Search Icon

Bangladesh এর এলাকাগুলি ঘুরে দেখুন

306টি এলাকার মধ্যে 252 - 270টি
ওয়ারী প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

ওয়ারী
, ঢাকা

ঢাকার ওয়ারী এলাকা আবাসিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাণবন্ত। এটি আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক ভবন, সরকারী ও বেসরকারী অফিস, সুপার শপ, শপিং মল, রেস্তোরাঁ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ একটি ব্যস্ত এলাকা। এটি মতিঝিল, গুলিস্তান, গোপীবাগ, ইস্কাটন, রমনা এবং পুরান টাউনের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দ্বারা বেষ্টিত।<br><br> ওয়ারির ইতিহাস অনেক পুরানো, এবং মুঘল ও ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকেই এই এলাকার আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমি বৈচিত্র্যময়। এই এলাকার স্থাপত্য, ঐতিহ্যবাহী কাঠামো এবং রন্ধনপ্রণালী কেবল অতুলনীয়। এটি ঢাকার প্রথম পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। সরু গলি এবং জনাকীর্ণ এলাকা সত্ত্বেও, এলাকাটি যত্ন সহকারে ডিজাইন করা হয়েছে। তাই এখানে আপনি ঐতিহ্যগত পুরানো চেহারা এবং আধুনিক জীবনধারার সমন্বয় পাবেন।<br><br> ব্রিটিশ আমলে এই এলাকার আধুনিকায়ন শুরু হয়। তখন এটি ছিল ধনী, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষিত লোকদের একটি বড় বসতি। বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনা করে এখানে নান্দনিক আবাসন প্রকল্প, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অ্যাপার্টমেন্ট এবং উন্নয়ন প্রকল্প আসছে। পুরো এলাকা দুটি ভাগে বিভক্ত- পুরাতন ওয়ারী এবং নতুন ওয়ারী।<br><br> এই এলাকায় বেশ কয়েকটি মসজিদ, মন্দির এবং গীর্জা রয়েছে, এই উপাসনালয়ের প্রতিটিই স্থাপত্যের নিদর্শন। সবজি, জামাকাপড় এবং ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে মশলা পর্যন্ত বিস্তৃত পণ্য এখানে পাওয়া যায়। ঢাকা শহরের প্রায় কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হওয়ায় এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ ভালো। কিন্তু এই এলাকায় যানজট, দূষণ, অপরিকল্পিত অবকাঠামোর মতো সমস্যাও রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কানাইঘাট প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

কানাইঘাট
, সিলেট

কানাইঘাট, সিলেট জেলার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত সীমান্তবর্তী একটি উপজেলা। সুরমা নদী, এবং লুবাছড়া নদী, এই উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে। চা বাগান, পাহাড় এবং জলাশয়ে ঘেরা এই অঞ্চলটি প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই মনোরম। এখানকার প্রাকৃতিক সম্পদ, কৃষি পণ্য, পর্যটন এবং রেমিট্যান্স, দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। এই অঞ্চলের কুটিরশিল্প, মৃৎশিল্প, এবং বেতশিল্প সারা দেশে জনপ্রিয়।<br><br> কানাইঘাট পূর্বে জৈন্তিয়া রাজ্যের অধীনে ছিল। কথিত আছে সুরমা নদীতে কানাই নামে একজন নৌকাচালকের নামানুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছে কানাইঘাট। তবে, এই গল্পের শক্ত কোনো ভিত্তি নেই। কানাইঘাট উপজেলা ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও, ১৮৮০ সাল থেকেই এটি সিলেটের একটি থানা ছিল। বর্তমানে, উপজেলায় ১টি পৌরসভা, ৯টি ইউনিয়ন এবং ২৫০টি মৌজা রয়েছে। এর আয়তন প্রায় ৪১২.২৫ বর্গকিলোমিটার।<br><br> এই উপজেলার উত্তরে জৈন্তাপুর উপজেলা ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে বিয়ানীবাজার ও জকিগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে ভারতের আসাম, পশ্চিমে গোয়াইনঘাট উপজেলা ও সিলেট সদর উপজেলা। কানাইঘাট সড়ক, এবং জাকিগঞ্জ-সিলেট মহাসড়ক এখানকার প্রধান দুটি সড়ক। এছাড়াও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এই উপজেলার পাশে দিয়েই গেছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বেষ্টিত হওয়ায়, কানাইঘাট উপজেলার সাথে সারা দেশে যোগাযোগ এবং পণ্য পরিবহন সুবিধাজনক। দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন যোগাযোগ রুট ছাড়াও, কানাইঘাট থেকে সীমান্তের বাইরেও পরিবহন সুবিধা রয়েছে।<br><br> এখানে ১৫০ টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কানাইঘাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কানাইঘাট সরকারি কলেজ, কানাইঘাট মহিলা কলেজ, দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, জামেয়া ইসলামিয়া ইউসুফিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, ঝিঙ্গাবাড়ি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা ইত্যাদি। এই উপজেলায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, ক্রীড়া ক্লাব, ধর্মীয় সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি রয়েছে।<br><br> কানাইঘাটের জনসংখ্যার বেশিরভাগই মুসলিম, তাই এই অঞ্চলে আপনি প্রচুর মসজিদ দেখতে পাবেন। উপজেলা জুড়ে ৪৭০টিরও বেশি মসজিদ রয়েছে, এছাড়াও ৩০টি মন্দির এবং ২টি গির্জা রয়েছে। এই অঞ্চলে অনেক পাহাড়ি নৃগোষ্ঠীর মানুষজন বসবাস করেন। যাদের কৃষ্টি-কালচার স্বতন্ত্র, আপনাকে মুগ্ধ করবে। এই অঞ্চলের মানুষজন খুবই পরিশ্রমী এবং অতিথি পরায়ন।<br><br> কানাইঘাটের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ হলো পাথর। সরকার উপজেলার লোভাছড়া পাথর খনি থেকে প্রচুর রাজস্ব আয় করে। এছাড়াও, কৃষি হলো উপজেলার মানুষের প্রধান অর্থনৈতিক উৎস। অন্যান্য অর্থনৈতিক উৎসের মধ্যে রয়েছে অকৃষি শ্রম, ব্যবসা, শিল্প, চাকরি ও সেবা, রেমিট্যান্স ইত্যাদি। এখানকার চা, পানপাতা, পাথর, এবং বালু বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়।<br><br> কানাইঘাট উপজেলায় অনেক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সুরমা নদী, অন্ডাল বিল, তামাবিল স্থলবন্দর, সাতবাক আন্দু হ্রদ, লোভাছড়া চা বাগান ও পার্ক, পূর্ব বরচাতোলা রাবার বাগান, ইত্যাদি স্থানগুলো আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। রাত্রি যাপন এবং ছুটি কাটানোর জন্য এখানে অনেক রিসোর্ট এবং হোটেল রয়েছে।<br><br> বসবাস করার জন্য এই অঞ্চলটি মনোরম হলের, উপজেলার ভিতরের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত নয়। গ্রামগুলোর বেশিরভাগ কাঁচা রাস্তা, মফঃস্বলের রাস্তাগুলোও বেশি প্রশস্থ নয়। এমনকি উপজেলা সদর এলাকার বেশ কয়েকটি রাস্তাও ক্ষতিগ্রস্ত এবং গর্তযুক্ত। এই উপজেলায় রেলপথ সংযোগও নেই।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কামরাঙ্গীরচর প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

কামরাঙ্গীরচর
, ঢাকা

কামরাঙ্গীরচর উত্তরে হাজারীবাগ থানা ও লালবাগ থানা, পূর্বে লালবাগ থানা ও চকবাজার থানা এবং দক্ষিণ ও পশ্চিমে বিখ্যাত কেরানীগঞ্জ উপজেলা সীমানা দিয়ে ঘেরা। কামরাঙ্গীরচর একটি ঘনবসতিপূর্ণ স্থান যেখানে ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার একটি আভা রয়েছে। এটি বেশ বড় এলাকা, এবং এই জায়গাটির সাথে যুক্ত মোট এলাকা প্রায় ৩.৬৩ কিমি (১.৪০ বর্গ মাইল)।<br><br> কামরাঙ্গীরচরের জনসংখ্যা হল ৯৩,৬০১ জন যেখানে পরিবারের গড় সদস্য ৪.৩ এবং গড় সাক্ষরতার হার ৫৭.৬% (২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে)। এই জায়গাটি বস্তি হিসেবে সুপরিচিত। বস্তিগুলি উপকণ্ঠে এবং কম অ্যাক্সেসযোগ্য অঞ্চলে, যেমন গলিতে অবস্থিত হতে পারে। বাংলাদেশের বস্তির উপর ২০০৬ সালের একটি জরিপ দেখায় যে বস্তির একক বৃহত্তম ঘনত্ব কামরাঙ্গীরচরের DUMP এলাকায়। জরিপে আরও দেখা গেছে যে সেখানে প্রায় ৩০০,০০০ লোক বাস করে এবং তাদের মধ্যে ২৬৫,০০০ বস্তিবাসী। ২০২১ সালের জরিপ অনুসারে, কামরাঙ্গীরচরের সবচেয়ে বড় বস্তি, যেখানে ৬০০,০০০-এর বেশি মানুষ বস্তিতে বাস করে।<br><br> কামরাঙ্গীরচরে সুলতানগঞ্জ নামে একটি স্থান বিখ্যাত, এটি ডিসিসি (কোতোয়ালি), ঢাকা জেলা, ঢাকা বিভাগে অবস্থিত। এটি একটি বড় জায়গা এবং এখানে প্রচুর লোক বাস করে।<br><br> সামগ্রিকভাবে, ঢাকা শহরের অন্যান্য এলাকার মতো কামরাঙ্গীরচরের জনপ্রিয়তা এবং স্বীকৃতি একই মাত্রার নাও হতে পারে, এর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, এবং সম্প্রদায়ের চেতনা এটিকে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান এবং উন্নয়নের জন্য বিবেচনা করার মতো জায়গা করে তুলেছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কেরানীগঞ্জ প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

কেরানীগঞ্জ
, ঢাকা

ঢাকার অন্যতম উপজেলা, কেরানীগঞ্জ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব লাভ করে, যখন বেশিরভাগ গেরিলা অপারেশনের জন্য একে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার ক্রা হয়। আজ, এটি ঢাকার একটি দ্রুত-বিকশিত শহর, বিভিন্ন সম্প্রদায়, ঐতিহাসিক আকর্ষণ, জীবনযাত্রার উন্নত মান, ক্রমবর্ধমান ব্যবসা এবং বাজার এবং প্রগতিশীল অবকাঠামো নিয়ে এটি গর্বিত।<br><br> এরিয়া গাইডে দেখা যায় যে, কেরানীগঞ্জ এর দুটি থানা রয়েছে: কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা। যা মোহাম্মদপুর, শ্যামপুর, সাভার, নারায়ণগঞ্জ, কোতোয়ালি, লালবাগসহ বিভিন্ন স্থানে ঘেরা। কেরানীগঞ্জের ১২টি ইউনিয়নে ১২০টির বেশি মহল্লা ও প্রায় ৪০০ গ্রাম রয়েছে। ১৬৬.৮৭ বর্গ/কিমি আয়তনের এই শহরটিতে প্রায় ৮০০,০০০ লোকের বাসস্থান।<br><br> দেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে প্রধান রুটে যাতায়াতের কারনে কেরানীগঞ্জের অবস্থান এটিকে কৌশলগতভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে রেখেছে। তাই ধীরে ধীরে এটি একটি আদর্শ ব্যবসায়িক অঞ্চল হিসেবে আবির্ভূত হয়। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক শহরটিকে ঢাকার সাথে সংযুক্ত করে, যেখানে পদ্মা বহুমুখী সেতু এবং পদ্মা সেতু রেললাইনের কারণে খুলনা ও চট্টগ্রামের সাথে সংযোগটি কেরানীগঞ্জে আরও সহজতর হয়েছে।<br><br> অধিকন্তু, সাশ্রয়ী জীবনযাত্রার খরচের কারণে কেরানীগঞ্জ অনেক লোকের জন্য একটি পছন্দের আবাসিক এলাকা হয়ে উঠেছে। অসংখ্য স্কুল এবং চিকিৎসা সুবিধার উপস্থিতির ফলে বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষ এখানে অবস্থান করে। প্রয়োজনে তারা সহজলভ্য পরিবহন ব্যবহার করে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেতে রাজধানীতে চলে যেতে পারে।<br><br> অবশেষে, স্থানীয় এবং ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি, খাবার এবং ভ্রমণপ্রেয়সীরাও কেরানীগঞ্জকে এর বিখ্যাত স্থান এবং স্থানীয় রেস্তোরাঁগুলি ঘুরে দেখার জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ খুঁজে পাবেন।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কোম্পানীগঞ্জ প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

কোম্পানীগঞ্জ
, সিলেট

কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট জেলার অন্তর্ভুক্ত এবং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী একটি উপজেলা। উপজেলাটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থান, পাহাড়, এবং জলাশয়ে ঘেরা। এটি পিয়াইন গাং, সুরমা, এবং ধলাই নদী বেষ্টিত। পর্যটন কেন্দ্র ছাড়াও এলাকাটি শিল্প অঞ্চল এবং প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, চা বাগান এবং প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের জন্য পরিচিত।<br><br> কোম্পানীগঞ্জ অঞ্চলটি ১৯৭৬ সালে একটি থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে এটিকে উপজেলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। উপজেলাটি প্রায় ২৯৬.৯০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত। এটি সিলেট সদর থেকে সড়কপথে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ভৌগোলিকভাবে, উপজেলাটি উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে সিলেট সদর উপজেলা, পূর্বে গোয়াইনঘাট উপজেলা এবং পশ্চিমে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত।<br><br> কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়ক, এবং ছাতক-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক, এই উপজেলার প্রধান দুটি সড়ক। সিলেট সদর থেকে কোম্পানীগঞ্জে সরাসরি বাস, গাড়ি এবং সিএনজি দ্বারা যাতায়াত করা যায়। তবে, উপজেলার গ্রামাঞ্চলগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব একটা উন্নত নয়।<br><br> পাথর এবং কৃষিজাত পণ্য এই উপজেলার প্রধান অর্থনৈতিক সম্পদ। এই উপজেলার প্রধান কৃষি পণ্য হলো - ধান, সরিষা, তেজপাতা, পান, সুপারি, কমলা, আনারস, লেবু, এবং সাতকড়া। এখানে প্রচুর মৎস্য, এবং গবাদিপশু খামার রয়েছে। পাথর, বালি, এবং চুনাপাথর এখানকার প্রধান খনিজ সম্পদ। এই অঞ্চলের কমলা, মাছ, পাথর, এবং চুনাপাথর, বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। ভোলাগঞ্জ বর্ডার হাট এবং সাদা পাথর পর্যটন এলাকা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে।<br><br> কোম্পানীগঞ্জ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ দীর্ঘ সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে ছিল। পাথর, বালু সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাত নিয়ন্ত্রণ করতো এই কোম্পানি। পরবর্তীতে এর নামকরণ করা হয় কোম্পানীগঞ্জ। কোম্পানীগঞ্জে বেশ কিছু স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসা রয়েছে। তবে, ২০২২ সালের জরিপ অনুযায়ী এই উপজেলার সাক্ষরতার হার মাত্র ৩০%।<br><br> ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর, উৎমাছড়া এবং তুরাংছড়া এখানকার প্রধান টুরিস্ট স্পট। এছাড়াও এখানে শাহ আরফিন টিলা, মায়াবন ইকো পার্ক, রাউতি বিল, হাই টেক পার্ক ইলেকট্রনিক্স সিটি সিলেট ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এখানে বেশ কিছু উন্নতমানের হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। এই অঞ্চলের সিলেটি ভাষা, নিজস্ব লোকসঙ্গীত এবং ঐতিহ্যের সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে।<br><br> কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভিতরে অনেক হাওর ও বিল রয়েছে। পাহাড়, জঙ্গল এবং নদী বেষ্ঠিত হওয়ায় এলাকাটি প্রাকৃতিক ভাবে খুবই মনোরম। উপজেলাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐশ্বর্যে ভরপুর হলেও, এখানেও কিছু সমস্যা রয়েছে। নদী এবং অন্যান্য জলধারার কারণে, এই অঞ্চলটি প্রায় প্রতি বছরই ভারী বন্যার শিকার হয়। প্রধান হাইওয়ে সড়ক একটাই, রেলওয়ে সংযোগ উপজেলা থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ রাস্তা কাঁচা।<br><br> বসবাস এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বেশ ভালো। এখানে বাসা ভাড়া এবং জমির দাম তুলনামূলক কম। তবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠছে। এছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন, শিল্প এলাকা প্রতিষ্ঠা, এবং বেশ কিছু আবাসিক ভবনের নির্মাণ কাজ এখানে চলমান রয়েছে। আপনি এখানে সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক এবং শিল্প উদ্দেশ্যে প্রপার্টি পাবেন।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
গাঙ্গিনার পাড় প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

গাঙ্গিনার পাড়
, ময়মনসিংহ

গঙ্গিনার পাড় ময়মনসিংহ শহরের হৃদপিণ্ড হিসেবে পরিচিত, যা ময়মনসিংহ শহরের প্রাণরেখা নামে খ্যাত। গঙ্গিনার পার ময়মনসিংহ জেলার পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত একটি এলাকা। ময়মনসিংহের এই গঙ্গিনার পার একটি জনপ্রিয় গার্মেন্ট শিল্প এলাকা এবং ব্যবসায়িক পরিষেবার তালিকাভুক্ত। এটি ময়মনসিংহের অন্যতম ব্যস্ততম ও বাণিজ্যিক এলাকা। <br><br> এলাকাটিতে দোকানপাট, বাজার, শপিং মল, সব ধরনের পণ্য কেনাকাটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কাছাকাছি হাসপাতাল, ধর্মীয় সম্প্রীতি ও উপাসনালয় আছেএবং জেলা প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সমৃদ্ধ। এই স্থান ময়মনসিংহের ব্যস্ত জীবনের চিত্র ফুটিয়ে তোলে। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ব্যবসা ও কেনাকাটার জন্য এখানে ভিড় জমায়। এটি ঘনবসতিপূর্ণ একটি এলাকা, যেখানে রাস্তার দুই পাশজুড়ে বিভিন্ন ধরণের দোকান তৈরি হয়েছে এবং অনেকেই এখান থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। <br><br> গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং পানির সরবরাহ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। এলাকাটি ময়মনসিংহের একটি প্রাণবন্ত কেন্দ্র, যেখানে কেনাকাটা, বসবাস ও কর্মক্ষেত্রের সমন্বয় রয়েছে। আধুনিক শপিং মল থেকে শুরু করে ব্যস্ত জীবনের প্রতিচ্ছবি এখানে পাওয়া যায়। ময়মনসিংহের দ্রুতগামী নগরজীবনের ছাপ এখানকার প্রতিটি কোণে দেখা যায়। এছাড়াও, এলাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কাছাকাছি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় এখানে একটি শিক্ষা পরিবেশও বিরাজমান করে। <br><br> ময়মনসিংহের সদর দপ্তর হওয়ার কারণে, এই স্থানটি ময়মনসিংহের সংস্কৃতি, বৈচিত্র্য এবং ঐতিহ্য বোঝার জন্য বেশ সহায়ক। <br><br> সামগ্রিকভাবে, এলাকাটি ময়মনসিংহ জেলার গার্মেন্ট শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ব্যবস্থা, সংস্কৃতি এবং বৈচিত্র্যময় জীবনধারার একটি গতিশীল মিশ্রণ উপস্থাপন করে, যা একে ময়মনসিংহ জেলার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। এই স্থানটি দর্শনীয় স্থান থেকে শুরু করে পণ্য কেনাকাটার জন্য বিখ্যাত। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এখানে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে আসে, আর এই স্থান তাদের সামনে ময়মনসিংহের ঐতিহ্য উপস্থাপন করে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
জকিগঞ্জ প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

জকিগঞ্জ
, সিলেট

জকিগঞ্জ বর্তমানে বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের একটি উপজেলা হিসেবে পরিচিত। তবে বর্তমান জকিগঞ্জের চিত্র সব সময় এমন ছিল না। ১৯৪৭ সালের আগে বর্তমান জকিগঞ্জ বাজার এলাকা শুধু "জকিগঞ্জ" নামে পরিচিত ছিল এবং এটি ভারতের করিমগঞ্জ সদর থানার অংশ ছিল। <br><br> ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের সময় এটি পশ্চিম পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) একটি থানা এলাকা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৮৩ সালে জকিগঞ্জ উপজেলা প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বর্তমানে ৯টি ইউনিয়ন, ১১৪টি মৌজা এবং ২৭৮টি গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত।<br><br> জকিগঞ্জ উপজেলার ভূমির আয়তন প্রায় ২৬৭ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২,৬৭,৩০৯ (২০২২ সালের আদমশুমারি)। এটি বাংলাদেশের আরেকটি সীমান্তবর্তী এলাকা, যা উত্তরে কানাইঘাট উপজেলা এবং ভারতের মেঘালয় রাজ্য, পশ্চিমে বিয়ানীবাজার উপজেলা এবং দক্ষিণ ও পূর্বে ভারতের আসাম রাজ্যের সাথে সীমানা ভাগ করে। জকিগঞ্জের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত রেখার দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৩ কিলোমিটার।<br><br> সিলেট সদর উপজেলা থেকে জকিগঞ্জে ভ্রমণের সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায় হলো বাস, যা জকিগঞ্জ-সিলেট সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। তবে হালকা যানবাহনে ভ্রমণ করলে করিমগঞ্জ-সিলেট সড়ক ব্যবহার করাই উত্তম। এলাকার প্রধান সড়কগুলোর অবস্থা বেশ ভালো, তবে আরও অনেক কাঁচা রাস্তা উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে।<br><br> উপজেলার প্রধান দুটি নদী হলো সুরমা এবং কুশিয়ারা। ভারতের বরাক নদী এই দুই নদীর সাথে মিলিত হয় এবং এই তিন নদীর মিলনস্থল "ত্রিমোহনা" নামে পরিচিত, যা উপজেলাটির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তবে জকিগঞ্জে ভ্রমণের সময় আরও অনেক সুন্দর স্থান উপভোগ করা যায়।<br><br> ত্রিমোহনা ছাড়াও জকিগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয় স্থানের মধ্যে রয়েছে দেওয়ান সাজিদ রাজার বাড়ি, জকিগঞ্জ কাস্টম ঘাট, বলাই হাওর, মোরিচা বাগান বাড়ি, জান্নাত এন্টারটেইনমেন্ট পার্ক, আটগ্রাম বড় বাড়ি মসজিদ ইত্যাদি। উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে জকিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, জকিগঞ্জ সরকারি কলেজ, ইসমতি ডিগ্রি কলেজ এবং জকিগঞ্জ সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা। যদিও জকিগঞ্জে প্রায় ২০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখানে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই।<br><br> উপজেলার প্রায় ৮০% জনসংখ্যা কৃষির উপর নির্ভরশীল। জকিগঞ্জ উপজেলা আংশিকভাবে নগরায়িত এবং একটি উন্নয়নশীল এলাকা, তবে এটি প্রতিবছর প্রচণ্ড বন্যার মতো সমস্যার সম্মুখীন হয়।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
দীঘালিয়া প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

দীঘালিয়া
, খুলনা

খুলনা জেলার একটি অংশ, যা বিভিন্ন নদীর মাধ্যমে একাধিক ভূমি এলাকায় বিভক্ত, সেটি হলো দিঘলিয়া উপজেলা। এর নামের সার্থকতার প্রমাণ হিসেবে, উপজেলাটি ভৈরব নদী, ইছামতি নদী, আত্রাই নদী এবং মজুদখালী নদীর মতো বিভিন্ন জলাশয়ে ঘেরা। আজকের দিঘলিয়া এলাকা গাইডে, আমরা উপজেলাটির সৌন্দর্য, ভূখণ্ড এবং পরিবেশ অন্বেষণ করব।<br><br> দিঘলিয়া উপজেলা ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর ভূমি এলাকা ৮৬.৫২ বর্গকিলোমিটার। উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন রয়েছে এবং জনসংখ্যা প্রায় ১,১৫,৫৮৫ জন। উপজেলাটির সাক্ষরতার হার ৫৫.৬৪% এবং এখানে ৭০টিরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। অর্থনীতির একটি বড় অংশ কৃষির উপর নির্ভরশীল হলেও, মৎস্য, আম ও সবজি চাষ, পাট এবং চালকল ইত্যাদিও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।<br><br> দেয়াড়া গ্রাম ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের একটি বেদনাময় ইতিহাস বহন করে, যেখানে গণহত্যার ঘটনা ঘটে। এই এলাকা সেনহাটি শিব মন্দির, কাটানীপাড়া শিব মন্দির, কবি কৃষ্ণচন্দ্র ইনস্টিটিউট প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য স্থাপত্যের জন্যও পরিচিত।<br><br> অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্থাপনা এবং প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে দিঘলিয়া থানা, দিঘলিয়া ঈদগাহ, দিঘলিয়া ফেরি টার্মিনাল, ভৈরব নদী, চিত্রা নদী ইত্যাদি। অনেকেই সেনহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনের মৃৎশিল্প এলাকার দর্শন করতে পছন্দ করেন।<br><br> যাতায়াত এবং পরিবহন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, কারণ এলাকাটি নদী দ্বারা বেষ্টিত। এলাকাটির অভ্যন্তরে মানুষ রিকশা, ভ্যান, বাইক এবং অন্যান্য ছোট যানবাহন ব্যবহার করে। তবে, দিঘলিয়া থেকে খুলনার অন্য যেকোনো স্থানে যেতে নৌকা ও ফেরিই একমাত্র পরিবহন মাধ্যম, কারণ এখানে কোনো সেতু নেই।<br><br> তবে, এই উপজেলার একটি ইতিবাচক দিক হলো এর সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশ। রাস্তার দুই পাশে বেশিরভাগ জায়গায় গাছ, সবুজ খোলা মাঠ, কৃষিজমি এবং নদী দেখা যায়, যা মুহূর্তেই মন ভালো করে দেয়।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
পল্টন প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

পল্টন
, ঢাকা

পল্টন ঢাকা শহরের প্রায় প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। মতিঝিল, মালিবাগ, কাকরাইল, বংশাল, সায়েদাবাদ এবং সেগুনবাগিচার মাঝখানে, পল্টন শহরের মধ্যে ঘোরাঘুরির সময় সবচেয়ে ব্যস্ততম এবং সবচেয়ে পারাপারের এলাকা।<br><br> এই এলাকাটি বাংলাদেশের প্রথম সক্রিয় মেট্রো রেল রুট, এমআরটি লাইন 6 এর অধীনে পড়ে। পুরানা পল্টনে একটি সুন্দর মেট্রো রেল স্টেশন রয়েছে। পল্টনও ঢাকার একটি প্রধান পরিবহন কেন্দ্র। এখান থেকে, লোকেরা সমস্ত ধরণের গণপরিবহনে ভ্রমণ করতে পারে, শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং এর বাইরেও।<br><br> ঢাকার প্রায় সব প্রধান রাজনৈতিক কেন্দ্রের কাছাকাছি পল্টন। এই এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক বিক্ষোভ, সমাবেশ এবং ঘটনা ঘটলে পল্টন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে একটি বড় ভূমিকা পালন করে।<br><br> পল্টন শপিং মল, বড় পাইকারি বাজার, স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স এবং আনুষাঙ্গিক দোকান, রাস্তার খাবার বিক্রেতা, বাঙালি রেস্তোরাঁ এবং এলাকার ভিতরে এবং কাছাকাছি ফাস্ট ফুডের দোকানে ভরপুর। পল্টন খাবার এবং কেনাকাটা উত্সাহীদের জন্য একটি উষ্ণ এবং স্বাগত জানানোর জায়গা।<br><br> পল্টনের পুরো এলাকাটি শহরের বাকি অংশের সাথে ভালোভাবে যুক্ত। এই এলাকায় পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস, সিএনজি অটো এবং রিকশা সবই অ্যাক্সেসযোগ্য। এই কেন্দ্রীয় এলাকা থেকে শুরু করে ঢাকার যেকোনো জায়গায় মানুষ সহজেই যাতায়াত করতে পারে।<br><br> পল্টন টিএন্ডটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ সহ দেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক এবং মর্যাদাপূর্ণ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পল্টনের কাছাকাছি। এই এলাকায় বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বিনোদন ও ক্রীড়া সুবিধা রয়েছে, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম।<br><br> সামগ্রিকভাবে, এই অঞ্চলে বসবাসকারী এবং কর্মরত বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং মানুষের পরিসরের সাথে, এখানে বড় বড় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইভেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে, এবং বিস্তৃত রন্ধনসম্পর্কীয় এবং কেনাকাটার অভিজ্ঞতা অন্বেষণের অপেক্ষায় রয়েছে, পল্টন নিশ্চিতভাবে একটি জনমুখী স্থান। গতিশীল শহুরে জীবনের আসল স্বাদ পাওয়া যায় পল্টনে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
পাইকগাছা প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

পাইকগাছা
, খুলনা

যদি আপনি খুলনা সদর এলাকা থেকে বাসে ভ্রমণ করেন, তাহলে আপনি সরাসরি পাইকগাছা জিরো পয়েন্টে যেতে পারেন। পথে আপনি চুকনগর, আঠারোমাইল, কপিলমুনি এবং তালা সহ বেশ কয়েকটি স্থানে থামার সুযোগ পাবেন। ঠিক তাই! আজ আমরা আপনাকে পাইকগাছা এলাকায় একটি সম্পূর্ণ গাইড প্রদান করব, যেখানে এই উপজেলা এবং এর বৈচিত্র্যময় স্থানগুলির সম্পর্কে আপনার যা জানা দরকার সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত থাকবে।<br><br> পাইকগাছা উপজেলা খুলনা জেলার দক্ষিণ অংশে অবস্থিত, যা বিখ্যাত সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের কাছে। খুলনা সদর থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই উপজেলাটি মোট ৩৮৩.২৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং এখানে প্রায় ২.৫ লাখ মানুষ বাস করে।<br><br> পাইকগাছা প্রায়শই "বাংলাদেশের সাদা সোনা" নামে পরিচিত, কারণ এটি চিংড়ি চাষে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। এই উপজেলায় রয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এর লবণাক্ত পানির কেন্দ্র এবং অসংখ্য চিংড়ি খামার, যেখানে চিংড়ির দাম অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। চিংড়ি চাষের পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতি কৃষি, দুগ্ধ খামার এবং পোল্ট্রি উৎপাদনের উপর নির্ভর করে বিকশিত হয়েছে।<br><br> পাইকগাছা প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থাপত্যে সমৃদ্ধ। এর কিছু জনপ্রিয় এবং উল্লেখযোগ্য আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে পাইকগাছা জিরো পয়েন্ট, স্যার পি.সি. রায়ের বাড়ি, বাঁকাবাজার জমিদার বাড়ি, সরল খাঁ দীঘি, শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম এবং পীর জাফর আউলিয়া দরগা, পাশাপাশি আরও অনেক দর্শনীয় স্থান।<br><br> ঐতিহাসিক স্থাপত্যের পাশাপাশি পাইকগাছায় রয়েছে পাইকগাছা ফ্যান্টাসি পার্ক এবং গার্ডেন, যা স্থানীয় এবং পর্যটকদের জন্য একটি জনপ্রিয় আকর্ষণ। মনোরম কপোতাক্ষ নদ এই উপজেলাটির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আরও বাড়িয়েছে। তবে, পাইকগাছায় এখনও শপিং সেন্টার, সেবা কেন্দ্র, রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য সুবিধার উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে।<br><br> পাইকগাছা উপজেলা সব সময়ই প্রাণবন্ত এবং কার্যকলাপে পূর্ণ থাকে, এর ব্যস্ত বাজার এবং মার্কেট এলাকা মানুষকে সারাদিনের ব্যবসায় ব্যস্ত রাখে। এই উপজেলায় রয়েছে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মূলত প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবং বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, যেমন মসজিদ, মন্দির এবং গির্জা। এর পাশাপাশি, পাইকগাছায় কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অফিসও রয়েছে, যা এর অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অবকাঠামোতে অবদান রাখছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বংশাল প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

বংশাল
, ঢাকা

বংশাল বুড়িগঙ্গা নদীর ঠিক পাশে অবস্থিত এবং ঢাকার অন্যতম প্রাচীন এলাকা। এটি একটি কোলাহলপূর্ণ এলাকা, বেশিরভাগই বাজার, সাইকেল এবং মোটর যন্ত্রাংশের দোকান, বইয়ের দোকান এবং কিছু প্রধান প্রশাসনিক কেন্দ্রে ভরা।<br><br> বংশালের রাস্তাগুলো সরু, ঔপনিবেশিক যুগের স্থাপত্যে সজ্জিত, কিছু আধুনিক স্থাপনা এবং বেশিরভাগ বাজার। এটি বসবাসের জন্য সবচেয়ে চাহিদাপূর্ণ এলাকা নয়, বরং কেনাকাটা, ব্যবসা এবং অন্বেষণ করার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা। এটি ঐতিহ্যগতভাবে ঢাকা শহরের একটি প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র। এটিতে প্রচুর বাজার এবং দোকান রয়েছে, যা টেক্সটাইল এবং মেশিনের যন্ত্রাংশ সহ বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করে।<br><br> বংশালে প্রতিবছর বিস্তৃত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, উৎসব ও মেলার আয়োজন করা হয়। এই ইভেন্টগুলি আশেপাশে একটি শক্তিশালী সম্প্রদায়ের চেতনা ধরে রাখে। রাস্তার খাবারের দোকান এবং বংশালের স্থানীয় বাজারগুলি বাসিন্দা এবং দর্শনার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরণের খাবার এবং কেনাকাটার অভিজ্ঞতা সরবরাহ করে।<br><br> বংশাল এলাকার মধ্যে এবং কাছাকাছি উপলব্ধ বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে শহরের বাকি অংশের সাথে ভালভাবে সংযুক্ত। পাবলিক বাস, রিকশা, সিএনজি, রাইড শেয়ারিং সার্ভিস, ব্রিজ, এমনকি ফেরি ও লঞ্চগুলো বড় বড় রাস্তা, ফ্লাইওভার, ব্রিজ এবং বুড়িগঙ্গা নদীর মধ্য দিয়ে চমৎকার পরিবহন সুবিধা প্রদান করে।<br><br> কিংবদন্তি মসজিদ, মন্দির এবং মাজার সহ অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন বংশাল এলাকার সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের জন্য দায়ী। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হেড কোয়ার্টার, পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল ইত্যাদি সহ কয়েকটি প্রধান প্রশাসন এই এলাকায় অবস্থিত।<br><br> সামগ্রিকভাবে, বংশাল বেশিরভাগই একটি বাণিজ্যিক এলাকা, যার একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং একটি উৎসবমুখর পরিবেশ রয়েছে। এটি ব্যবসায়ী এবং ঐতিহ্য উত্সাহীদের জন্য এলাকা। কিছু সমস্যা থাকা সত্ত্বেও, এটি ঢাকার সবচেয়ে আনন্দময় স্থানগুলির মধ্যে একটি।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বসুন্ধরা সিটি শপিং মল প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

বসুন্ধরা সিটি শপিং মল
, ঢাকা

বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ২০০৪ সালে উদ্বোধন হওয়ার পর, এটি ঢাকা ও আশেপাশের এলাকাগুলোর মানুষের জন্য একটি বিস্ময়কর স্থান হয়ে ওঠে। ঢাকা শহরের পান্থপথে অবস্থিত বসুন্ধরা সিটি তার আর্কিটেকচারাল ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে শহরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হিসেবে পরিচিত।<br><br> এটি স্বাভাবিক ছিল, কারণ এটি একটি বিশাল শপিং মল, যার আয়তন ছিল ১৭,৭৬৩ বর্গমিটার বা ১৯১,২০০ বর্গফুট। এটি শুধু বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম শপিং মল নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম মলও।<br><br> বসুন্ধরা সিটি একটি বিশাল ১৯ তলা ভবন হলেও এতে ৮টি প্রধান তলা রয়েছে। এখানে ২,৩২৫টিরও বেশি খুচরা দোকান, ১০০টি খাবারের দোকান, থিম পার্ক, সিনেমা হল, ফিটনেস ক্লাব, মুদ্রা বিনিময় বুথ, এটিএম বুথ এবং বিভিন্ন অফিস রয়েছে, যা এটিকে অঞ্চলটির অন্যতম বিস্তৃত শপিং এবং বিনোদন কমপ্লেক্সে পরিণত করেছে।<br><br> প্রতিটি তলার নিজস্ব নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, লেভেল ৪-এ শাড়ী ও মহিলাদের ফ্যাশন দোকান রয়েছে, এবং লেভেল ৫-এ গহনা, ঘড়ি, অপটিক্স, ইলেকট্রনিকস ইত্যাদি দোকান রয়েছে। এরপর, লেভেল ৬-এ উপহারসামগ্রীর দোকান, কম্পিউটার, ইলেকট্রনিকস, রান্নাঘরের জিনিসপত্র, জুতো এবং অন্যান্য সামগ্রী পাওয়া যায়।<br><br> লেভেল ৮-এ জনপ্রিয় স্টার সিনেপ্লেক্স মুভি থিয়েটার এবং ফুড কোর্টস রয়েছে। লেভেল ৯ থেকে ১৯ পর্যন্ত টাওয়ারে আড়ং এবং বাটার মতো ব্র্যান্ডের বড় শপিং এলাকা রয়েছে। আসলে, এই মলে বাটার সবচেয়ে বড় আউটলেট রয়েছে। টাওয়ারের বাকি অংশে রয়েছে অনেক গেমিং এবং অ্যাডভেঞ্চার জোন।<br><br> বিল্ডিংয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরটি সবসময় প্রাণবন্ত থাকে এবং ব্র্যান্ড প্রমোশন ও ক্যাম্পেইন দ্বারা পূর্ণ থাকে। এখানে গ্রাহকদের জন্য র‍্যাফেল ড্র এবং পুরস্কারের মতো ইভেন্টও আয়োজন করা হয়। আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং স্পেসে ১৮০০ টি পর্যন্ত গাড়ি রাখা যায়।<br><br> সম্পূর্ণ মলটি এয়ার কন্ডিশনিং এবং ওয়াই-ফাই জোন দ্বারা সজ্জিত। মলটি সবসময় পরিষ্কার থাকে এবং এখানকার নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিতভাবে শীর্ষ মানের।<br><br> তাহলে, যারা একের মধ্যে সকল সুবিধাজনক শপিং অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে চান বা বন্ধু এবং পরিবারদের সাথে সময় কাটাতে চান, তাদের জন্য বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স হচ্ছে সেরা স্থান।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বাটিঘাটা প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

বাটিঘাটা
, খুলনা

১৮৬০ সালে খুলনা জেলায় একটি ক্যাম্প স্থাপিত হয়, যা ১৮৯২ সালে একটি থানায় রূপান্তরিত হয়। এর ফলে বটিয়াঘাটা থানা গঠিত হয়। পরবর্তীতে, ১৯৮৩ সালে বটিয়াঘাটা উপজেলাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি খুলনা শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং এর ভূমির আয়তন ২৩৫.৩২ বর্গকিলোমিটার।<br><br> বর্তমানে বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৭টি ইউনিয়ন/ওয়ার্ড, ১৩টি মৌজা/মহল্লা এবং ১৫৮টি গ্রাম রয়েছে। প্রায় ৪০,৭৭৯টি পরিবার নিয়ে এর মোট জনসংখ্যা ১,৭১,৭৫২ জন। এ কারণেই বটিয়াঘাটা এলাকার গাইড সম্পর্কে অবগত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।<br><br> বটিয়াঘাটা উপজেলা উত্তরে খুলনা সদর ও রূপসা উপজেলা, দক্ষিণে পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলা, পূর্বে ফকিরহাট ও রামপাল উপজেলা এবং পশ্চিমে ডুমুরিয়া উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত। উপজেলায় বেশ কয়েকটি নদী রয়েছে, যেমন রূপসা, কাজিবাছা, ভদ্রা প্রভৃতি।<br><br> বটিয়াঘাটা একটি নদীসমৃদ্ধ এলাকা হওয়ায় মাছ চাষের জন্য অসাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকার প্রধান অর্থনীতি মাছ চাষ, ধান, পাট, গম, তুলা, পোল্ট্রি খামার, দুগ্ধ খামার ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল।<br><br> বটিয়াঘাটা সদর এলাকার কাছে অবস্থিত একটি উপজেলা, যা একটি উপশহরীয় জীবনধারা এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সুবিধা প্রদান করে। তবে, উপজেলার একটি বড় অংশ এখনও উন্নয়নের বাইরে রয়েছে। তবুও, খুলনা সিটি বাইপাস, খুলনা-সাতক্ষীরা হাইওয়ে, ঢাকা-যশোর-খুলনা সড়ক ইত্যাদি প্রধান সড়কগুলো উন্নত পরিবহন সুবিধা প্রদান করে। সবচেয়ে কাছের রেলওয়ে স্টেশন হলো খুলনা রেলওয়ে স্টেশন।<br><br> তবুও, বটিয়াঘাটায় অনেক খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেমন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি বটিয়াঘাটা ডিগ্রি কলেজ। এছাড়াও, এখানে একাধিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। বিনোদন কেন্দ্র এবং পর্যটন স্থানের ক্ষেত্রে এলাকায় বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় স্থান রয়েছে, যেমন বটিয়াঘাটা রিভারভিউ, গোল্লামারী স্মৃতিস্তম্ভ, লিনিয়ার পার্ক, শেখ রাসেল ইকো পার্ক, রানা রিসোর্ট অ্যান্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ইত্যাদি।<br><br> সামগ্রিকভাবে, বটিয়াঘাটা উপজেলা শুধু বৈচিত্র্যময় পরিবেশই নয়, বসবাসের জন্যও কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। তবে, আপনি যদি আধুনিক জীবনযাত্রার সুবিধা খুঁজে থাকেন, তাহলে এটি সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান নয়।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বাংলামোটর প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

বাংলামোটর
, ঢাকা

বাংলামোটর হল সোনারগাঁও এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মাঝপথ, ইস্কাটন এলাকার সাথে সংযুক্ত। বাংলামোটর কাওরানবাজার এবং শাহবাগের মধ্যে রুট স্টপ হিসেবে বাস যাত্রীদের জন্য একটি সুপরিচিত জায়গা এবং যারা মগবাজার যায় তাদের জন্যও। কেউ এখানে উল্লেখযোগ্য স্মৃতিস্তম্ভ খুঁজতে আসে না। নেই কোনো হাসপাতাল, নেই কোনো বিশাল মল বা বাজার। সাহিত্যে আগ্রহী ব্যক্তিরা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পরিদর্শন করতে পারেন, যেটি প্রধান রাস্তা থেকে একটি ছোট গলির মাধ্যমে অ্যাক্সেসযোগ্য। সাধারণত লোকেরা বাইক চালানো বা গাড়ির সামগ্রী যেমন ব্রেক, অল্টারনেটর বা অটোমোবাইল ব্যাটারি ইত্যাদির জন্য এই জায়গাটি পরিদর্শন করে।<br><br> অতিরিক্তভাবে, বাংলামোটর হল স্বয়ংচালিত গাড়ির উত্সাহীদের জন্য একটি আশ্রয়স্থল, যেখানে ব্যস্ত বাজারগুলি ব্রেক, অল্টারনেটর এবং অটোমোবাইল ব্যাটারি থেকে শুরু করে বাইক এবং গাড়ির খুচরা যন্ত্রাংশ এবং আনুষাঙ্গিকগুলির বিস্তৃত পরিসরে সবকিছু বিক্রির অফার করে। আপনি নির্দিষ্ট যন্ত্রাংশের সন্ধানে একজন অভিজ্ঞ মেকানিক হন বা সাম্প্রতিক গ্যাজেটগুলি অন্বেষণকারী উত্সাহী হন না কেন, বাংলামোটরের স্বয়ংচালিত জেলায় প্রত্যেকের জন্য কিছু না কিছু রয়েছে।<br><br> সংক্ষেপে, বাংলামোটর ঢাকার ট্রানজিট, সংস্কৃতি এবং বাণিজ্যের প্রাণবন্ত মিশ্রণকে প্রতিফলিত করে, এটিকে একটি গতিশীল মাইক্রোকসম করে তোলে যা শহরের বৈচিত্র্যময় চেতনার প্রতিফলন করে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বাসাবো প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

বাসাবো
, ঢাকা

বাসাবো একটি ঘনবসতিপূর্ণ জেলা যা এর স্বল্প আয়ের পরিবারের জন্য পরিচিত। এটি সবুজবাগ থানার অংশ, যা ৬.৬২ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে। অঞ্চলটিকে চারটি প্রাথমিক অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে: উত্তর বাসাবো, দক্ষিণ বাসাবো, মধ্য বাসাবো এবং পূর্ব বাসাবো। ব্যস্ত আবাসিক সেক্টর মনে হলেও বাসাবো মতিঝিল সংলগ্ন। দীর্ঘমেয়াদী আবাসন বিকল্পগুলিতে অ্যাক্সেসের সুযোগ নিয়ে বাসাবো সত্যিই সুসংগঠিত। এই মুহুর্তে, বাসাবো এমন একটি জায়গা যেখানে আপনি যেকোন প্রয়োজনীয় সবজিনিস, সুপ্রতিষ্ঠিত অবকাঠামো, রেস্তোরাঁ, স্কুল এবং চিকিৎসা পরিষেবা খুঁজে পেতে পারেন।<br><br> বাসাবো বাসিন্দাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা প্রদান করে, যেমন সক্রিয়ভাবে তরুণদের মধ্যে পাঠ্য বহির্ভূত কার্যকলাপের প্রচার করে এবং মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য একটি সুপরিচিত আবাসনের বিকল্প। যেহেতু এখানে কয়েকটি সুপরিচিত ক্ষেত্র রয়েছে, এটি এই অঞ্চলটিকে একটি সমৃদ্ধ কেন্দ্রে পরিণত করেছে। বাসাবো একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, এইভাবে আবাসিক সম্প্রসারণের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। নাভানা সিলভারডেল এবং ছায়াবীথি ইস্টার্ন হাউজিং প্রজেক্টের মতো প্রকল্পগুলি বাসাবোতে কার্যকরভাবে ফ্ল্যাট তৈরি করে তাদের ছাপ ফেলেছে, যা এই এলাকার বাসিন্দাদের একটি স্বতন্ত্র শৈলীর আবাসন প্রদান করে। ফলস্বরূপ, নতুন বিকাশকারীরা এই অঞ্চলে সৃজনশীল প্রকল্পগুলিতে কাজ করতে আগ্রহী।<br><br> সামগ্রিকভাবে, বাসাবা সংস্কৃতি, ব্যবসা এবং শিক্ষাগত সুবিধার একটি গতিশীল মিশ্রণ অফার করে, যা এটিকে ঢাকার সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ এলাকাগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে। আপনি কেনাকাটা করতে, ভোজন করতে বা ঘুরাঘুরি করতে চাইলে, বাসাবোতে প্রত্যেকের জন্য কিছু অফার রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
মালিবাগ প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

মালিবাগ
, ঢাকা

মালিবাগ ঢাকার একটি জায়গা, যা প্রাণবন্ত এবং মানুষ ও যানজটে পরিপূর্ণ। এখানে আপনি জীবনের সর্বস্তরের লোকদের খুঁজে পাবেন, যারা মালিবাগে বসবাস করতে এসেছে এবং প্রতিবেশীকে ভালোবেসে প্রজন্মের পর প্রজন্ম পার করেছেন। প্রচুর সংখ্যক খাবারের দোকান, স্কুল, সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন বিকল্প এবং রাস্তার একটি জটিল নেটওয়ার্কের জন্য, এই জায়গাটিকে অনেকেই বসবাসের জন্য একটি 'সম্পূর্ণ' স্থান হিসাবে বিবেচনা করেন।<br><br> মালিবাগ হল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, অঞ্চল ২, ১২ নং ওয়ার্ডের একটি অংশ। এই এলাকাটি দেখতে ছোট হতে পারে, কিন্তু এটি একজন ব্যক্তির প্রয়োজনীয় সবকিছু দিয়ে পরিপূর্ণ। মালিবাগের মানুষকে তাদের মৌলিক জীবনযাত্রার প্রয়োজন মেটাতে বেশি দূরে কোথাও যেতে হবে না। মালিবাগের পুরানো এবং সমৃদ্ধ ইতিহাস সত্যিই এটিকে বসবাসের জন্য একটি অনন্য জায়গা করে তুলেছে।<br><br> এর ব্যস্ত রাস্তা এবং প্রাণবন্ত পরিবেশ ছাড়াও, মালিবাগ সব সম্প্রদায়ের সমাবেশ এবং উদযাপনের জন্য একটি আশ্রয়স্থল। পার্ক এবং বিনোদনমূলক এলাকাগুলি শহুরে কোলাহল থেকে অবকাশ দেয়, যেখানে পরিবারগুলি পিকনিকের জন্য জড়ো হয় এবং শিশুরা অবাধে খেলাধুলা করে। উৎসব এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলি প্রতিবেশীকে প্রাণবন্ত করে তোলে, আর ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ ট্যাপেস্ট্রি প্রদর্শন করে যা এর পরিচয়কে সংজ্ঞায়িত করে। রঙিন রাস্তার প্যারেড থেকে প্রাণবন্ত সঙ্গীত পরিবেশনা পর্যন্ত, মালিবাগ তার বাসিন্দাদের আনন্দ চেতনায় অনুরণিত হয়, তারা এমন বন্ধনকে লালন করে যা দৈনন্দিন জীবনের সীমানা অতিক্রম করে। হাসি এবং বন্ধুত্বের এই ভাগ করা মুহূর্তগুলিতে, মালিবাগের আসল সারমর্মকে উজ্জ্বল করে তোলে,এটি এমন একটি জায়গা যেখানে বন্ধুত্ব বিকাশ লাভ করে এবং স্মৃতি তৈরি হয়।<br><br> সামগ্রিকভাবে, মালিবাগের বেশিরভাগ আবাসিক এবং বেশ ব্যস্ত এলাকা। আপনি সাশ্রয়ী মূল্যের বাড়ি, দোকান, রেস্তোরাঁ বা হাসপাতাল খুঁজেন না কেন, মালিবাগে এর সবই রয়েছে। কিছু সমস্যা থাকা সত্ত্বেও, এটি বসবাসের জন্য সবচেয়ে চাহিদাপূর্ণ জায়গাগুলির মধ্যে একটি।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
লালবাগ প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

লালবাগ
, ঢাকা

লালবাগ একটি ঘনবসতিপূর্ণ জেলা যা ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার আবেশের জন্য পরিচিত। এটি লালবাগ থানার একটি অংশ, যার উত্তরে নিউমার্কেট থানা, দক্ষিণ ও পশ্চিমে কেরানীগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে চকবাজার থানা ও শাহবাগ থানা। থানাটির আয়তন ২.০৪ বর্গ কিমি। আদমশুমারি (২০১১) অনুসারে, এলাকার জনসংখ্যা ৩৬৯,৯৩৩ জন যেখানে পরিবারের গড় আকার ৪.৪ জন সদস্য এবং গড় সাক্ষরতার হার ৬৬.২%। এই এলাকার একটি ভাল জিনিস হল, লালবাগে প্রায় প্রতিটি ব্যাঙ্কের একটি আউটলেট রয়েছে।<br><br> লালবাগে ঢাকা শহরে যে বাজারটি বেশ বিখ্যাত, তার নাম চকবাজার। এটি একটি ব্যবসা কেন্দ্রের মতো, যেখান থেকে মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজে পায়। আবার ব্যবসায়ীদের মধ্যস্বত্বভোগীরা চকবাজার থেকে সামগ্রী সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে এবং চূড়ান্ত গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে।<br><br> লালবাগে লালবাগ ফোর্ট, স্টার মসজিদ (তারা মসজিদ), ঢাকেশ্বরী মন্দির ইত্যাদি সহ অনেক জনপ্রিয় আকর্ষণ রয়েছে। মানুষ এই জায়গাগুলি দেখতে পছন্দ করে কারণ এই জায়গাগুলি অনেক আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। লালবাগের ইতিহাস এখনো অনেকের কাছে মিথ।<br><br> সামগ্রিকভাবে, লালবাগ এমন একটি জায়গা যেখানে লোকেরা যানজটে বসবাস করে, তবুও জনগণকে আরও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার জন্য অনেকগুলি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
শ্যামলী প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

শ্যামলী
, ঢাকা

বেশিরভাগ ঢাকাবাসী এমন একটি অ্যাডোব খোঁজে যেখানে তারা বসবাসের জন্য তাদের বাসা তৈরি করতে পারে, এবং আশেপাশের এলাকাগুলি কার্যকর পরিবহন ব্যবস্থা সহ শহুরে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পরিপূর্ণ। শ্যামলী ঢাকা শহরের মধ্যবিত্ত পরিবারকে আকৃষ্ট করেছে তার আশেপাশের আবাসিক ও বাণিজ্যিক মূল্যের জন্য। এই শ্যামলী এরিয়া গাইডে, আমরা গভীরভাবে অনুসন্ধান করব এবং ঢাকার এই ঐতিহাসিক এলাকাটির একটি দুর্দান্ত সফর করব। শ্যামলী আইকনিক শ্যামলী সিনেমা থেকে এর লোভনীয় নাম পেয়েছে। হলের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে গেলেও এলাকার নাম এখনও টিকে আছে। আগারগাঁওয়ের উত্তর-পশ্চিম অংশে শ্যামলী পাবেন। এটি কল্যাণপুর এবং আদাবরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত। এখানকার ল্যান্ডমার্ক স্থাপনা হল শ্যামলী স্কোয়ার, যা পুরানো সিনেমা হলের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল। এটি এলাকার বৃহত্তম শপিং মল এবং বাসিন্দাদের এবং দর্শনার্থীদের সমস্ত কেনাকাটার চাহিদা পূরণ করে৷ শ্যামলী মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে স্বস্তি ও সাধ্যের নাম। যেহেতু অনেক সরকার, এনজিও এবং আইটি ফার্ম শ্যামলীতে এবং তার কাছাকাছি তাদের ঘাঁটি স্থাপন করেছে, তাই অনেক অফিস কর্মী সহজে প্রবেশ ও পরিবহনের জন্য শ্যামলীতে তাদের বাড়িতে বাসা বেঁধেছে। আবাসিক এবং বাণিজ্যিক স্থান ছাড়াও, শ্যামলী ভোজনরসিক মানুষের জন্য একটি খাদ্য স্বর্গ হিসাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে। মোহাম্মদপুরের সাথে ঘনিষ্ঠ সংযুক্তির কারণে, এখানকার বাসিন্দারা সহজেই বিশ্বখ্যাত "মোস্তাকিম এর চাপ" এবং "সেলিম কাবাব" উপভোগ করতে পারেন। কার্ডিওভাসকুলার ইনস্টিটিউট, কিডনি রোগ ইনস্টিটিউট, ট্রমাটোলজি ইনস্টিটিউট এবং সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এলাকাটির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত হওয়ায় শ্যামলী প্রায়শই ব্যস্ত থাকে এবং রোগী ও দর্শনার্থীদের ভিড়ে থাকে। তা সত্ত্বেও, এটি আবাসিক উদ্দেশ্যে শান্তিপূর্ণ এলাকাগুলির মধ্যে একটি কারণ এটি স্কুল, কলেজ, পার্ক এবং মলে পরিপূর্ণ।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
IconMap

ফিচারড প্রজেক্ট

সবগুলো দেখুন

Bangladesh-এর প্রপার্টি প্রাইস ট্রেন্ড

কেনা
ভাড়া
বেডরুম:
গড় মূল্য (বিগত ১২ মাসের)
BDT 6,417.32 per sqft
বিগত ১২ মাসের বৃদ্ধি
3.75%
Positive Trend
বিগত ৩ মাসের বৃদ্ধি
2.48%
Positive Trend
Icon
দ্রষ্টব্য: মূল্য তথ্য Bikroy-এর পোস্ট করা বিজ্ঞাপন থেকে ঐতিহাসিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া। সম্পূর্ণ মার্কেটের ডায়নামিক প্রতিফলিত নাও হতে পারে।
hero

Bikroy এ বিক্রি বা ভাড়া দিন: মাত্র ২ মিনিটেই প্রপার্টির বিজ্ঞাপন দিন!