রণ করতো এই কোম্পানি। পরবর্তীতে এর নামকরণ করা হয় কোম্পানীগঞ্জ। কোম্পানীগঞ্জে বেশ কিছু স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসা রয়েছে। তবে, ২০২২ সালের জরিপ অনুযায়ী এই উপজেলার সাক্ষরতার হার মাত্র ৩০%।<br><br> ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর, উৎমাছড়া এবং তুরাংছড়া এখানকার প্রধান টুরিস্ট স্পট। এছাড়াও এখানে শাহ আরফিন টিলা, মায়াবন ইকো পার্ক, রাউতি বিল, হাই টেক পার্ক ইলেকট্রনিক্স সিটি সিলেট ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এখানে বেশ কিছু উন্নতমানের হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। এই অঞ্চলের সিলেটি ভাষা, নিজস্ব লোকসঙ্গীত এবং ঐতিহ্যের সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে।<br><br> কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভিতরে অনেক হাওর ও বিল রয়েছে। পাহাড়, জঙ্গল এবং নদী বেষ্ঠিত হওয়ায় এলাকাটি প্রাকৃতিক ভাবে খুবই মনোরম। উপজেলাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐশ্বর্যে ভরপুর হলেও, এখানেও কিছু সমস্যা রয়েছে। নদী এবং অন্যান্য জলধারার কারণে, এই অঞ্চলটি প্রায় প্রতি বছরই ভারী বন্যার শিকার হয়। প্রধান হাইওয়ে সড়ক একটাই, রেলওয়ে সংযোগ উপজেলা থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ রাস্তা কাঁচা।<br><br> বসবাস এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বেশ ভালো। এখানে বাসা ভাড়া এবং জমির দাম তুলনামূলক কম। তবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠছে। এছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন, শিল্প এলাকা প্রতিষ্ঠা, এবং বেশ কিছু আবাসিক ভবনের নির্মাণ কাজ এখানে চলমান রয়েছে। আপনি এখানে সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক এবং শিল্প উদ্দেশ্যে প্রপার্টি পাবেন।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
গাঙ্গিনার পাড় প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

গাঙ্গিনার পাড়
, ময়মনসিংহ

গঙ্গিনার পাড় ময়মনসিংহ শহরের হৃদপিণ্ড হিসেবে পরিচিত, যা ময়মনসিংহ শহরের প্রাণরেখা নামে খ্যাত। গঙ্গিনার পার ময়মনসিংহ জেলার পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত একটি এলাকা। ময়মনসিংহের এই গঙ্গিনার পার একটি জনপ্রিয় গার্মেন্ট শিল্প এলাকা এবং ব্যবসায়িক পরিষেবার তালিকাভুক্ত। এটি ময়মনসিংহের অন্যতম ব্যস্ততম ও বাণিজ্যিক এলাকা। <br><br> এলাকাটিতে দোকানপাট, বাজার, শপিং মল, সব ধরনের পণ্য কেনাকাটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কাছাকাছি হাসপাতাল, ধর্মীয় সম্প্রীতি ও উপাসনালয় আছেএবং জেলা প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সমৃদ্ধ। এই স্থান ময়মনসিংহের ব্যস্ত জীবনের চিত্র ফুটিয়ে তোলে। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ব্যবসা ও কেনাকাটার জন্য এখানে ভিড় জমায়। এটি ঘনবসতিপূর্ণ একটি এলাকা, যেখানে রাস্তার দুই পাশজুড়ে বিভিন্ন ধরণের দোকান তৈরি হয়েছে এবং অনেকেই এখান থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। <br><br> গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং পানির সরবরাহ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। এলাকাটি ময়মনসিংহের একটি প্রাণবন্ত কেন্দ্র, যেখানে কেনাকাটা, বসবাস ও কর্মক্ষেত্রের সমন্বয় রয়েছে। আধুনিক শপিং মল থেকে শুরু করে ব্যস্ত জীবনের প্রতিচ্ছবি এখানে পাওয়া যায়। ময়মনসিংহের দ্রুতগামী নগরজীবনের ছাপ এখানকার প্রতিটি কোণে দেখা যায়। এছাড়াও, এলাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কাছাকাছি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় এখানে একটি শিক্ষা পরিবেশও বিরাজমান করে। <br><br> ময়মনসিংহের সদর দপ্তর হওয়ার কারণে, এই স্থানটি ময়মনসিংহের সংস্কৃতি, বৈচিত্র্য এবং ঐতিহ্য বোঝার জন্য বেশ সহায়ক। <br><br> সামগ্রিকভাবে, এলাকাটি ময়মনসিংহ জেলার গার্মেন্ট শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ব্যবস্থা, সংস্কৃতি এবং বৈচিত্র্যময় জীবনধারার একটি গতিশীল মিশ্রণ উপস্থাপন করে, যা একে ময়মনসিংহ জেলার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। এই স্থানটি দর্শনীয় স্থান থেকে শুরু করে পণ্য কেনাকাটার জন্য বিখ্যাত। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এখানে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে আসে, আর এই স্থান তাদের সামনে ময়মনসিংহের ঐতিহ্য উপস্থাপন করে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
জকিগঞ্জ প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

জকিগঞ্জ
, সিলেট

জকিগঞ্জ বর্তমানে বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের একটি উপজেলা হিসেবে পরিচিত। তবে বর্তমান জকিগঞ্জের চিত্র সব সময় এমন ছিল না। ১৯৪৭ সালের আগে বর্তমান জকিগঞ্জ বাজার এলাকা শুধু "জকিগঞ্জ" নামে পরিচিত ছিল এবং এটি ভারতের করিমগঞ্জ সদর থানার অংশ ছিল। <br><br> ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের সময় এটি পশ্চিম পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) একটি থানা এলাকা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৮৩ সালে জকিগঞ্জ উপজেলা প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বর্তমানে ৯টি ইউনিয়ন, ১১৪টি মৌজা এবং ২৭৮টি গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত।<br><br> জকিগঞ্জ উপজেলার ভূমির আয়তন প্রায় ২৬৭ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২,৬৭,৩০৯ (২০২২ সালের আদমশুমারি)। এটি বাংলাদেশের আরেকটি সীমান্তবর্তী এলাকা, যা উত্তরে কানাইঘাট উপজেলা এবং ভারতের মেঘালয় রাজ্য, পশ্চিমে বিয়ানীবাজার উপজেলা এবং দক্ষিণ ও পূর্বে ভারতের আসাম রাজ্যের সাথে সীমানা ভাগ করে। জকিগঞ্জের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত রেখার দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৩ কিলোমিটার।<br><br> সিলেট সদর উপজেলা থেকে জকিগঞ্জে ভ্রমণের সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায় হলো বাস, যা জকিগঞ্জ-সিলেট সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। তবে হালকা যানবাহনে ভ্রমণ করলে করিমগঞ্জ-সিলেট সড়ক ব্যবহার করাই উত্তম। এলাকার প্রধান সড়কগুলোর অবস্থা বেশ ভালো, তবে আরও অনেক কাঁচা রাস্তা উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে।<br><br> উপজেলার প্রধান দুটি নদী হলো সুরমা এবং কুশিয়ারা। ভারতের বরাক নদী এই দুই নদীর সাথে মিলিত হয় এবং এই তিন নদীর মিলনস্থল "ত্রিমোহনা" নামে পরিচিত, যা উপজেলাটির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তবে জকিগঞ্জে ভ্রমণের সময় আরও অনেক সুন্দর স্থান উপভোগ করা যায়।<br><br> ত্রিমোহনা ছাড়াও জকিগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয় স্থানের মধ্যে রয়েছে দেওয়ান সাজিদ রাজার বাড়ি, জকিগঞ্জ কাস্টম ঘাট, বলাই হাওর, মোরিচা বাগান বাড়ি, জান্নাত এন্টারটেইনমেন্ট পার্ক, আটগ্রাম বড় বাড়ি মসজিদ ইত্যাদি। উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে জকিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, জকিগঞ্জ সরকারি কলেজ, ইসমতি ডিগ্রি কলেজ এবং জকিগঞ্জ সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা। যদিও জকিগঞ্জে প্রায় ২০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখানে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই।<br><br> উপজেলার প্রায় ৮০% জনসংখ্যা কৃষির উপর নির্ভরশীল। জকিগঞ্জ উপজেলা আংশিকভাবে নগরায়িত এবং একটি উন্নয়নশীল এলাকা, তবে এটি প্রতিবছর প্রচণ্ড বন্যার মতো সমস্যার সম্মুখীন হয়।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
IconMap

ফিচারড প্রজেক্ট

সবগুলো দেখুন

Bangladesh-এর প্রপার্টি প্রাইস ট্রেন্ড

কেনা
ভাড়া
বেডরুম:
গড় মূল্য (বিগত ১২ মাসের)
BDT 6,417.32 per sqft
বিগত ১২ মাসের বৃদ্ধি
3.75%
Positive Trend
বিগত ৩ মাসের বৃদ্ধি
2.48%
Positive Trend
Icon
দ্রষ্টব্য: মূল্য তথ্য Bikroy-এর পোস্ট করা বিজ্ঞাপন থেকে ঐতিহাসিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া। সম্পূর্ণ মার্কেটের ডায়নামিক প্রতিফলিত নাও হতে পারে।
hero

Bikroy এ বিক্রি বা ভাড়া দিন: মাত্র ২ মিনিটেই প্রপার্টির বিজ্ঞাপন দিন!